bandorban 6চট্টগ্রাম : তিন জেলায় প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে পৌঁছেছে। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩৪ জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

রাঙামাটি জেলার পৃথকস্থানে পাহাড় ধসে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সকালে শহরের যুব উন্নয়ন, ভেদভেদী, শিমুলতলি, রাঙাপানিসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন- শহরের ভেদভেদি এলাকার রুমা আক্তার, নুড়িয়া আক্তার, হাজেরা বেগম, সোনালী চাকমা, অমিত চাকমা, আইয়ুস মল্লিক, লিটন মল্লিক, চুমকি দাস। কাপ্তাই উপজেলার কারিগরপাড়া এলাকার বাসিন্দা অনুচিং মারমা ও নিকি মারমা। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, বান্দরবানে বিভিন্ন এলাকায় অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন আরো ছয়জন।

নিহতরা হলেন, শহরের আগাপাড়ার একই পরিবারের শুভ বড়ুয়া (৮), মিঠু বড়ুয়া (৬), লতা বড়ুয়া (৫) ও কালাঘাটা কবরস্থান এলাকার রেবি ত্রিপুরা (১৮)। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিক উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে, চট্টগ্রামের পৃথকস্থানে পাহাড় ধসে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন, শামুকছড়ির শিশু মাহিয়া (৩), ছনবনিয়ার ২নং ওয়ার্ডের উপজাতি এলাকার সিনসাও কেয়াংয়ের স্ত্রী মোকা ইয়ং কিয়াং (৫০), কেলাও অং কেয়াংয়ের কিশোরী কন্যা মেমো কেয়াং (১৩) ও ফেলাও কেয়াংয়ের শিশু কন্যা কেওচা কেয়াং (১০)।

আহত হয়েছেন আরো দুইজন। আহত সানু কেয়াং (২১), শেলাও কেয়াংকে (২৭) সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক