দৃশ্য : ১
বর্ণনা : ঢাকা এয়ারপোর্ট। লাগেজ নিয়ে কারো জন্য অপেক্ষা করছে এক ভদ্রলোক। পরনে স্যুট-টাই। মাথায় ক্যাপ। চোখে সানগ্লাস। একটু পরই একটা হারিকেন হাতে মঞ্চে আসবে হাবলু। পরনে সার্ট-প্যান্ট, পায়ে স্যান্ডেল।
ভাই : কী ব্যাপার হাবলু, এত দেরি কইরা এলি যে?
হাবলু : এই যে তোমার লাইগ্যা হারিকেন কিনতে গিয়া দেরি হইয়া গেল।
ভাই : হারিকেন! আমার জন্য?
হাবলু : হোনো, দেশের যে অবস্থা, কোন সময় যে কোন দিক দিয়া ল্যাং মারবো টেরও পাইবা না। চোক্ষে খালি অন্ধকার দেখবা। তাই আগেভাগেই...
ভাই : দেশের অবস্থা এত খারাপ?
হাবলু : আবার জিগায়।
ভাই : আচ্ছা চল।
হাবলু : কী কও ভাইজান! এত বছর পর তোমার লগে সাক্ষাৎ, একটু মোলাকাত করুম না। (মোলাকাত করতে গিয়ে থেমে যাবে)
হাবলু : ভাইজান, তোমার কোটটা তো বেজায় সুন্দর। মেড ইন অস্ট্রেলিয়া না?
ভাই : তোর পছন্দ?
হাবলু : এত সুন্দর জিনিস কার না পছন্দ কও।
ভাই : আচ্ছা, আমি যাবার সময় তোকে দিয়ে যাবো।
হাবলু : উহু। হেলে তো মাইনশে কইবো তোর খালাতো ভাই তোরে একটা পুরান কোট দিয়া গেছে।
ভাই : তাহলে...
হাবলু : এহনই দেওন যায় না ভাইজান?
ভাই : এইখানে! এই এয়ারপোর্টে?
হাবলু : অসুবিধা কী? এইহানে তো আমাগরে কেউ চিনে না।
ভাই : আচ্ছা নে। (খুলে দেবে। হাবলু পরবে।)
হাবলু : দেহ তো ভাইজান, আমারে কেমন লাগতাছে?
ভাই : সুন্দর লাগছে। চল, এখন চল।
হাবলু : কও কী ভাইজান, মোলাকাত তো করা হইলো না। (দুজনে মোলাকাত করবে)
হাবলু : এই ভাইজান, দেখছো, তোমার কোটটার সাথে আমার প্যান্টটা খুবই বেমানান।
ভাই : বুঝছি, আমার প্যান্টটাও তোর চাই।
হাবলু : কী কও ভাইজান, চাইবো ক্যান, একটা জিনিসের মানানসই আছে না।
ভাই : আচ্ছা নে। (ভাই প্যান্ট খুলতে যাবে)
হাবলু : ছি ছি ভাইজান, এত মানুষের সামনে আমি তোমারে ল্যাংটা করবো এতটা অমানুষ তুমি আমারে কী কইরা ভাবলা। বাড়িতে গিয়া দিলেই হইবো।
ভাই : আচ্ছা চল। (দুজনে হাঁটা দেবে)
ভাই : তারপর বল, তোর পড়ালেখার খবর কী?
হাবলু : পড়ালেহা! হেইডা তো চাঙ্গে উঠছে কবেই।
ভাই : মানে?
হাবলু : এই দেশে টেহাপইসা খরচ কইরা পড়ালেহা কইরা কী হইবো। আমলা-কামলা, মন্ত্রী-মিনিস্টাররে ঘুষ না দিলে চাকরি হইবো না।
ভাই : ঘুষ দিয়ে চাকরি পেতেও সার্টিফিকেট লাগে।
হাবলু : সার্টিফিকেট! কয়টা লাগবো? ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল-ব্যারিস্টার কোনটা চাও?
