m shovaঢাকা : সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে এবং আলোর পথে এগিয়ে চলার অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে জাতি আজ বরণ করে নিয়েছে ১৪২৪ বঙ্গাব্দকে। উগ্র মৌলবাদী ভীতি তুচ্ছ করে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখতে সর্বজনীন চেতনায় উদ্দীপ্ত বাঙালি জাতি আজ নতুন বছরকে স্বাগত জানায়।

অন্যান্য বছরের মতো এবারও সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিলো বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে। লাখো মানুষের বর্ণিল, উচ্ছ্বল ও তেজোদীপ্ত পদচারণায় রাজধানী যেনো জনসমুদ্রে পরিণত হয়
চির নতুনের ডাক দিয়ে আসা পহেলা বৈশাখের বৈচিত্র্যের বহির্প্রকাশ ঘটেছে নারী-পুরুষের রঙিন সাজে, শিশুদের মুখে ফুটে ওঠা আনন্দের হাসি আর বর্ণিল পোশাকে।

কাকডাকা ভোর থেকে নগরবাসীকে ছুটতে দেখা গেছে রমনা অভিমুখে। বটমূলে বর্ষবরণের আয়োজন শুরুর বেশ আগে থেকেই সেখানে দলে দলে মানুষ সমবেত হতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বটমূলের অনুষ্ঠানস্থলের উপচে মানুষ ছড়িয়ে পড়ে চার পাশে। এক সময় পুরো রমনাই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।

উৎসবে যোগ দিতে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের সঙ্গে বাবা-মার হাত ধরে রমনামুখী হয়েছে শিশুরাও। সকাল ৭টার আগেই রমনায় প্রবেশ পথে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয় মানুষকে।
এবার বেশিসংখ্যক নিরাপত্তা বেষ্টনি পার হয়ে পার্কে ঢুকতে হয়েছে সকলকে। পুলিশের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যারা ব্যাগ, এমনকি ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে বর্ষবরণের উৎসবে এসেছিলেন, তারা এবার মূল উৎসবে ঢুকতে পারেননি।

বর্ষবরণের এ উৎসবে লাল পাড়ের সাদা শাড়িতে নারী এবং অধিকাংশ পুরুষকে দেখা যায় পাজামা-পাঞ্জাবি পরিহিত। ছায়ানটের বর্ষবরণ : প্রতিবারের মতো এবারও রমনার বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠান দিয়ে শুরু হয় বর্ষবরণের মূল আয়োজন। বটমূলে ছায়ানটের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এবার তিন পর্বে বিভক্ত ছিল অনুষ্ঠান।

এবারে এ আয়োজনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘আনন্দ, আত্মপরিচয়ের সন্ধান ও মানবতা’। ১৯৬৭ থেকে ছায়ানট রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করে আসছে।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই সকাল ৬টা ১০ মিনিটে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের সূচনায় ভৈরব রাগে রাজরূপা চৌধুরীর রাগালাপ এবং রবীন্দ্র-নজরুলের প্রভাত সঙ্গীতের সুরের আবেশ ছড়িয়ে পড়ে রমনায়।
ভোর সাড়ে ছয়টায় ছায়ানটের ৫০ বছর আগেকার প্রথম অনুষ্ঠানের সম্মেলক গান- ‘আলোকের এই ঝরণাধারায় ধুইয়ে দাও...’ এর সুরে দ্বিতীয় পর্বের শুরু হয়। এ পর্বে ১০টি সম্মেলক ও ১৩টি একক গান এবং ৪টি পাঠাবৃত্তি পরিবেশিত হয়। ছোট ও বড়দের দল মিলিয়ে সম্মেলক গানে অংশ নেয় ১১১ জন শিল্পী। ছায়ানটের সভাপতি সন্জীদা খাতুনের কথন এবং জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে শেষ হয় দ্বিতীয় পর্ব। তৃতীয় ও শেষ পর্বে পরিবেশিত হয় দেওয়ানা মদিনা লোকপালা।

ছায়ানটের বর্ষবরণ উপলক্ষে রমনাকে চারদিক থেকে নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভেতরে কাউকে কোনো প্রকার ব্যাগ হাতে ঢুকতে দেয়া হয়নি। তবে এই কড়া নিরাপত্তাও উৎসব ও উচ্ছ্বাসে কোন প্রকার ব্যত্যয় ঘটাতে পারেনি। বটমূল থেকে পুরো অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতার বাংলাদেশ।

চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা : নববর্ষে মঙ্গলবার্তা নিয়ে আজ সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ‘মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’- এ মর্মবাণী ধারণ করে ঐক্য ও অসাম্প্রদায়িকতার আহবানে এবং ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্য সুন্দর’- এ প্রতিপাদ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় লোকজ মোটিফের হরেক রঙের মুখোশ, হাতি, বাঘ, ফুল, পাখির প্রতিকৃতি স্থান পায়। সবার সামনে ছিল সমৃদ্ধির প্রতীক কালো হাতি। আরো ছিল সূর্য।

সূর্য প্রসঙ্গে চারুকলার ডিন অধ্যাপক নেসার হোসেন বলেন, শোভাযাত্রার এবারের থিম ও দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তৈরি করা হয়েছে মোটিফটি। সূর্যের যেমন একদিক আলো এবং অন্যদিক অন্ধকার থাকে। তেমনি আমাদের মোটিফেরও একদিকে ছিল হাস্যোজ্জ্বল মুখ, অন্যদিকে কুৎসিত কদাকার একটি রূপ।

