তেহরান: ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ইরানের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে খামেনি বলেন, “আপনারা (যুক্তরাষ্ট্র) এবং আপনাদের দালালরা মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী। কে ইসলামিক স্টেট (আইএস) তৈরি করেছে? আমেরিকা। আমেরিকা ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের যে বুলি আওড়ায়, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার দাফতরিক ওয়েবসাইট সূত্রে এসব কথা জানা যায়।
ইরানের ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। খামেনির কট্টর সমর্থকদের কারণে এ শত্রুতা আরো দীর্ঘ হয়।
সম্প্রতি রমজানের শুরু থেকে খামেনি আমেরিকাকে দোষারোপ করে বেশ কয়েকটি বিবৃতি দেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিলে আগের প্রশাসনের নেয়া তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের সব উদ্যোগ সংকটের মুখে পড়ে।
খামেনি যুক্তরাজ্য ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে আইএসকে অর্থায়নের অভিযোগ আনেন। যারা (আইএস) প্রথমবারের মতো তেহরানে হামলা চালিয়ে ১৭ জনকে হত্যা করেছে।
যদিও সৌদি আরব ইরানের সংসদ ভবন ও ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির মাজারে বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে। ইরান অবশ্য এ হামলার পেছনে সৌদি আরবের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে।
তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি অন্য কোনো দেশের দিকে আঙুল না তুলেই এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট রুহানি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণুসহ পাঁচটি বিষয়ে চুক্তি করেছিলেন। যার অন্যতম লক্ষ্য ছিল ইরানের ওপর থেকে সব ধরনের অবরোধ তুলে নেয়া। কিন্তু পরমাণুবিষয়ক নানা জটিলতায় রুহানি দুদেশের মধ্যকার বন্ধন মজবুত করার যে প্রত্যাশা করেছিলেন, তা আর হয়নি।
ট্রাম্প একে ‘সর্বকালে সেরা বাজে চুক্তি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কোনো ইচ্ছা নেই উল্লেখ করে খামেনি বলেন, “আমেরিকার সরকার ইরানের স্বাধীনতার বিপক্ষে। ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান টিকে থাকলে তাদের সমস্যা। তাদের সঙ্গে আমাদের যেসব সমস্যা রয়েছে, তার অধিকাংশেরই কোনো সমাধান নেই।”
ইরানের এ ধর্মীয় নেতা আরো বলেন, “আমেরিকা একটি সন্ত্রাসবাদী দেশ। সব সন্ত্রাসের পেছনেই তারা রয়েছে। এত কিছুর পরও আমরা এমন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পারি না।
< Prev | Next > |
---|