ভাই : বুঝছি, নেগেটিভ কর্মকাণ্ড দেখতে দেখতে তোর মনটাও নেগেটিভ হয়ে গেছে।
হাবলু : মাত্র তো আইলা, কদিন যাউক হেরপর টের পাইবা পজিটিভ আর নেগেটিভের খেলা।
ভাই : তোর কথা শুনে আমার তো ভয়ই লাগছে।
হাবলু : আমি থাকতে কিসের ভয়? একটা ফোন দিলে মন্ত্রী-মিনিস্টাররা হাজির হইয়া যাইবো।
ভাই : কী বলিস! তুই কি আবার রাজনীতি করিস নাকি?
হাবলু : আবার জিগায়। এই দেশে রাজনীতি না করলে বাঁচতে পারবা না।
ভাই : তা তুই কোন দল করিস?
হাবলু : আবার জিগায়। বিরোধী দল কইরা কোনো লাভ আছে? বরং বিরোধী দলেরে যত ল্যাং মারতে পারবা ততই নেতাদের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। আচ্ছা ভাইজান, তোমাগো অস্ট্রেলিয়ায় বাঙালিরা কি রাজনীতি করে?
ভাই : এই প্রশ্নের উত্তরে তোর ওই ডায়ালগটা দিতে হয়।
হাবলু : কোনটা?
ভাই : ওই যে, আবার জিগায়।
হাবলু : আচ্ছা ভাইজান, আমরা দেশের মানুষ রাজনীতি করে ধান্দা-ফিকির করার লাইগা। বিদেশে বাঙালিরা রাজনীতি করে কীসের লাইগা?
ভাই : আরেকটা বিয়ে করার জন্য।
হাবলু : মানে?
ভাই : রাজনীতি না করলে বউয়ের সাথে ঝগড়া হবে কেমনে? আর বউয়ের সাথে ঝগড়া না হলে সংসার ভাঙবে কেমনে? সংসার না ভাঙলে আরেকটা বিয়ে করবে কেমনে?
হাবলু : ইউরেকা। পাইছি।
ভাই : কী?
হাবলু : এইবার তোমারে এমপি ইলেকশনে দাঁড় করাইয়া দিমু।
ভাই : আমি তোর কী ক্ষতি করলাম যে তুই আমার সংসার ভাঙার চিন্তা করছিস?
হাবলু : আমরা দুই সতীন না!
ভাই : ২০৩ মানে?
হাবলু : বুঝছি, বিদেশ গিয়া তুমি বাংলার বারোটা বাজাইয়া দিছো। ২০৩ না। দুই সতীন। মানে এক স্ত্রীর দুই স্বামী।
ভাই : এক স্ত্রীর দুইটা স্বামী! এইটা তো কোনো দিন শুনি নাই।
হাবলু : ক্যান, একটা পুরুষের যদি দুইডা বউ থাকতে পারে, এক স্ত্রীর দুইডা স্বামী থাকতে পারবো না কেন?
ভাই : কথায় যুক্তি আছে, বাট...
হাবলু : শোনো, তুমি বিদেশে যাওয়ার সময় আমারে কী কইয়া গেছিলা?
ভাই : কী?
হাবলু : আমি যেন ভাবির দিকে সব সময় খেয়াল রাখি। ভাবি যখন যা বলে তা যেন শুনি। কইছিলা কি না?
ভাই : হ্যাঁ বলেছিলাম।
হাবলু : তোমার কথা রাখতে গিয়া, ভাবিরে খুশি করতে গিয়া ভাবি তো...(কানে কানে কিছু বলবে। ভাই চিৎকার করে উঠবে)
ভাই : কী!
হাবলু : তুমি দেশে নাই, ভাবি প্রেগনেন্ট। তোমার মান-ইজ্জতের কথা চিন্তা কইরা আমি কাজি অফিসে গিয়া ভাবিরে বিয়া কইরা হালাইছি।
ভাই : হোয়াট!
