dudukস্টাফ রিপোর্টার: জ্বালানি খাতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও মিটার টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে বিল কম দেখানো এবং সংযোগ প্রদানে হয়রানি বন্ধের উপায় খুঁজতে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সে লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ওপর নজরদারি বাড়াতে একজন পরিচালকের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের টিম গঠন করেছে দুদক। কারণ অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে তিতাসের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী নামে-বেনামে বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছে। পাশাপাশি হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ গ্রাহক। ইতিমধ্যে প্রতি মাসে নিয়মিত মাসোয়ারার বিনিময়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ পাইয়ে দেয়া, পাইপলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও শিল্প খাতে গ্যাস সংযোগ দেয়া এবং মিটার টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ পেয়েছে দুদকে। তাছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তিতাসের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। তিতাস এবং দুদক সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ঢাকার গৃহস্থালি ও বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান মিলে প্রায় ২০ লাখ গ্রাহককে গ্যাস সরবরাহ করে তিতাস। রাষ্ট্রায়ত্ত এ প্রতিষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিক অবয়ব যেমন বড়, তেমনই অনিয়মের ফিরিস্তিও দীর্র্ঘ। তিতাসের অবৈধ বিতরণ লাইনের উল্লেখযোগ্য স্পট সংখ্যা ৫১৬টি। ওসব স্পটের মাধ্যমে অবৈধভাবে স্থাপন করা বিতরণ লাইনের দৈর্ঘ্য ৫৫১ কিলোমিটার আর অবৈধ সংযুক্ত বার্নারের সংখ্যা আনুমানিক ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩০০টি। তবে সবচেয়ে বেশি অবৈধ বিতরণ লাইন আছে গাজীপুর ও নরসিংদী জেলায়।
সূত্র জানায়, গ্যাস বিতরণে অবৈধ সংযোগ বিষয়ে চলতি বছরের শুরুতে তিতাস গ্যাসের পরিচালিত এক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গৃহস্থালির চেয়ে শিল্প খাতে অবৈধ সংযোগ বেশি। তিতাসের আওতাধীন সাভার, নারায়ণগঞ্জ ও কালীগঞ্জ এলাকায় শিল্পে অবৈধ সংযোগ সবচেয়ে বেশি। সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ দিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগের পাশাপাশি মিটার টেম্পারিংও করা হয়। ওসব অবৈধ সংযোগ একদিকে যেমন প্রতিষ্ঠানটির সিস্টেম লস বাড়াচ্ছে, তেমনি জননিরাপত্তার জন্য হুমকিও তৈরি করছে। কারণ অবৈধ সংযোগের ত্রুটি থেকে অগ্নিকা-ের মতো দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
এ প্রসঙ্গে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, তিতাসের বিরুদ্ধে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে দুদকে। তাছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতেও সাধারণ গ্রাহকদের হয়রানির শিকার হতে হয়। মূলত হয়রানি বন্ধ করে সেবা প্রদান সহজ করতে দুদক কাজ করবে।

সাম্প্রতিক