নাইম আবদুল্লাহ : গত ৩১ মে(বুধবার)সিডনির ওয়াইলি পার্কের গ্রামীন রেস্তোরায় সিডনি থেকে প্রকাশিত মাসিক প্রিন্ট পত্রিকা সুপ্রভাত সিডনি ইফতার ও বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সুপ্রভাত সিডনির এডিটর ইন চিফ ইউসুফ আবদুল্লাহ শামিমের সভাপতিত্বে বিশ্ব- মানবাধিকার মানদণ্ডে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষক এই আলোচনা সভায় বাংলাদেশ মানবধিকার সংস্থার চেয়ারম্যান কাজী রেজাউল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড নেশনস ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম এর জেন্ডার এক্সপার্ট বীথিকা হাসান ও সহকারী রবিউল ইসলাম।
স্থানীয় কমিউনিটি নেতা ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বনানী কেইসে হিউম্যান রাইট্সের চাপ ও সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে সরাসরি সংবিধানের ১৮৬১ ধারা পরিপন্থি পুলিশ ৪৮ ঘণ্টা পর কেন কেস নিল সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তিনি মনে করেন বাংলাদেশের আইন শৃংখলা ভঙ্গের পেছনে আইন রক্ষাকারী বাহিনী কিছু ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকাও অন্যতম কারণ। তিনি বলেন বিশেষভাবে পুলিশ কোনভাবেই তাদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।
এছাড়া হযরত আলি ও তার মেয়ের করুণ আত্মহূতির কথা স্মরণ করে মানবধিকার সংস্থার চেয়ারম্যান কাজী রেজাউল হক জানান ঘটনার পর শ্রীপুরে গিয়ে হযরত আলির স্ত্রীর সাথে কথা বলার পর আমরা জানতে পারলাম যে পুলিশ কোন মামলার এজহার নেয়নি। যার পরিপ্রেক্ষেতে হযরত আলি এবং তার মেয়ে কোন উপায়ন্তর না দেখে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। পরবর্তীতে হিউম্যান রাইট্স প্রশাসন এবং মিডিয়ার যৌথ উদ্যোগে কেস ওপেন হয় বলে তিনি উপস্থিত কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের জানান।
দরিদ্রতা, শিক্ষার অভাব, মানুষের মাঝে বোধশক্তির অভাব এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতার অভাবের কারণে বাংলাদেশে মানবধিকার লঙ্ঘন লঙ্গন হচ্ছে বলেও মানবধিকার সংস্থার চেয়ারম্যান মত প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, গউসুল আলম শাহজাদা, ডঃ হুমায়ের চৌধুরি রানা, ডা.আব্দুল ওয়াহাব, জিল্লুর রশিদ ভুঁইয়া,হাসান কোরেশী,আব্দুল মতিন,জিয়া আহমেদ, আব্দুল আউয়াল খান প্রমুখ।
বক্তারা রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা পরিবর্তন, ধর্মীয় দল, নারি ও পার্বত্য অঞ্চলে মানুষদের উপর নির্যাতন বন্ধের লক্ষ্যে আরও গঠনমূলক কাজের জন্য মানবধিকার সংস্থাকে আহবান জানিয়ে বাংলাদেশে চলে আসা অব্যহত খুন, গুম,ধর্ষন ইত্যাদি বন্ধের ক্ষেত্রে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিদেশী গন্যমান্য মেহমানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দারুল ফতোয়া নেতা জিয়াদ আল দাউদ, কোরানিক সোসাইটির শেখ রিদওয়ান একাউই, থাইকুন্ড অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি ইসাম ওবায়েদ, অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম টাইমসের প্রধান সম্পাদক জিয়া আহমেদ ও সাদ ই বাটান এর প্রধান সম্পাদক জাফর হোসাইন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সুপ্রভাত সিডনির প্রধান সম্পাদক আবদুল্লাহ ইউসুফ শামিম শুভেচ্ছা উপহার এবং সুপ্রভাত সিডনির সম্পাদক মিজানুর রহমান সুমন বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে একটি বিস্তারিত তথ্যসমৃদ্ধ নথি প্রধান অতিথি রিয়াজুল হকের হাতে তুলে দেন।
আলোচনা শেষে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করা হয়।
< Prev | Next > |
---|