নাইম আবদুল্লাহ
zia79গত রোববার (২২ জানুয়ারি) সিডনিস্থ কস্তুরি ফাংশন সেন্টারে শহিদ জিয়াউর রহমানের ৮১তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল অস্ট্রেলিয়া।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুবদল অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবুল হাছান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মো. হাবিবুর রহমান হাবিব। সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন যুবদল অস্ট্রেলিয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাছুদুর রহমান।

কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সভা শুরু করা হয়। এর পর বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত ও বিএনপির দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এটি ছিল গতানুগতিক রাজনৈতিক অনুষ্ঠান থেকে আলাদা। অনুষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া হয়নি। শুধুমাত্র জিয়াউর রহমানের জীবন ও দর্শন আলোকপাত করা হয়।

বক্তারা জিয়াউর রহমানের জন্ম, শিক্ষা, কর্মজীবন, সৈনিক জীবন, স্বাধীনতার ঘোষণা, রাষ্ট্রনায়কত্ব, গণতন্ত্র ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় এবং তাকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের অপচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

বক্তারা জিয়াউর রহমানকে একজন আদর্শবান, সৎ ও সফল রাষ্ট্রনায়ক উল্লেখ করে বলেন, তিনি কখনও নিজে বা তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রশ্রয় দেননি। দেশকে ও দেশের মানুষকে তিনি সবার ওপরে ভালোবাসতেন। তিনি স্বাধীনতার ঘোষক, বীর মুক্তিযুদ্ধা, সেক্টর কমাণ্ডার, সিপাহী বিপ্লবের কেন্দ্রপুরুষ, বাকশাল থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণকারী, বাকস্বাধীনতার প্রবর্তক।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাংবাদিক মিজানুর রহমান সুমন।

সভাপতির বক্তব্যে মো. হাছান বলেন, “আমাদের মূলত উদ্দেশ্য ছিল জিয়াউর রহমানকে নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করা এবং তার ভালো দিকগুলো তুলে ধরা। ব্যক্তি জিয়ার আদর্শকে তুলে ধরে বতর্মান অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা।”

সভায় আরো আলোচনা করেন-বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সভাপতি ও সাবেক আহ্বায়ক ডা. আব্দুল ওয়াহাব, বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক আহ্বায়ক আলহাজ মো. লুতফল কবির, সাবেক বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক শফিক, সাবেক সদস্য সচিব আশরাফুল আলম রনী, ছাত্রদল নেত্রী মিতা কাদরী।

অনুষ্ঠানে সিডনিস্থ প্রবাসী সাংবাদিক ও এনটিভির প্রতিনিধিসহ উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযুদ্ধা হুমায়ন কবির খান, তাসলিমা কবির, মো. সহিদ পারভেজ, মো. আশরাফ, মো. মাহরুফ, মো. মাহবুব, জাবেদ, তাজুদ মিয়া মো. নুর আলম, আশরাফুজ্জমান, তানজির রিয়াদ, মো. ইকবাল হোসেন. নাছিমা শারমিন প্রমুখ।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক নারী, শিশু-কিশোরসহ সাধারণ প্রবাসীরা ‍উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মোনাজাত শেষে কেক কাটা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন আলহাজ মো. লুতফল কবির। সভা শেষে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।

সাম্প্রতিক