(এ.কে.এম শামছুল হক রেনু)
বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এবং ১৯৮১ সালের ৩০ মে দুটি অবিস্মরণীয় দিন। এই সময়ে দেশী বিদেশী কুশীলবদের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ও রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নির্মমভাবে নিহত হন। যা মর্মস্পর্শী, বেদনা বিধুর ও দুঃখজনক। তারপর থেকে এদেশের রাজনীতি নতুনভাবে আবর্তিত হয়। একদিকে শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা ও জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং অন্যদিকে জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য সহধর্মিনী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতিতে পদার্পন করেন। শেখ হাসিনার ওপর যেমনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি তেমনিভাবে বেগম খালেদা জিয়ার ওপরও বিএনপির রাজনৈতিক নেতৃত্ব সংগত কারণেই অর্পিত হয়। শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যেমনি শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ছাড়া সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মত অন্য কোন বিকল্পপন্থা ছিলনা, তেমনি বেগম খালেদা জিয়া ছাড়াও বিএনপির রাজনীতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মত কোন বিকল্পপন্থার সুযোগ ছিলনা। তদোপরি লক্ষ্য করলে দেখা যায়, দুই দলের দুই নেত্রীর প্রতি দুই দলের নেতা কর্মিসহ তৃণমুলের নেতা কর্মিদেরও রয়েছে অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস।
দুই দলের দুই নেত্রী দুই মহান নেতার অবর্তমানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতির হাল ধরে না রাখলে আজ এ দুটি দল এ জায়গায় সমাসীন হতে পারত না বলে দেশের রাজনীতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বিশ্লেষণ। তবে দেশে ডান, বাম ও মধ্যপন্থার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থাকলেও স্বাধীনতার পর থেকে ৪৬ বছরে তৃতীয় ধারার কোন রাজনৈতিক মেরুকরণ বা বলয় গড়ে ওঠেনি। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে আওয়ামী লীগের বি-টিম হিসেবে আখ্যায়িত বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র ও শ্রেণী সংগ্রামের নামে “জাসদ” এর আবির্ভাব হলেও দলটি এ পর্যন্ত নিজস্ব বলয়ে স্বকীয়তা বজায় রাখতে সক্ষম হয়নি। এই দলের নেতারা বিভিন্ন ক্ষমতাসীন দলের সাথে চলে যায়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপি সরকারের মন্ত্রীত্বের অংশীদারিত্ব যেমনিভঅবে তাদের স্বকীয়তাকে হারিয়েছে এবং জাসদ থেকে বাসদের সৃষ্টি হয়েছে তেমনিভাবে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুর পর তার প্রতিষ্ঠিত দল ভাসানী ন্যাপ জিয়াউর রহমানের সাথে প্রথমে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট এবং ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির গঠিত হলে অধিকাংশ নেতা কর্মি দল ত্যাগ করে বিএনপিতে যোগদান করে থাকে। ফলশ্রুতিতে ভাসানী ন্যাপের অস্থিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ে। ভাসানী ন্যাপের তৎকালীন চেয়ারম্যান মশিউর রহমান (যাদু ভাই) জিয়াউর রহমানের আমলে সিনিয়র মন্ত্রীর পদ লাভ করে থাকেন। যদিও ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী আওয়ামী লীগের স্থলে শেখ মুজিবুর রহমান “বাকশাল” প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তী সময় ১৯৮৫ সালে সামরিক শাসক এ.এইচ.এম এরশাদের সার্বিক নেপথ্য সহযোগীতায় “জনদল” গঠিত হলে সেখানে ও হাতে গুনা ভাসানী ন্যাপের টুনকো অবশিষ্ট অংশটি চলে যাওয়ার