হাবলু : তুমি তো ভাবিরে ডিভোর্স দেও নাই, দিছো?
ভাই : নো ওয়ে।
হাবলু : আইনত ভাবি তোমার বউ।
ভাই : অফকোর্স।
হাবলু : আইনত ভাবি তো আমারও বউ। এখন কও আমরা দুই সতীন কি না?
ভাই : তুই এসব কী বলছিস?
ভাই : আচ্ছা, তোমাগো অস্ট্রেলিয়ায় এক স্বামীর দুই বউ জায়েজ?
ভাই : নো ওয়ে।
হাবলু : আর এক স্ত্রীর দুই স্বামী?
ভাই : ইমপসিবল।
ভাই : তাহলে আমি তোমারে পসিবল রাস্তা বাতাইয়া দিতাছি। মানা না মানা তোমার ব্যাপার।
ভাই : কী?
হাবলু : যেই ফ্লাইটে আইছো সেই ফ্লাইটে রিটার্ন।
ভাই : ও গড! আমি এসব কী শুনছি। আমার মাথা ঘুরছে। চোখেমুখে অন্ধকার দেখছি। (মাটিতে বসে পড়বে)
হাবলু : আমি জানতাম। তাই তো তোমার লাইগা আগেভাগেই হারিকেন লইয়া আইছি। এই নেও। (গলায় পরিয়ে দিয়ে চোখ থেকে সানগ্লাস আর মাথার ক্যাপটা নিজের মাথায় দিয়ে লাগেজটা নিয়ে চলে যাবে। দৃশ্যান্তর
দৃশ্য : ২
বর্ণনা : গ্রামের একটি ঘরের দৃশ্য।
একজন স্ত্রীলোক শাড়ি পরে খুব সাজগোজ করে মঞ্চে পায়চারি করছে আর বারবার আয়নায় নিজেকে দেখছে।
স্ত্রী : (লম্বা ঘোমটা দিয়ে)
ধ্যাত, আজকাইলকার জমানায় এত বড় ঘোমটা কেউ দেয়। (আবার কাপড় মাথা থেকে নামিয়ে কোমরে বাঁধবে তারপর আবার আয়নায় দেখবে)
ধ্যাত, এত বছর পর আইতেছে। এ রকম সর্দারনীর মতো দেখলে ডরাইতে পারে। (এবার সুন্দর করে কাপড় মাথায় দেবে)
আচ্ছা এত বছর পর আইতেছে। পায়ে ধইরা সালাম দেওন উচিত। ধ্যাত, আজকাইল জামাইরে কেউ পায়ে ধইরা সালাম দেয়। সালামালাইকুম মুখে কইয়া দিলেই ঝামেলা শেষ। আচ্ছা, হেয় তো এত বছর বিদেশ আছিলো। আইয়াই যদি আমারে বিদেশি বউগো মতো চুমা খায়। ছি ছি, কী লজ্জা। দুরু, কীয়ের লজ্জা। খাইলে তো জামাই-ই খাইবো। কিন্তু না, এত সহজে আমি চুমা খাইতে দিমু না। দশটা বছর আমারে একলা ফালাইওয়া রাখছে। আইলেই কইষা একটা চড় দিমু। উহু, যদি মাইন্ড খায়। আরে পুরুষ মানুষ না। দশটা লাত্থি দিয়া সরি কইয়া একটু আদর করলেই সব ভুইলা যাইবো। (কাপড়টা কোমরে বাঁধবে। হাতটা কয়েকবার এক্সারসাইজ করবে। এমন সময় স্যুট-টাই পরে, চোখে সানগ্লাস, মাথায় ক্যাপ পরে ল্যাগেজ নিয়ে মঞ্চে আসবে হাবলু। স্ত্রী তাড়াতাড়ি মাথায় কাপড় টেনে পায়ে সালাম করতে গিয়ে স্যান্ডেল পরা দেখে থেমে যাবে। মাথা উঠাইয়া মুখের দিকে তাকিয়ে হাবলুকে দেখবে।
স্ত্রী : তুই!
