ঢাকা : যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন বঙ্গবন্ধুর নাতনী ও লেবার পার্টির প্রার্থী টিউলিপ রেজোয়ানা সিদ্দিক।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে হ্যাম্পস্টিড ও কিলবার্ন আসনে লেবার পার্টি থেকে শেখ রেহানার জ্যেষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নী টিউলিপ সিদ্দিক বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কনজার্ভেটিভ পার্টির প্রার্থী ক্লাইয়ের লুইস এর চেয়ে ১৫,৫৬০ ভোট বেশি পেয়ে ৩৪,৪৬৪ ভোটে বিজয় লাভ করেন।
এর আগে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি ২৩,৯৭৭ ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করেছিলেন। তখন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কনজারভেটিভ পার্টির সিমন মার্কস পেয়েছিলেন ২২,৮৩৯ ভোট।
এ ছাড়া অপর দুই বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত লেবার পার্টির প্রার্থী রুশনারা আলী বেথনাল গ্রিন ও বো নির্বাচনী আসন এবং ড. রূপা হক ইয়ারিং সেন্ট্রাল ও এক্টন নির্বাচনী আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশীদের মাঝে ‘তিন কন্যা’ নামে খ্যাত টিউলিপ ও অপর দুই বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত নারীর ওপর সংবাদ মাধ্যমের দৃষ্টি ছিল। ২০১৫ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশী বংশদ্ভুত প্রার্থীর সংখ্যা ছিল মোট ১১ জন, এর মধ্যে তিন কন্যা বিজয় লাভ করেন।
২০১৫-এর ৭ মার্চের নির্বাচনে যুক্তরাজ্যের ৬৫০ টি আসনের মধ্যে ৩৩১ টি আসন পেয়ে কনজার্ভেটিভ পার্টি ক্ষমতায় আসে।
এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশী বংশদ্ভুত ১১ জন প্রার্থী হাউজ অফ কমন্সের আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এর মধ্যে প্রধান বিরোধী দল এডওয়ার্ড মিলিব্যান্ডের নেতৃত্বে লেবার পার্টি থেকে সাত জন প্রার্থী, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে তিনজন এবং কনজার্ভেটিভ পার্টি থেকে একজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
গত নির্বাচনে লন্ডনের দশটি গুরুত্বপূর্ণ আসনের একটি হ্যাম্পস্টিড ও কিলবান নির্বাচনী আসন থেকে লেবারপার্টির টিকিটে পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। নির্বাচনের পরে লেবার পার্টির নেতা জেরিমি কর্বেনের ছায়া মন্ত্রিসভায় টিউলিপ শিক্ষা মন্ত্রী মনোনীত হন। পরে তিনি ছায়া মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।
১৯৮২ সালে লন্ডনের মিচাম এলাকায় জন্ম নেওয়া টিউলিপ কিংস্ কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এবং পলিটিক্স, পলিসি এন্ড গভর্নেন্স বিষয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
< Prev | Next > |
---|