নাইম আবদুল্লাহ:
প্রতিবন্ধী কন্যাশিশুর জন্য অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী অভিবাসনের আবেদনপত্র বাতিল হয়ে যাওয়া প্রবাসী চিকিৎসক দম্পতির পরিবার দেশটির অভিবাসন মন্ত্রীর কাছে 'রিভিউ পিটিশন' করে পুনরায় দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমোদন দিয়েছে।
গতকাল ২৪ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) অস্ট্রেলিয়ার সহকারী অভিবাসন মন্ত্রী সুমাইয়ার মা নাসরিন হকের সাথে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে সুমাইয়ার স্থায়ী অভিবাসনের আবেদনপত্র গ্রহণ করে তাকে স্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের অনুমোদনের খবর দেয় বলে তিনি জানিয়েছেন।
রোগে আক্রান্ত ওই শিশুর নাম সুমাইয়া। তার বয়স ১৫ বছর। মা নাসরিন হক এবং বাবা শফিকুল ইসলাম চিকিৎসক।
শিশুটির মা নাসরিন হক চৌধুরী এর আগে জানিয়েছিলেন, 'ডেভেলপমেন্টাল ডিলে' রোগ ধরা পড়ায় তার মেয়ের শরীর ও মনের স্বাভাবিক বৃদ্ধি কিছুটা ব্যাহত হয়। সুমাইয়ার চিকিৎসার জন্য দেশটির সরকারের ব্যয় বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে পরিবারটির স্থায়ী অভিবাসনের আবেদনপত্র বাতিল করা হয়েছিল।
এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায় সুমাইয়ার পরিবার রিভিউ পিটিশনসহ অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রীর কাছে আবেদন এবং 'সাইন ইন'- এ অংশ নিয়ে প্রতিবন্ধী শিশুটিকে নিজ পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ করে দেওয়ার সহযোগিতা চেয়ে সবার কাছে মানবিক আবেদন জানিয়েছিলেন।
শিশু সুমাইয়াকে তার পরিবারের সঙ্গে রাখার জন্য অনলাইনে পিটিশন লিঙ্কে 'সাইন ইন' করে সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার মানুষকে 'সাইন ইন' করতে হয়েছিল পিটিশনের জন্য।
এই অনলাইনে পিটিশন লিঙ্কে 'সাইন ইন' করতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলগুলো গুরুত্বের সঙ্গে সংবাদ দেয়।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিদেশবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম 'সাইন ইন লিঙ্ক'সহ সংবাদটি প্রকাশ করে।
২০০৯ সালে হাঙ্গেরি থেকে স্টুডেন্ট ভিসায় আসা এই দম্পতি ২০১০ সালে স্থায়ী অভিবাসনের জন্য আবেদন করেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পরিবারের বাকি তিন সদস্য উত্তীর্ণ হলেও আটকে যায় সুমাইয়া।
সুমাইয়ার পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী অভিবাসনের অনুমোদনের সুখবরটি শোনার পর আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি দেশে-বিদেশে সকল শুভাকাঙ্খিসহ বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও টিভি নিউজ চ্যানেলগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
< Prev | Next > |
---|