চলমান পাতা/২
পাতা: ২
পর তেমন কিছু অবশিষ্ট আছে বলে দেশের রাজনৈতিক সচেতন মহল মনে করেনা। যদিও বর্তমানে ২০ দলীয় জোটে ভাসানী ন্যাপের নামে একটি দল রয়েছে। এমনিভাবে আওয়ামী লীগও বাকশাল নেতা রাজশাহীর সরদার আমজাদ হোসেন এরশাদের মন্ত্রী পরিষদে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। এখানে এক সময়ের আওয়ামী লীগ নেতা এবং পরবর্তী সময় আওয়ামী লীগ (মিজান) নেতা মিজানুর রহমানের কথা নাইবা বললাম। তিনিও এরশাদের মন্ত্রী সভার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।
বর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রয়েছে ১৪ দলীয় মহাজোট এবং বিএনপির নেতৃত্বে রয়েছে ২০ দলীয় জোট। দুটি জোট হলেও, কার্যত আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকেই দেশের সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কারণ এ দুটি দলের তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত বি¯তৃত রয়েছে রাজনৈতিক ও সহযোগী সংগঠন এবং জনসমর্থন। এক সময়ে সোভিয়েত রাশিয়ায় বৃষ্টি হলে বাংলাদেশে ছাতি ধরা হত বলে আখ্যায়িত ন্যাপ (মোজাফ্ফর) এরও আজ কোন অস্থিত্ব নেই। যদিও ইতোমধ্যে দলটি গণতান্ত্রিক পার্টি অন্য রাজনৈতিক দলে বিভক্ত হয়েছে এবং এই দলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের সহধর্মিনী বর্তমান ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় মহাজোট থেকে এমপি মনোনিত। যদিও ১৪ দলীয় মহাজোটের শরীক ব্যতিত ন্যাপ (মোজাফ্ফর) হিসেবে পরিচয় দেয়ার মত তাদেরও সুযোগ নেই বলে মনে করার মত সুযোগ রয়েছে। কোন কারণে মহাজোট থেকে চলে আসলে এবং মহাজোট কোন কারণে বেড় করে দিলে এই দলের অবস্থা ক্যামোথেরাপি দিয়ে রাখার রোগীর মতই সংকটাপন্ন মনে করা হলে তাতে অত্যুক্তি হওয়ার সুযোগ আছে বলে মনে করার কারণ না থাকারই কথা। স্বাধীনতার আগে ও পরে ত্রিদলীয় ঐক্যজোটের শরীক মনি সিংয়ের কমিউনিষ্ট পার্টির বর্তমান রাজনৈতিক হাল হকিকত কেও যেমন আমলে নেয়ার মত কার্য পরিধি অনুকুলে আছে বলে অনেকেরই ভাবার সুযোগ নেই।
অপরদিকে সকালে এক কথা, বিকেলে অন্য কথা এবং রাতে আরেক কথা বলে ত্রিশংকু জাতীয় পার্টির নেতা এইচ.এম এরশাদ দলকে এমন অবস্থায় দাঁড় করিয়েছেন তার অবস্থা যেমন তলানিতে তেমনি মরা হাতীকে শিকল দিয়ে তীরে উঠানোরই নামান্তর। তারপরও এককভাবে ৩০০ আসনে জাতীয় পার্টির প্রতিদ্ধন্ধীতার আজান ও উলুধ্বনি সুর শুনে অনেকেই এটাকে আমলেই নিতে চাচ্ছেনা। যদি একাদশ নির্বাচন সুষ্টু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্টিত হয় এবং সেই নির্বাচনে জাপা এককভাবে অংশ গ্রহণ করে থাকে তবে এর পরিণতির কথা অনেকেই বর্ণনা করে এমন মন্তব্য শুরু করেছে যা বলতেও গণমাধ্যম কর্মিসহ অনেকই দ্বিধা সংকোচ করে থাকে। তাছাড়া এই দলটির (জাপা এরশাদ) ভূমিকা কী এবং বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে এটাকে অনেকেই যেমন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে থাকে, তেমনি সরকারী দলের লোকরাও বাদ যায়নি। কারণ এখনও এই দলের ২ জন প্রতিমন্ত্রী, একজন মন্ত্রী ও এরশাদ নিজেও মন্ত্রীর মর্যাদায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিদেশ দূতের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অপরদিকে তার দল এবং তার সহধর্মিনী সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হলেও এ পর্যন্ত জাতীয় স্বার্থে তেমন কোন ভূমিকা রাখছেন বলে দৃশ্যমান কিছু দেশের মানুষ মনে করেনা। যদিও দেশের সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে সরকারী দলের সংসদ সদস্যরই ফ্লোর নিয়ে সংসদে উপস্থাপন করে থাকে। যদিও মাঠের বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি তা অহরহই বলে যাচ্ছে।
