235060 180স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি ২৪ সেন্টিমিটার বেড়ে ১৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ১৯৮৮ সালের পর এবারই প্রথম যমুনার পানি বিপৎসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পানি আরো বাড়ার আশঙ্কা আছে বলে জানিয়েছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা। সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান ইমাম জানান, ১৯৮৮ সালে জেলায় বিপৎসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছিল। এটাই ছিল সর্বোচ্চ। এবার সেই সীমার চেয়েও অনেক ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পানি বাড়ায় জেলার ২৮৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও শুকনা খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এসব মানুষ।

গবাদি পশুর খাবার সংকট থাকায় নানা দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে বানভাসি মানুষ। জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ৪০টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মাত্র চারদিনের ব্যবধানে ৪০ হাজার পরিবারের আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এদিকে জেলার অভ্যন্তরে করতোয়া, ফুলজোর, হুরাসাগর ও চলন বিলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। অনেকে ওয়াপদা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে দুই হাজার হেক্টর ফসলের জমি। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানান, ইতোমধ্যে পাঁচ উপজেলায় ১৭০ মেট্টিক টন চাল ও সাড়ে আট লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বুধবারের মধ্যেই বিতরণ করার কথা জানান তিনি। জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুন নাহার সিদ্দিকা জানান, নদীর পানি বেড়েই চলেছে। কোনো অবস্থাতেই যেন বাঁধ এলাকায় কোনো ধস বা ভাঙন সৃষ্টির পরিস্থিতি না হয়, সে জন্য পাউবোকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বাঁধগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

সাম্প্রতিক