আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাতার সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেওয়া বন্ধে লন্ডন সফরে থাকা আমিরাতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গারগাশ জানান, মিত্র দেশ সৌদি আরব, মিসর এবং বাহরাইন কাতারকে বিশ্বাস করে না। আর সেকারণে দেশটি আসলেই ‘সন্ত্রাসবাদে সমর্থন’ বন্ধে সমঝোতার শর্ত মানছে কিনা তা নিশ্চিত হতে পশ্চিমা বিশ্বের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। আর তা নিশ্চিত হতে পশ্চিমা বিশ্বের মনিটরিং ব্যবস্থা প্রয়োগ করা প্রয়োজন বলে মনে করছে আরব আমিরাত। গত ৫ জুন জঙ্গিবাদে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ। প্রথমে সৌদি আরব ও বাহরাইন সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং পরে তাদের ধারাবাহিকতায় মিসর,সংযুক্ত আরব আমিরাত,লিবিয়া এবং ইয়েমেনসহ আরও কয়েকটি দেশ কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেয়। ইয়েমেনে কথিত সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধের আরব জোট থেকেও বাদ দেওয়া হয় কাতারকে। কাতারের ওপর অবরোধ আরোপের ব্যাপারে কূটনৈতিক সমর্থন জোরালো করার প্রচেষ্টায় লন্ডন সফরে যান আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গারগাশ। সেখানে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে তিনি বলেন, ‘এটা আচরণগত পরিবর্তনের প্রশ্ন। আমরা যদি কৌশলগতভাবে পরিষ্কার ইঙ্গিত পাই যে কাতার আচরণে পরিবর্তন আনছে এবং সহিংস জঙ্গিদের অর্থায়ন বন্ধ করছে তবে তা আলোচনার ভিত্তি হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের একটি মনিটরিং সিস্টেম প্রয়োজন হবে। আমরা তাদের বিশ্বানস করি না। ওদের প্রতি আমাদের আস্থার মাত্রা একেবারে শূন্য। কিন্তু আমাদের একটি মনিটরিং সিস্টেম প্রয়োজন এবং এ ক্ষেত্রে ভূমিকা পালনের জন্য আমাদের পশ্চিমা মিত্রদের প্রয়োজন।’
গারগাশের দাবি, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নকারী কিংবা সন্ত্রাসী হিসেবে শনাক্ত হয়েছে এমন ৫৯ ব্যক্তি দোহায় নির্ভয়ে ঘোরাফেরা করছে। এরমধ্যে ১৪ জন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এবং ৯ জন জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছে।
তিনি বলেন, কাতার আর উগ্রপন্থায় অর্থায়ন করছে না কিংবা মুসলিম ব্রাদারহুড, হামাস ও আল কায়েদাকে সমর্থন দিচ্ছে না-এমনটা নিশ্চিত করাই ওই মনিটরিং এর লক্ষ্য। অবশ্য, বরাবরই এসব সংগঠনকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে কাতার। ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কুয়েত এবং তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশ এরইমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের সংকট নিরসনে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের চেষ্টা করছে।
< Prev | Next > |
---|