IMG 9710নাইম আবদুল্লাহ : পুলিশের উপর কথিত হামলার অভিযোগে মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও উগ্রবাদীরা নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যা ও নির্যাতন শুরু করেছে। গত বছরও তারা রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর বর্বর গণহত্যা চালিয়েছিল।
ইতোমধ্যেই সেনাবাহিনী ও উগ্রবাদীরা মিয়ানমারে হাজার হাজার মুসলিম রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে গণহত্যা, ধর্ষণ, বাড়িঘর লুটপাট করে মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত করছে।

তারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করছে। শিশুদের হত্যা করছে। নারীদের ধর্ষণ করছে। বাড়িঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে। ঘরের ভেতর মানুষদের তালাবদ্ধ করে তাতে আগুন দিচ্ছে। আহত হয়েছে অসংখ্য মুসলমান। যাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।

বিশেষত দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর এমন কোনো অপরাধ নেই, যা তারা করেনি।

এটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। গত তিন দশক ধরে রোহিঙ্গাদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে মিয়ানমার সরকার। রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে লাখো রোহিঙ্গা।

ইতোমধ্যেই এই নির্মম নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞের বিভিন্ন চিত্র আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সারা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।

আমেরিকা সহ জাতিসংঘ সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের অজুহাতে মুসলিম দেশগুলোকে ধ্বংস করছে। বিশ্ব-বিবেক গণহত্যার তীব্রতার তুলনায় নীরব ও নিথর। অথর্ব জাতিসংঘ মায়ানমারের বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ।

মিয়ানমারে জাতিসংঘের যৌথ বাহিনী পাঠানো হচ্ছে না। একই সাথে ওআইসিও এগিয়ে আসছে না। যা হত্যা নির্যাতনকে নিরব সমর্থনের শামিল।

শান্তিতে নোবেল পাওয়া সুকি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তার দেশে এমন পরিকল্পিত হত্যা নির্যাতনে বিশ্বাবাসী স্তম্ভিত ও ক্ষুব্ধ।

অবিলম্বে মিয়ানমারে মুসলিমদের উপর গণহত্যা ও নির্যাতন বন্ধ করে তাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে সিডনি প্রবাসী সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সহ সকল মিডিয়া ও কাউন্সিল নেতৃবৃন্দের প্রতি সম্মিলিত প্রতিবাদ ও মানব বন্ধনের আহবান জানাচ্ছি।

সাম্প্রতিক