upkulঢাকা: ধীরে ধীরে দুর্বল হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। তবে উপকূলীয় এলাকায় আরো ৬ ঘণ্টা থাকবে মহাবিপদ সংকেত।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামসুদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, আরো ১২ ঘণ্টা দেশে বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করবে। এর ফলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। মোরা বাংলাদেশ অতিক্রম নাও করতে পারে। এটি দেশের ভেতরে নিস্ক্রীয় হয়ে যেতে পারে।

মহাবিপদ সংকেত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনো একটি বৈরি আবহাওয়া রিবাজমান। তাই মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে নিতে আমরা আরো কিছু সময় নেব। কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা। মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হবে। কারণ হলো, একটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় সমুদ্র অতিক্রম করে বাংলাদেশে এসেছে। সমুদ্রের যে আবহাওয়া, তা স্বাভাবিক হতে হবে। স্বাভাবিক হওয়ার সময় তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হবে। সেটিও কমপক্ষে আরো ১২ ঘণ্টার জন্য।

সামসুদ্দিন আহমেদ জানান, মোরা চট্টগ্রাম উপকূলে ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার বেগে টেকনাফে ১৩৫ কিলোমিটার বেগে ও সেন্টমার্টিনে ১১৪ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড় মোরা উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৬টায় কুতুবদিয়ার নিকট দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে।

অপরদিকে মোরার প্রভাবে কক্সবাজারে সাগরের পানি বেড়েছে ৪-৫ ফুট। তলিয়ে গেছে উপকূলীয় কয়েকটি দ্বীপ। কক্সবাজারের টেকনাফ, শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিনে গাছপালা ও বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজারের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে আতঙ্কে দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সাম্প্রতিক