এখনও ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার’ আশা ছাড়েননি লেবার নেতা জেরেমি করবিন। বলেছেন, তিনি এখনও প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। ডিইউপি’র সঙ্গে মিলে সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন টেরিজা মে। কিন্তু মে’র এ সংখ্যালঘু সরকার পরিচালনার প্রচেষ্টা ভেস্তে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছেন করবিন। ‘সানডে মিরর’ পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিকল্প সংখ্যালঘু সরকার গঠনের সুযোগ আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে করবিন বলেন, এখনও সুযোগ আছে, নিশ্চয়ই। বৃহস্পতিবারের আগাম নির্বাচনে পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় মে’র দল কনজারভেটিভ পার্টি। তারা ৩১৮টি আসন পেয়েছে, সরকার গঠনের জন্য ৩২৬টি আসন প্রয়োজন। ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি (ডিইউপি) ১০টি আসন পেয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার ৩০টি আসন বেশি পাওয়া লেবাররা মোট ২৬২টি আসন পেয়েছে। তবে ডিইউপি ছাড়া অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে জোট বাঁধলেও সরকার গঠনের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় ৩২৬টি আসন হয় না। আগামী ১৯ জুন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ নতুন পার্লামেন্টের উদ্বোধন করবেন এবং আগামি সরকারের কর্ম পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন।
ওই পরিকল্পনা নিয়ে পার্লামেন্টে ছয় দিনের বিতর্কের পর ২৭ জুন ভোটের মাধ্যমে এমপি’রা এ বিষয়ে তাদের মত জানাবেন। ওই ভোট টেরিজা মে’র জোট সরকারের আত্মবিশ্বাসের এবং শরিক ডিইউপির সঙ্গে তাদের বনিবনার প্রথম বড় পরীক্ষা।
সাধারণভাবে রানির উদ্বোধনী বক্তৃতায় জয়ী দলের নির্বাচনী ইশতেহারের কথাই প্রতিফলিত হয়। তবে এবছর পরিস্থিতি ভিন্ন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
করবিন বলেন, মে’র কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই বলেই তিনি মনে করেন। রানির বক্তৃতার পর এমপি’দের ভোটে কনজারভেটিভদের কর্ম পরিকল্পনা বাতিল হতে পারে এবং লেবাররা নিজেদের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারে। তার দল ‘সরকার গঠনে প্রস্তুত আছে এবং তারা সরকার গঠনে সক্ষম’ বলেও মন্তব্য করেন করবিন। বলেন, নিশ্চিতভাবেই দেশে লেবার পার্টির অনেক সমর্থক রয়েছে।
< Prev | Next > |
---|