হাবলু : এত মাজনা মারলাম, হেরপরও চিইনা হালাইছো।
স্ত্রী : ওই হারাজাদা, স্যুট-টাই পরলেই কি সাহেব হওন যায়? ক, আমার জামাইরে কী করছোস? (বেইরে তাকাবে)
হাবলু : যেই প্লেনে আইছিলো হেই প্লেনে রিটার্ন পাঠাইয়া দিছি।
স্ত্রী : কী!
হাবলু : এহন তো রাগ করতাছো। আসল কাহিনি হুনলে আমারে চুমা দিবা।
স্ত্রী : কাহিনি!
হাবলু : তোমার জামাই একটা বিদেশি মেম লইয়া আইছিলো।
স্ত্রী : কী!
হাবলু : না শুইনাই লাফ মারো ক্যা? আগে শোনো।
স্ত্রী : ক।
হাবলু : এত সুন্দর কইরা স্যুট-টাই পরলাম।একটা আদর দিবা না?
স্ত্রী : দেখ, রক্ত কিন্তু চান্দিতে উইঠা গেছে। বেশি পেচাপেচি করবি তো হাতের কাছে যেরে পাইমু হেরেই সাইজ করুম।
হাবলু : আরে শান্ত হও। এত টেনশন নিতাছো কেন, আমি আছি না।
স্ত্রী : আইজগা তোর এক দিন কি আমারই...(হাবলুকে মারতে উঠবে)
হাবলু : আচ্ছা, আচ্ছা বলতাছি, তোমার জামাই বিদেশি একটা মেমসাহেব লইয়া আইছিলো। আমি জিগাইলাম মেমসাহেব কে? কয়, তোর ভাবি। আমি কইলাম, আমার ভাবি তো বাড়িতে। হে কইলো, হে তো দেশি। এ হইলো তোর বিদেশি ভাবি। আমি কইলাম, এই বিদেশি ভাবিরে লইয়া বাড়িতে গেলে দেশি ভাবি তোমারে কাইটা টুকুরা টুকরা কইরা কাবাব বানাইবো। হেরপর কইলো, হেলে কী করুম। আমি কইলাম, মান-ইজ্জত লইয়া যেই প্লেনে আইছো হেই প্লেনে রিটার্ন যাও। কইলাম আর গেলো গিয়া!
স্ত্রী : হায় হায়, এইডা তুই কী করছোস? এহন আমার অস্ট্রেলিয়ায় যাওনের কী হইবো।
হাবলু : হে হে, এই হাবলুরে তুমি কী মনে করো। রাজনীতি কি এমনেই করি। তোমার জামাইয়ের লগে মোলাকাত করতে গিয়াই আমি তার পকেটে তোমার ভিসার গন্ধ পাইলাম। ব্যস, একটু পলিটিকস মাইরা তার কোটটা লইয়া লইলাম। এই দেহ, তোমার ভিসা। (পকেট থেকে ভিসা কের্ডিট কার্ডের একটা কাগজ বের করবে)
স্ত্রী : কই দেখি দেখি।
হাবলু : জি না ভাবিজান, এত বছর আমারে রান দেখাইয়া অনেক ঘুরাইছো। এইবার একটু আমার পেছনে ঘোরো।
স্ত্রী : ওরে হাবলু, আমি তো ভাবছিলাম তুই আসলেই হাবলু কিন্তু এখন তো দেখছি তুই...
হাবলু : হে হে, পলিটিকস করি না! সামনে চেয়ারম্যানি নির্বাচন করুম।
স্ত্রী : তা চেয়ারম্যান সাব, কী দিলে আপনে আমার ভিসাটা দেবেন?
হাবলু : পুরুষ মানুষ মাইয়া মানুষের কাছে কী চায়?
