ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফা ভোটে নতুন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর নবগঠিত রাজনৈতিক দল রিপাবলিক অন দ্য মুভ পার্টি (এলআরইএম) ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রোববার প্রথম দফা ভোটের পর জনমত জরিপ সংস্থাগুলোর মতে, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৫৭৭ আসনের মধ্যে মাক্রোঁর দল ৪০০ এর বেশি আসনে জয় পাচ্ছে।
মাত্র বছরখানেক আগে এই দল গড়ে তোলেন মাক্রোঁ, তার দলের অনেক প্রার্থীই রাজনীতিতে নবীন। দুটি জরিপ সংস্থার আভাস অনুযায়ী, মাক্রোঁর মধ্যপন্থি এলআরইএম পার্টি রোববারের ভোটে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পাচ্ছে।
তবে প্রথম দফা নির্বাচনে ভোটের হার বেশ কম। এলআরইএম’র প্রতিদ্বন্দ্বী কট্টরপন্থি রিপাবলিকান পার্টি ২০ শতাংশের মতো এবং কট্টর ডানপন্থি ন্যাশনাল ফ্রন্ট ১৩ শতাংশের মতো ভোট পেতে পারে। বামপন্থি দলগুলোকে নিয়ে সোশ্যালিস্টরা পেতে চলেছে ৯ শতাংশের মতো ভোট। প্রথমদফার ভোটে সরাসরি জিততে হলে একজন প্রার্থীকে একটি সংসদীয় আসনের মোট ভোটের অর্ধেকের বেশি পেতে হবে; সেসব ভোটের মধ্যে নিবন্ধিত ভোটারদের এক চতুর্থাংশের ভোটও থাকতে হবে।
একটি সংসদীয় আসনের কোনো প্রার্থী যদি প্রথমদফার ভোটে ৫০ শতাংশ জনসমর্থন না পায়, তখন সেখানে দ্বিতীয় দফা ভোট হবে। আগামি রোববার দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিজয়ীদের নিয়ে পার্লামেন্ট গঠিত হবে। ভোটের আগের বিভিন্ন জরিপেও এবারের নির্বাচনে নবগঠিত এলআরইএম-র পক্ষেই জনরায় আসার আভাস মেলে। বেশিরভাগ আসনেই মাক্রোঁর দলের প্রার্থীরা গত রোববার এবং পরে ১৮ জুনের রান-অফ ভোটে বিজয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্যারিসের উত্তরাংশে নিজের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার সময় মাক্রোঁ সরকারের জুনিয়র মন্ত্রী মুনির মাহজাবি বলেন, পরবর্তী পাঁচ বছর কাজ করতে এবং ফ্রান্সজুড়ে সংস্কার করতে আমাদের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা দরকার।
নির্বাচনে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে প্রতিশ্রুত সংস্কার করতে পারবে বলে দাবি করেছে মাক্রোঁর দল। ৩৯ বছর বয়সী সাবেক ব্যাংকার মাক্রোঁ গত মাসে ইউরোজোনের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হন।
জাতীয় নির্বাচনের শুরুতে ভালো অবস্থানে থাকা মেরি লো পেনের ন্যাশনাল ফ্রন্ট পার্টি প্রথম দফা ভোটে তাদের প্রত্যাশার তুলনায় ভালো করতে পারছে না বলে আভাস মিলছে।
< Prev | Next > |
---|