অধিকন্তু সংসদ অধিবেশন চলাকালীন গ্যাস, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি, ভ্যাট ও ব্যাংকিং সেক্টরের সমস্যার কথা অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম.এ মান্নান সহ অনেকেই তুলে ধরেছেন। সেখানেও জাতীয় পার্টির তেমন ভূমিকা ছিল বলে দেশের মানুষ তা গণমাধ্যম ও মিডিয়াতে দেখতে পায়নি। স্বাধীনতার পর অনেক সংসদে অনেক গৃহপালিত বিরোধীদলের আবির্ভাব হলেও বর্তমান জাতীয় পার্টির মতো এমন বিরোধী দলের দৃশ্যবরণ দেখা যায়নি। তাই বর্তমান সংসদের বিরোধী দলকে স্কুল কলেজের প্রতীকি পার্লামেন্ট শো বির্তক অনুষ্ঠানে সংসদের বিরোধী দলের ভূমিকার পক্ষকে সাজনা গাছের ঢেঁকি, কানাই সন্যালের ঘোড়ার ডিম উপন্যাস এবং সিকিমের লেন্দুস দর্জির মতো খাংসার পা বিরোধী দল হিসেবে প্রতিপক্ষকেও বলতে শুনা যায়। ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের সময় কালে পার্লামেন্ট বিরোধী দলের আসনে ছিলো আওয়ামী লীগ। সেই সময় সংসদে আওয়ামী লীগের বিরোধী দলের নেতা আসাদুজ্জামান খান যে বলিষ্ট ভূমিকা রেখে গেছেন সেই সময়ের সংসদের প্রসিডিং আজো অনেকেই স্মরণ করে থাকে। তখন বিরোধী দলের নেতা বঙ্গোপসাগরে জেগে উঠা তালপট্টি বা পূর্বাশা দ্বীপে বাংলাদেশের ন্যায্য অংশ পাওয়া এবং ভারতীয় আক্রমনের বিরুদ্ধে সংসদে এমনভাবে উপস্থাপন করেছিলেন যা স্মরণযোগ্য। আর আজ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী ভোটার বিহীন ১৫৪ জনের সাথে সংসদে জাতীয় পার্টির ভূমিকাকে বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের পর অষ্টম আশ্চর্য হিসেবে দেশ বিদেশের মানুষ ও গণমাধ্যম স্থান করে নিতে ভুল করেনি। তারপরও সম্প্রতি ৫ দিন ভারত সফর করে এসে ২৩/৭/১৭ ইং এরশাদ দলের এক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘এই সরকারের পরিবর্তনের সময়” এসেছে। “ভারত জাতীয় পার্টিকে আগামী ২০১৮-১৯ এর একাদশ নির্বাচনে ক্ষমতায় দেখতে চায়’। যা ২৪/৭/১৭ ইং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এরশাদের এই মন্তব্যে একজন পথচারী পত্রিকা পাঠক এই সংবাদ পড়ে মন্তব্য করে বলেছেন, নয় মন ঘিও হবেনা রাধামনের লেটে পরা হাতীও আর উঠে দাড়াবে না। ইহা এরশাদের অলীক স্বপ্ন
চলমান পাতা/৩
পাতা: ৩
এবং বেহুশের কান্ড বলেও পথচারী মন্তব্য করতে কুণ্ঠাবোধ করেনি। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ধারায় আবর্তিত রাজনীতির পর এ দেশে রাজনীতির তৃতীয় ধারা নিয়ে রয়েছে অনেক কথা। সম্প্রতি কয়েকটি দলের বাঘা বাঘা নেতারা তৃতীয় ধারার রাজনীতির ব্যাপারে আশাবাদ ব্যাক্ত করলেও জনগণ ও রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। উদ্যোগীদের মধ্যে রয়েছেন জেএনডির আ.স.ম আব্দুর রব, গণ ফোরামের ড. কামাল হোসেন, বিকল্প ধারার বি-চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের মান্না প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। বিএনপি থেকে চলে আসা বা অনেকের মতে বাদ পড়া ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা ইদানিং অনেক কথা বললেও জনগন রাজনৈতিক দল, মহাজোট ও জোটের মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়া না দেখে অবশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের সময় চেয়েছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশি হয়েছে। অনেকেই মন্তব্য করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে নাজমুল হুদা সাক্ষাৎ পাক না পাক তবে প্রধানমন্ত্রী তার মতলব সম্পর্কে ভালো করেই জানার কথা।
