syvgggggআউয়াল খান: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস -২০১৭ উদযাপন

উপলক্ষ্যে বিগত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩ ঘটিকায় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা

ইন্সিটিউট’ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় “লাইব্রেরিতে একুশে কর্নার” প্রবর্তন বিষয়ক সেমিনার। বাংলাদেশ

লাইব্রেরী এসোসিয়েশন এবং অস্ট্রেলীয়াস্থ মাদার

ল্যাংগুয়েজেস কনসারভেসন মুভমেন্ট ইন্টারন্যসন্যালের

উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেস্কো, বাংলাদেশ গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর

এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সিটিউটের সহযোগিতায়

আয়োজিত এই ব্যতিক্রমী সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাদার ল্যাংগুয়েজেস

কনসারভেসন মুভমেন্ট ইন্টারন্যসন্যাল এর পক্ষে

“লাইব্রেরীতে একুশে কর্নার” বৈশ্বিক দর্শনের

প্রবক্তা এবং মাদার ল্যাংগুয়েজেস কনসারভেসন

মুভমেন্ট ইন্টারন্যসন্যাল এর প্রতিষ্ঠাতা, ও চেয়ারপারসন শ্রী নির্মল পাল।


প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে

উদযাপনে ইউনেস্কোর ঘোষনাকে অর্থবহ ও গতিশীল

করে তোলা, এবং সকল ঝুঁকিপূর্ণ মাতৃভাষা সংরক্ষণে একুশের চেতনাকে সকল ভাষাভাষীর কাছে

অনুকরণীয় এবং বাস্তবসম্মত করে তোলার লক্ষ্যে মাদার ল্যাংগুয়েজস কনসারভেসন মুভমেন্ট ইন্টারন্যসন্যালের উদ্ভাবিত প্রধান তিনটি কৌশলের মধ্যে “লাইব্রেরীতে একুশে কর্নার” দ্বিতীয় কৌশল। প্রথম

কৌশল হিসেবে বাংলার শহীদ মিনারের আদলে পৃথিবীর সর্বত্র প্রধান প্রধান শহরে, "কনসারভ

ইউর মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ” বার্তা সম্বলিত, “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্মৃতিসৌধ” প্রতিষ্ঠার

পাশাপাশি মাতৃভাষা সংরক্ষণে সকল ভাষাভাষীদের অংশগ্রহণের প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি ও সুযোগ

হিসেবে বিশ্বের সকল “লাইব্রেরীতে একুশে কর্নার”

প্রতিষ্ঠার দ্বিতীয় দার্শনিক দিক তুলে ধরা হয়েছে।


পৃথিবীর সকল ঝুঁকিপূর্ণ মাতৃভাষা সংরক্ষণে

সকলের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করার লক্ষ্যে “লাইব্রেরীতে

একুশে কর্নার” দর্শনে বর্তমানে লাইব্রেরীতে প্রচলিত প্রথার সাথে একটি বুকশেলফ সংযোজন

করে স্থানীয় সকল ভাষার শুধুমাত্র বর্ণমালা, ভাষা আন্দোলন এবং তৎসংক্রান্ত তথ্য, উপাত্ত, প্রামান্য দলিল দস্তাবেদ

সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং সেবা প্রদানের প্রথা চালু করার প্রথা সন্নিবেশিত করা হয়েছে একুশে কর্নার দর্শনে। এই বুকশেলফ

"কনসারভ ইউর মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ” সম্বলিত বৈশ্বিক পোস্টারের মাধ্যমে বিশেষ স্থানে

স্থাপন করে মাতৃভাষা সংরক্ষণে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও শিক্ষায়

উৎসাহিত করবে।


ইতিপূর্বে গৃহীত সকল লাইব্রেরীতে “একুশে

কর্নার” প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তের আলোকে বাংলাদেশ লাইব্রেরি এসোসিয়েশন বিশেষ ভাবে বৈশিষ্টপূর্ণ

ব্যতিক্রমী এই সেমিনারের আয়োজন বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ এবং একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ

বলে উপস্থিত সুধি ও বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ মতামত ব্যক্ত করেন। তিন পর্বে বিভক্ত এই

সেমিনারের উদ্বোধনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ লাইব্রেরী এসোসিয়েশনের সভাপতি

প্রফেসর এম নাসিরুদ্দিন মুন্সি, প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সাবেক সচিব জনাব এন আই খান,

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব জনাব আরাস্ত খান এবং জনাব জাকারিয়া শহিদ,

ব্যবস্থাপনা পরিচালক এডিশন গ্রুপ, এবং মিসেস বুলি ইসলাম।


দ্বিতীয় পর্বে “লাইব্রেরীতে একুশে কর্নার”

দর্শনের প্রবক্তা শ্রী নির্মল পালের, “Introducing Ekushey Corner at Library“ টাইটেলে ২১ পৃষ্ঠায় ঊত্থাপিত ইউনেস্কো

বরাবরে ১৩টি এবং বাংলাদেশ সরকার বরাবরে ৭টি

সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব সম্বলিত প্রবন্ধের উপর প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সর্ব জনাব

রাশেদা কে চৌধুরী, সাবেক তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, জনাব শ্যামল কান্তি ঘোষ, সাবেক সচিব, জনাব রহমতউল্লাহ

আল মাহমুদ সেলিম, একুশে পদক প্রাপ্ত, জনাব আশিস কুমার সরকার, মহা পরিচালক গণগ্রন্থাগার

অধিদপ্তর, জনাব এম নাসিরুদ্দিন মুন্সি, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্যানেল আলোচনা

সঞ্চালন করেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেস্কোর সচিব জনাব মনজুর হোসেন। তাঁর সাবলীল

ও গঠনমূলক সঞ্চালনায় আলোচকগণ লাইব্রেরীতে “একুশে কর্নার দর্শন”কে সমসাময়িক পরিস্থিতিতে

অত্যন্ত বাস্তবভিত্তিক কার্যকরী অথচ স্বল্পব্যয়ে বাস্তবায়ন সম্ভব পরিকল্পনা হিসেবে

মূল্যায়ন করে তা বাস্তবায়নে সুপারিশ করে তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেন। দেশী বিদেশী অনেক উপস্থিত ভাষাপ্রেমীদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া

থেকে মাদার ল্যাংগুয়েজেস কনসারভেসন মুভমেন্ট

ইন্টারন্যসন্যাল এর নির্বাহী পরিচালক জনাব এনাম হক, বাংলা কথা’র সম্পাদক সালেহা

হক এবং ভারত থেকে আগত ডাঃ নিতাই চন্দ্র ঘটকের

উপস্থিতি এবং গঠনমূলক উপস্থাপনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। উপস্থিত সম্মানিত অতিথি, সুধি

এবং লাইব্রেরিয়ানসহ সকল একুশপ্রেমী বাংলাদেশ লাইব্রেরী এসোসিয়েশনের এই মহতি আয়োজনের

ভূয়সী প্রশংসা করেন।


তৃতীয় পর্বে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক

অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

সাম্প্রতিক