বিটিভি থেকে নেওয়াঢাকা : কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে গণভবনে আলেমদের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ ক্লাস দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের মান দেওয়া হলো।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা একটি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। যাতে এর মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি হতে পারে। অনেক সমস্যাই এখন থাকতে পারে এখানে। কিন্তু ধীরে ধীরে আমরা এগুলো আলোচনার মাধ্যমে দূর করবো।’

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে বৈঠকে যোগ দিতে রাত সোয়া ৮টার দিকে গণভবনে আসেন হেফাজতে ইসলামের আমির ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তার নেতৃত্বে গেছেন প্রায় ৩০০ জন আলেম এ বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে কওমি আলেমদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, কওমি মাদ্রাসার দাওয়ায় হাদিসের মান হচ্ছে এমএ (আরবি/ ইসলামের ইতিহাস) সমমান। সনদের স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে কওমিপন্থীদের সঙ্গে সরকারের টানাপোড়েনের অবসান ঘটলো।

সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য সরানোর আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার রাতে নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে কওমী মাদ্রাসার আলেমদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ আশ্বাস দেন তিনি।

হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে বৈঠকে কওমী মাদ্রাসাগুলোর শীর্ষ প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনটি শুরু থেকেই ভাস্কর্য সরানোর দাবি করে আসছিল।

আলেমদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি নিজেও এটা পছন্দ করিনি। বলা হচ্ছে- এটা নাকি গ্রিক মূর্তি…। এখানে গ্রিক মূর্তি কেমন করে আসবে?'

এসময় তিনি বলেন, 'গ্রিকদের পোশক ছিল একরকম। এখানে আবার দেখি- শাড়ি পরিয়ে দিয়েছে। এটাও হাস্যকর হয়েছে।'

ভাস্কর্য অপসারণের আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'প্রধান বিচারপতির সঙ্গে খুব শিগগিরই বসব। আপনারা ধৈর্য ধরেন, ভরসা রাখেন। এজন্য যা যা করা দরকার আমরা তা করব।'

সাম্প্রতিক