ঢাকা : প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপারস (পিডব্লিউসি)-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল (পিপিপি অনুসারে) ৬২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০৫০ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ৩ হাজার ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে। আইসিসি বাংলাদেশ-এর সর্বশেষ (এপ্রিল-জুন ২০১৭) নিউজ বুলেটিনের সম্পাদকীয়তে একথা বলা হয়েছে।
২০১৬ সালে বিশ্বের ৩২টি বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩১তম ছিল উল্লেখ করে এতে বলা হয়, এক দশকে বাংলাদেশের জিডিপি মোটামুটি শতকরা ৬ ভাগের ঘরে থাকার পর ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশে পৌঁছেছে। রিপোর্টে বলা হয়, ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও ভিয়েতনাম দ্রুততম প্রবৃদ্ধির অর্থনৈতিক দেশে পরিণত হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে এবং সার্বিকভাবে বিশ্বে বৃহৎ অর্থনীতিতে ২৩তম স্থানে উঠে আসবে। পিডব্লিউসি পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটির (পিপিপি) ভিত্তিতে গ্রস ডমেস্টিক প্রোডাক্টে (জিডিপি) ৩২টি দেশের অবস্থান নির্ধারণ করেছে এবং তা ২০৫০ সাল পর্যন্ত তৈরি করেছে।
যুক্তরাজ্যের ‘দি বিজনেস ইনসাইডার’ তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশ গত কয়েক দশকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে এশিয়ায় শীর্ষস্থানীয় ভূমিকা রাখছে এবং বর্তমানে এশিয়ান টাইগারের তালিকায় ৫ম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশে গড়ে এখন বার্ষিক শতকরা ৬ ভাগেরও বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ২২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনীতির বাংলাদেশ কয়েকটি বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পদ্মা সেতু, ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মেট্রো রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভারস, কয়েক ডজন অর্থনৈতিক জোন ও পায়রা সমুদ্র বন্দর।
সুদের হার পতন, অর্থসংস্থানে প্রবেশের সুযোগ বৃদ্ধি, পোশাক শিল্পে কাজের পরিবেশের উন্নতিসহ বিভিন্ন ইতিবাচক পরিবর্তনের ফলে ব্যবসায়ীদের নতুন চ্যালেঞ্জ নেয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে এবং রফতানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিগত অর্থবছরে অনেকগুলো ফাস্ট-ট্র্যাক প্রকল্প বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করেছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণের জন্য ১১ দশমিক ৫ বিরিয়ন মার্কিন ডলারতহবিলের ঘোষণা দিয়েছে। এটি এই উপমহাদেশে রেলের ক্ষেত্রে এডিবির সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। এ রেললাইনটি ট্রান্স -এশিয়া রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ, যা মিয়ানমারসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রবেশাধিকার উন্নত করবে।
< Prev | Next > |
---|