স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ আগামি উৎক্ষেপণের পর আগামি বছর জুন থেকে এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। গতকাল সোমবার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কাজের অগ্রগতিবিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাণিজ্যিক অপারেশনে যেতে পারবে ২০১৮ সালের জুনে। তার আগে কয়েকটি পর্যায় অতিক্রম করতে হবে। আগামী জুলাই মাসে উৎক্ষপণের চূড়ান্ত সময় জানা যাবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার এখন পর্যন্ত নিশ্চিত যে ডিসেম্বরের প্রথম বা শেষ সপ্তাহে উৎক্ষেপণ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের স্পেসএক্স ও ফ্যালকন ৯ উৎক্ষেপণযান ব্যবহার করে ফ্লোরিডার লঞ্চ প্যাড থেকে এবছরের ডিসেম্বরে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের সময় আগে থেকেইনির্ধারিত ছিল। উৎক্ষেপণের বিষয়টি আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, েেকান রকম সমস্যা হলে আমরা হয়ত জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যেতে পারি। ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লোরিডার আবহাওয়া ঠিক থাকলে সমস্যা হবে না। প্রধানমন্ত্রী ফ্লোরিডাতে না গিয়ে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মানুষের সাথে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের আনন্দ ভাগাভাগি করতে চান বলেও জানান তারানা। সম্প্রতি স্যাটেলাইট নির্মাণের অগ্রগতি পরিদর্শনে ফ্রান্স সফর করেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
ফ্রান্সের থালিস এলিনিয়া স্পেস ফ্যাসিলিটিতে এ স্যাটেলাইট নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের আগে কয়েকটি পরীক্ষা করা হবে জানিয়ে তারানা বলেন, ইনিশিয়াল পারফরমেন্স টেস্ট, ফরমাল ভ্যাকুয়াম টেস্ট, ফাইনাল পারফরমেন্স টেস্ট, ফাইনাল প্রিপারেশন টেস্ট করার পরেউৎক্ষেপণের জন্যশিপমেন্ট করা হবে। সোলার রে ও অ্যান্টেনা আলাদাভাবে তৈরি করে ফ্যাক্টরির মধ্যে রাখা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এ- টু এ- টেস্ট শেষ করা সম্ভব হবে বলে তারা জানিয়েছে। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের এক সপ্তাহ আগে থেকে কাউন্টডাউন করে প্রচার চালানো হবে এবং উৎক্ষেপণসরসারি সম্প্রচার করা হবে বলেও জানান তিনি। ২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণে ‘স্যাটেলাইট সিস্টেম’ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। এ স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে, যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। এ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে ১৪ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে বলে সরকার আশা করছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থার (আইটিইউ) ‘রিকগনিশন অফ এক্সিলেন্স’ পুরস্কারও পেয়েছে।
< Prev | Next > |
---|