mel nমেলবোর্ন : অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে পথচারীদের জন্য স্থাপিত ট্রাফিক বাতিতে পুরুষের বদলে নারীর প্রতিকৃতি রাখা হচ্ছে। ‘অসচেতনভাবে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ’ কমাতে এবং লিঙ্গসমতার উন্নয়নে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসে অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।

খবরে জানানো হয়, নগরের ব্যস্ত সড়কগুলোর সংযোগস্থলে ট্রাফিক বাতিতে ১০টি থামা ও চলাচলের নির্দেশসংবলিত প্রতীক নারীর প্রতিকৃতি দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও অনেকে এ বিষয়টি ১২ মাস আদালতে বিচারাধীন থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মেলবোর্ন কমিটি নামের একটি পরামর্শক গোষ্ঠীর কর্মকর্তা মার্টিন লেটস অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে বলেছেন, এ ধারণার পেছনে রয়েছে রাস্তা পারাপারে প্রতিকৃতির ক্ষেত্রে লিঙ্গসমতার উন্নয়ন এবং অলক্ষ্যে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ কমিয়ে আনা। তবে এই পদক্ষেপ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।

অনেকে এ নিয়ে কৌতুক করছেন। টমাস জন জাসপেরস নামের একজন টুইট করেছেন, ‘আমি মেলবোর্নের নতুন ট্রাফিক বাতিকে নারীর পোশাক পরা ছোট সবুজ পুরুষ হিসেবে ভাবতে চাই।’

মেলবোর্নের মেয়র রবার্ট ডয়েল এই পদক্ষেপের উপকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘লিঙ্গসমতার জন্য আমরা যথাসাধ্য সব করছি, কিন্তু সত্যিই কি?

দুর্ভাগ্যবশত আমি মনে করি, এই ধরনের ব্যয়বহুল কাজ এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সমর্থন দেওয়ার পরিবর্তে বিদ্রƒপই প্রকাশ করে।’ ভিক্টোরিয়া রাজ্যের নারীবিষয়ক মন্ত্রী ফিওনা রিচার্ডসন লিঙ্গ সামঞ্জস্য রক্ষার এই ট্রাফিক বাতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁর মতে, পুরুষ প্রাধান্য মোকাবিলায় এটা সহায়তা করবে। তিনি বলেন, বিষয়টি ছোট।

কিন্তু এর প্রতীকী তাৎপর্য রয়েছে। এভাবে সাধারণের জন্য উন্মুক্ত স্থান থেকে নারীদের বাদ দিয়ে রাখা হয়। ছোট বিষয়গুলোতে পুরুষ প্রাধান্য পাওয়ার সংস্কৃতি রয়েছে। যেমন পথচারী পারাপারের ক্ষেত্রে ট্রাফিক বাতিতে পুরুষ প্রতিকৃতি ব্যবহার করা। আবার নারীদের পারিবারিক সহিংসতার শিকার হওয়ার মতো বড় বিষয়ও রয়েছে।

সাম্প্রতিক