স্ত্রী : বুঝছি, আপনেরে জামাই আদর দিতে হইবো।
হাবলু : হে হে হে।
স্ত্রী : আসো, কাছে আসো। (হাবলু মুখ কাছে এনে গাল পেতে দেবে। স্ত্রী গালে কষে একটা চড় দেবে। হাবলু ওরে বাবারে বলে একটা চক্কর দেবে)
হাবলু : এইডা কেমনতরো ইয়ার্কি?
স্ত্রী : টেস্ট কইরা দেখলাম তুই আমার জামাই হইতে পারবি কি না?
হাবলু : জামাই!
স্ত্রী : কেন? তুই না আমার জামাইরে কইছোস আমি প্রেগনেন্ট। তুই আমারে কাজি অফিসে নিয়া বিয়া করছোস।
হাবলু : আস্তাগ ফেরুল্লা, নাউজুবিল্লাহ! এই সব আজগুবি গায়েবানা জানাজার খবরটা তোমারে কে দিলো?
স্ত্রী : কে দিছে? দেখাইতেছি। এই শুনছো, বঁটিটা লইয়া আইয়ো। হারামজাদারে মুসলমানি করামু।
হাবলু : ওহ ভাবি, আমার তো মুসলমানি ছোটবেলায় করাইছে।
স্ত্রী : ভালো কইরা করায় নাই। আমি তোরে ভালো কইরা করামু। (ভাই হারিকেন হাতে মঞ্চে আসবে। হাবলু দৌড় দিয়ে পালাতে গেলে ভাই সসামনে দাঁড়াবে। ভাবি এসে কলার চেপে ধরবে)
হাবলু : ভাইজান, তু-তুমি! আমার ভুল হইয়া গেছে ভাইজান, আমি যা কইছি সব মিছা। অস্ট্রেলিয়ায় যাওনের লোভে আমার মাথা খারাপ হইয়া গেছিলো। ভাবি, তোমার জামাইয়ের কোট নেও। আমারে মাফ কইরা দেও। (কোট খুলে দেবে। ভাবি হাতে নেবে। ভাবী নিজ হাতে সানগ্লাস আর ক্যাপটা মাথা থেকে নিয়ে ক্যাপটা মাথায় দিবে।)
ভাই : অস্ট্রেলিয়ার আইনে গায়ে হাত দেওয়া অপরাধ, তাই আমি তোকে মাফ কইরা দিলাম।
স্ত্রী : এইগুলি ধরো। কোট আর সানগ্লাসটা স্বামীর হাতে দিবে)
স্ত্রী: আমি এহনও অস্ট্রেলিয়ান হই নাই। তোগো মতো রাজনীতির সুবিধাবাদী চামচাগো লইজ্ঞা ভাল ভাল রাজনৈতিক নেতাগো বদনাম হয়। তোর অত্যাচারে দশটা বছর আমি শান্তিতে ঘুমাইতে পারি নাই। হেয় মাফ করলেও আমি তোরে মাফ করুম না।
হাবলু : মারবা তো মারো। তয় এই গালে না। এই গাল এহনও ব্যথায়...(অন্য গাল পেতে দেবে। ভাবি কষে একটা চড় মারবে। হাবলু ঘুরতে ঘুরতে ঘরের বেড়ার ওপরে গিয়ে পড়বে)
হাবলু : ওরে বাবারে আমি তো চোখেমুখে অন্ধকার দেখতাছি।
ভাই : ভয় নাই, আমি তোর হারিকেনটা সাথে করে নিয়ে আসছি।
স্ত্রী : দেও, অর হারিকেন অর গলায় ঝুলাইয়া দেও। (স্বামী জ্বালানো হারিকেনটা গলায় পরিয়ে দেবে)
ভাই: আলোটা বাড়াইয়া দেও। ওর ভেতরের অন্দকারটা আলোকিত হউক।
স্ত্রী আলোটা বাড়িয়ে দেবে)
হাবলু : ওরে বাবারে...(হারিকেন গলা থেকে খুলতে চেষ্টা করবে কিন্তু পারবে না)
সমাপ্ত
< Prev | Next > |
---|