ঢাকা : পুনরায় বৃটিশ পার্লামেন্টের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকসহ রুশনারা আলী ও রূপা হককে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ তথ্য জানান।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী এই তিন বাঙালি কন্যাই লেবার পার্টির প্রার্থী ছিলেন। ভোট গণনায় লেবারদের দুই বছর আগের চেয়ে ভালো ফল দেখা গেলেও ঝুলন্ত পার্লামেন্টের আভাসই দেখা যাচ্ছে।
৩৫ বছর বয়সী টিউলিপ প্রার্থী হন লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে। ২০১৫ সালে নিজের প্রথম নির্বাচনে রক্ষণশীলদের শক্তিশালী প্রার্থীকে ১ হাজার ১৩৮ ভোটে জিতেছিলেন টিউলিপ। পরে তিনি বিরোধী দলনেতা জেরমি করবিনের ছায়া মন্ত্রিসভারও সদস্য হয়েছিলেন।
টিউলিপ গতবার পেয়েছিলেন ২৩ হাজার ৯৭৭ ভোট; তার প্রতিদ্বন্দ্বী রক্ষণশীল দলের প্রার্থী পান ২২ হাজার ৮৩৯ ভোট।
শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ এবার ভোট বাড়িয়ে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৪৬৪টি; অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বীর ভোট কমে হয়েছে ১৮ হাজার ৯০৪টি।
এদিকে দুই বছরের ব্যবধানে এবার ১৩ হাজার ভোটে জিতেছেন রূপা। তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৩৭ ভোট; তার প্রতিদ্বন্দ্বী রক্ষণশীল দলের প্রার্থী পান ১৯ হাজার ২৭২ ভোট।
১৯৭২ সালে ইলিংয়ে জন্ম নেওয়া রূপা হক ১৯৯১ সালে লেবার পার্টির সদস্য হন।
তিনি কেমব্রিজে পড়েছেন রাজনীতি, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন বিষয়ে। কিংস্টন ইউনিভার্সিটিতে পড়িয়েছেন সমাজ বিজ্ঞান, অপরাধ বিজ্ঞান, গণমাধ্যম ও সংস্কৃতি অধ্যয়নের মতো বিষয়। পার্লামেন্ট সদস্য হওয়ার আগে তিনি ডেপুটি মেয়র হিসাবে স্থানীয় কাউন্সিলেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০৪ সালে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রার্থী হয়েছিলেন রূপা। এছাড়া ২০০৫ সালে চেশাম ও এমারশাম আসন থেকে তিনি লেবার পার্টি থেকে মনোনয়ন পেলেও নির্বাচিত হতে পারেননি।
রুশনারা আলীও জিতেছেন বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনাল গ্রিন ও বো আসন থেকে; এটা তার তৃতীয় জয়।
সর্বশেষ নির্বাচনে প্রায় ২৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন যুক্তরাজ্যে পার্লামেন্টে প্রথম বাংলাদেশি নারী রুশনারা।
সিলেটের বিশ্বনাথে ১৯৭৫ সালে জন্ম নেওয়া রুশনারা মাত্র সাত বছর বয়সে বাবা-মার সঙ্গে লন্ডনে পাড়ি জমান। দর্শন,রাজনীতি ও অর্থনীতিতে ডিগ্রিধারী রুশনারা পরামর্শক সংস্থা ইয়ং ফাউন্ডেশনের সহযোগী পরিচালক।
ব্রিটেনের তরুণ রাজনীতিবিদদের মধ্যে প্রভাবশালী রুশনারা আলী অক্সফোর্ডে লেখাপড়া করেছেন ফিলসফি, পলিটিক্স ও ইকোনমিক্স (পিপিই) বিষয়ে। লেবার পার্টির ছায়া সরকারে শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এবারের নির্বাচনে মোট ১৪ জন বাঙালি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন; এর মধ্যে আটজনই লেবার পার্টির হয়ে; বাকিদের চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী, লিবারেল ডেমোক্রেট ও ফ্রেন্ডস পার্টির হয়ে লড়ছেন একজন করে।
< Prev | Next > |
---|