নাইম আবদুল্লাহ:
sydm1সিডনি বাঙালি কমিউনিটি ইনক এর উদ্যোগে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ইঙ্গেলবার্নে পালিত হল বৈশাখী উৎসব।

বাঙালিদের প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ। শেষ হয়ে গেল ১৪২৩ বাংলা বছর, চলে এল ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। সিডনি শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শামিল হয়েছেন বৈশাখী উৎসবে। উত্সবের রঙে ১৪২৪ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নেয়া হয়।

লাল-সাদা রঙের এক অপূর্ব সমাবেশ, দেখে মনে হয়েছে যেন সিডনির বুকে একখণ্ড বাংলাদেশের নববর্ষের প্রাণঢালা আয়োজন।

রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দের কবিতা ও গান দিয়ে সাজানো ছিল কমিউনিটি হলের চার দেয়াল।

অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রজন্মের শিশুদের বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত করার জন্যই এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

বাংলা ভাষা শিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ার বুকে প্রতিষ্ঠিত ‘ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল’, শুরুতেই নিয়ে আসে ছোট বন্ধুদের পরিবেশনা। তারা একে একে চমৎকার কিছু দলীয় সঙ্গীত, কবিতা, গান ও নাচ পরিবেশন করে। স্কুলের শিশু-কিশোরদের পরিবেশনায় দর্শক খুঁজে পেয়েছে আবহ বাংলার ঐতিহ্য ও কৃষ্টিকে।

এর পরের পরিবেশনা ছিল সিডনির খুবই পরিচিত শিশু-কিশোরদের দল ‘কিশালয় কচিকাঁচার’ দলটি। বাহারি রঙ ও মন মাতানো পরিবেশনা অস্ট্রেলিয়া তে বেড়ে উঠা প্রজন্মের কাছে একটি উদ্দীপনা। বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিদেশের মাটিতে ধরে রাখার জন্য শত প্রতিকূলতার মধ্যে এই দলটি সিডনি জুড়ে তাদের দলীয় সঙ্গীত, কবিতা, গান ও নাচ পরিবেশনা অব্যাহত রেখেছে গত এক দশক ধরে।

লিভারপুল সাটারডে কমিউনিটি বাংলা স্কুলের ছাত্ররা তাদের নিজস্ব উদ্যোগে পরিবেশন করে দলীয় সংগীত, কবিতা আবৃত্তি, একক সংগীত, বাংলার সংস্কৃতি (পালকি, মঙ্গল প্রদীপ, লুঙ্গি, গামছা, ধুতি, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শাড়ি, গ্রাম্যবধূ এবং গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য) নিয়ে নৃত্য ও আবৃত্তি বাংলা হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশনা ছিল খুবই আকর্ষণীয় ও প্রশংসনীয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ সিডনির সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত শিল্পী সিরাজুস সালেকিন, যিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয় লোকগীতি শিল্পী আব্দুল লতিফের ছেলে। তিনি তার দল নিয়ে আসেন। সঙ্গে ছিলেন আরও দুই স্বনামধন্য শিল্পী হাবিব খান ও তৃপ্তি খান। দর্শক-শ্রোতারা তাদের গান মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেন।

এছাড়া স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনার পর সবশেষে সমবেত কণ্ঠে “এসো হয়ে বৈশাখ... এসো এসো...” এবং জাতীয় সংগীত গেয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি টানেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন ফেডেরাল এম পি লরি ফারগাসন এবং এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অনুলাক চান্টিভং (এম পি)।

এছাড়াও বাংলাদেশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা, সিডনি থেকে প্রকাশিত অনলাইন ও পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিকরা এবং সুশীল সমাজসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আনুষ্ঠানটির সার্বিক পরিকল্পনায় ছিলেন নাজমুল খান এবং পরিচালনায় ছিলেন সেলিমা বেগম।

সাম্প্রতিক