এত কিছুর পরও যদি তৃতীয় ধারার রাজনীতি হয় তবে তা দেশের আবর্তিত রাজনীতি এবং একাদশ সংসদ নির্বাচন ও রাজনীতির জন্য একটি শুভ সম্ভবনা। অনেকের ধারণা জাতীয় ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শুধু নেতাদের ঐক্যের মধ্যে তৃতীয় ধারার সৃষ্টি হলেও তাদের দরবার দেশব্যাপী সংগঠন ও জনমতের বহিঃপ্রকাশ। যদি তা না হয় তবে তৃতীয় ধারা দেশের আগামী রাজনীতিতে আবর্তিত বড় দুই দলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনৈতিক কালচারের বাইরে নতুন দিক দর্শনের প্রতিফলনকে দেশের মানুষ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ খুব একটা সূর্যরশ্নি বা আলোর পথ দেখতে পাচ্ছে না। এতকিছুর পরও এবং আবর্তিত বড় দুই দলের পরও আগামী ২০১৮-১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে একটি শক্তিশালী তৃতীয় ধারার রাজনৈতিক আবির্ভাবকে অনেকের মতে একেবারে খাটো করে দেখার সুযোগ না থাকারই কথা। দেশের মানুষ সকল দল মতের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্টু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায়। অতীতের মত নির্বাচন কমিশনের বড় বড় কথা, বর্তমান ইসি, সিইসির ৭ দফা রোডম্যাপ না দেখে মানুষ দেখতে চায় বাস্তবতা ও গণতন্ত্রের অনুশীলন। তা না হলে বড় দুই দলের আবর্তিত রাজনীতি থেকে যেমনি বেড় হওয়ার সুযোগ নেই তেমনিভাবে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশকে হানাহানি, সন্ত্রাস, মুক্তি ও শান্তির লক্ষ্যে আবর্তিত রাজনৈতিক দৃষ্টিতে রাজনৈতিক সংঘাত ও অশনি সংকেতের ধারণাকে একেবারে উড়িয়ে দেয়ার মত অবস্থা মনে না করারই কথা। যা ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথোপকথন, বক্তৃতা, বিবৃতি ও সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠান থেকে বাক্য বিন্যাস গণমাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে।
বলা চলে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ওফাতের পর হযরত আবু বক্কর (রাঃ) মত প্রজ্ঞাবান, দৃঢ়তা সম্পন্ন, সুযোগ্য ও দুরদর্শী খলিফা না থাকলে, ইসলামের বেদুঈন গোত্রদের সাথে মিলিত হয়ে অংকুরেই ধ্বংস হয়ে যেতো। ঐধফ ঃযবৎব নববহ হড় ঐধুৎধঃ অনঁ ইধশশবৎ (জ.) ওংষধস ড়িঁষফ সধষঃবফ ধিু পড়সঢ়ৎড়সরংব রিঃয ঃযব ইবফরিহ ঃৎরনবং। তেমনি দশম নির্বাচনের পর থেকে একাদশ নির্বাচন নিয়ে ইসি, সিইসি, সরকারী দল, সরকার, বিএনপি সহ অন্যান্য ছোট বড় দল, নেতা কর্মি ও দেশের তৃণমূলের মধ্যে এখনই যে আলোচনা, সমালোচনা, বাদ প্রতিবাদ, তীর্যক কথাবার্তা চলছে, তার জন্য দেশের আবর্তিত রাজনৈতিক দলের প্রেক্ষাপটে দরকার গ্রহণযোগ্য তৃতীয় ধারার আবির্ভাব। এসব কিছু ব্যর্থ হলে রাজনৈতিক অঙ্গন যেমন অতীতের মত ঘোলাটে হওয়ার সম্ভাবনা, তেমনি অশনি সংকেতকেও অনেকেই উড়িয়ে দিচ্ছেনা। তা না হলে আবর্তিত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে যা হওয়ার তাই হবে এবং এই সুযোগে হয়তো মরমী কন্ঠে না বলে হয়তো একটু তীর্যক ও বেরসিক কন্ঠে কোন গায়ক গাইতে পারে, মন মাঝি তোর বৈঠা নেরে, আমি আর বাইতে পারলাম না। কেহই আর বিনা ভোটের নির্বাচন এবং বিনাভোটের এমপি দেখতে চায়না। মানুষ চায় শান্তি, স্বস্থি, নিরাপত্তা। মানুষ চায় শুধু শুধু শ্লোগানের মধ্যে সীমাব্ধ না থেকে আসলেই আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি থাকে দেয়ার শ্লোগানের বাস্তবতার প্রতিশ্রুতি ও প্রতিফলন।
(এ.কে.এম শামছুল হক রেনু)
লেখক কলামিষ্ট
< Prev | Next > |
---|