গাইবান্ধা : এমপি লিটন হত্যায় ব্যবহৃত আরো একটি পিস্তল ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কর্ণেল (অব.) ডা. আব্দুল কাদের খাঁনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে আব্দুল কাদের খাঁনের সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপরহাটি (খাঁনবাড়ী) গ্রামের বাড়ির উঠানে মাটি খুড়ে ৬ রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগজিনসহ একটি পিস্তুল ও একটি ফাঁকা ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়।
এ নিয়ে লিটন হত্যায় ব্যবহৃত তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে দুইটি অস্ত্র উদ্ধার হলো। এর আগে কর্ণেল কাদের খাঁন নিজেই তার লাইসেন্সকৃত একটি পিস্তুল ও ১০ রাউন্ড গুলি সুন্দরগঞ্জ থানায় জমা দেন বলে জানান সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান।
ফলে এখন পর্যন্ত ওই হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত গুলিসহ দুইটি পিস্তল, পিস্তলের ম্যাগাজিন, শর্টগানের কভার, ১০টি গুলির খোসা, হেলমেট, ক্যাপ, মোবাইল সিম এ একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান আরো জানান, বুধবার দুপুর থেকে কর্ণেল কাদের খানের বাড়ি পুলিশ ঘিরে রেখে রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আহম্মেদ বশিরের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলামসহ পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের একটি দল তল্লাশি চালায়।
এছাড়া গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট তার বাড়ির সামনের তিনটি বিশাল পুকুরের পানি মেশিন দিয়ে সেচ দিয়ে সেখানেও তল্লাশি করা হয়। কিন্তু রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত সেখানে কোনো কিছু মেলেনি। পরে ১০ দিন পুলিশ রিমান্ডে থাকা সাবেক এমপি কর্ণেল (অব.) আব্দুল কাদের খানের দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী গভীর রাতে তার বাড়ির উঠানে মাটি খুড়ে গর্তে রাখা এই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, লিটন হত্যায় তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়। উদ্ধার হওয়া এই পিস্তুলটিও এমপি লিটন হত্যাকান্ডে ব্যবহার করেছিল। অন্য অস্ত্রটিও উদ্ধার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এর আগে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ কাদের খাঁনের লাইসেন্সকৃত পিস্তল ও গুলি থানায় জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু কাদের খান মোট চল্লিশ রাউন্ড গুলির মধ্যে মাত্র ১০ রাউন্ড গুলিসহ পিস্তলটি থানায় জমা দেন। বাকি গুলিগুলো কী করলেন। তার কোনো সন্তোষজনক জবাব তিনি দিতে পারেননি।
< Prev | Next > |
---|