নাইম আবদুল্লাহ:
21a1বাঙালি কমিউনিটি ইনক্ এর উদ্যোগে রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ইংগেলবার্ন কমিউনিটি হলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান (অব.) প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন।

21a2শুরুতেই লিভারপুল সাটারডে কমিউনিটি বাংলা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের দল বাংলা প্রসার কমিটির তত্ত্বাবধায়নে দেশি পোশাকে সুসজ্জিত হয়ে পুঁথিপাঠ, আবৃত্তি, নৃত্য ও গান পরিবেশন করে।

এরপর ছোট বন্ধুদের ‘কিশলয় কচিকাঁচার সাংস্কৃতিক দল’ বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষাভিত্তিক ছড়া, নাচ ও গান পরিবেশন করে।

21a3ইংরেজি ভাষাভাষী সমাজের মধ্যে বেড়ে উঠা বাংলাদেশ কমিউনিটির শিশু-কিশোরদের মাতৃভাষায় বিশুদ্ধ উচ্চারণে ছড়া, কবিতা আবৃত্তি, কোরাস দেশের গান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনায় দর্শক খুঁজে পায় আবহ বাংলার ঐতিহ্য ও কৃষ্টিকে।

এই পর্বের শেষ দিকে বিষয়ভিত্তিক বিবেচনায় বাংলাদেশ নিয়ে ছবি আঁকা, বাংলা ভাষা চর্চা, যন্ত্রসংগীত ও একক সংগীত বিষয়ে শিশুকিশোরদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

21a4বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-ম্যাককুয়ারি ফিল্ড আসন থেকে নির্বাচিত এমপি অনুলাক চান্টিভং। তিনি ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান এবং ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগের কথা বিনম্রভাবে স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, “তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই আজ সারা পৃথিবীতে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।”

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে, সিডনির নামকরা শিল্পীরা গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন।

সবশেষে সমবেত কণ্ঠে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। এর পর ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি..’ গানটি পরিবেশনার পর অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

21a5বাংলাদেশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা, সিডনি থেকে প্রকাশিত অনলাইন ও কাগজ পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিকরা এবং সুশীল সমাজসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটির সার্বিক পরিচালনায় করেন সেলিমা বেগম এবং নাজমুল খান।

সাম্প্রতিক