তিনি বলেন, হাস্যোজ্জ্বল মুখ দিয়ে বোঝানো হয়েছে দেশের অর্জন, সমৃদ্ধি ও মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হওয়ার পথে এগিয়ে যাওয়া। আর কদাকার মুখ দিয়ে বোঝানো হচ্ছে জঙ্গিবাদের আষ্ফালন। তবে অন্ধকার তাড়িয়ে যেন আলোয় ভরে ওঠে দেশ, সেটিও মিন করা হয় এ মোটিফ দিয়ে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের নেতৃত্বে চারুকলা অনুষদ থেকে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। এতে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপিও অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রায় মানুষের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে এ দেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী- এ কথা উল্লেখ করে উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক বলেন, কুসংস্কার, অন্ধকারাচ্ছন্ন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী যে অপশক্তি আছে, মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে আমরা ওই অপশক্তির নির্মূল কামনা করি। সেই সাথে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও সফলতা কামনা করি। এটাই হচ্ছে মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল উদ্দেশ।
তিনি বলেন, অপশক্তি ও সন্ত্রাসীদের নির্মূল করে আমরা সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাব। এই এগিয়ে যাওয়া কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরো বলেন, চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই এবারের আয়োজন একটু বেশি। আমাদের এ শোভাযাত্রাকে স্বীকৃতি দেয়ার কারণ বাংলাদেশে যে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়, সেটা কেবল বাংলাদেশের মানুষের নয়, পৃথিবীর সাতশ’ কোটি মানুষের মঙ্গল কামনা করে বের করা হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মঙ্গল শোভাযাত্রাটি চারুকলা থেকে বের হয়ে রূপসী বাংলা মোড় ও টিএসসি হয়ে আবার চারুকলায় গিয়ে শেষ হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগের উদ্যোগে কলাভবন বটতলায় সকাল ৮টায় সংগীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গল শোভাযাত্রা : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ‘মাছে ভাতে বাঙালি’- এ স্লোগানকে সামনে রেখে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ ১৪২৪ কে বরণ করে নিয়েছে। এবারের শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘জাতীয় মাছ ইলিশ’।

আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়। এটি পুরনো ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক, রায়সাহেব বাজারসহ বিভিন্ন মোড় ও সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়।

পরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামাজিক বিজ্ঞান ভবন প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠান চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এ ছাড়া পুরনো ঢাকার ‘পোগোজ ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজে’ দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। শোভাযাত্রাটির নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
সুরের ধারা ও চ্যানেল আই’র বর্ষবরণ : বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে ষষ্ঠবারের মতো চ্যানেল-আই ও সুরের ধারা চৈত্র সংক্রান্তি ও বর্ষবরণের আয়োজন করে। বর্ষ বিদায়ের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে। চৈত্রসংক্রান্তি অনুষ্ঠান শেষ হয় রাত ১২টায় এবং হাজারো কণ্ঠে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শুরু হয় আজ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে।
চ্যানেল আই অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিবেশিত হয় বর্ষবরণের এ আয়োজন।

বাংলা একাডেমির বর্ষবরণ : বাংলা একাডেমি চত্বরে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল সাড়ে ৭টায় একাডেমির রবীন্দ্র-চত্বরে। বর্ষবরণ উপলক্ষে একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে একাডেমি ‘বইয়ের আড়ং’ শিরোনামে আজ থেকে ১০ বৈশাখ পর্যন্ত বইমেলার আয়োজন করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ কুটির শিল্প কর্পোরেশন এবং বাংলা একাডেমি যৌথভাবে ১০ দিনব্যাপি বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছে। আজ বিকেল ৪টায় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন।

বাংলা নতুন বছরকে বরণ উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আগামীকাল শনিবার বিকেল ৫টায় আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজন করেছে বিশেষ নাট্যানুষ্ঠানের। এতে লালন ফকিরের জীবন ও দর্শন নির্ভর নাটক ‘ম্যান অব দ্য হার্ট’ পরিবেশিত হবে।

জাতীয় প্রেস ক্লাব ও ডিআরইউ’র বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ : জমজমাট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব বাংলা নববর্ষকে বরণ করেছে। প্রেসক্লাব বর্ষবরণে তাদের সদস্য ও পরিবারবর্গের জন্য সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বাঙালী খাবার পরিবেশনসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করে। সকালের নাস্তায় খৈ, মুড়ি-মুড়কি, বাতাসা, লুচি, সবজি ও পায়েশ এবং দুপুরে বাঙালী খাবার মাছ, ভাত, ভর্তাসহ নানা আয়োজন ছিলো। সাংস্কৃতিক পর্বে পুতুল নাচ, লাঠি খেলাসহ প্রেসক্লাব সদস্য ও তাদের ছেলে-মেয়েদের পরিবেশিত গান বর্ষবরণ উৎসবকে করেছে বর্ণিল।

বর্ষবরণের শুভেচ্ছা বিনিময়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আসেন। প্রেসক্লাব সভাপতি শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়ামিন, সাংবাদিক গোলাম সারোয়ারসহ সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ তাকে স্বাগত জানান।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিও তাদের সদস্য ও পরিবারের সদস্যদের জন্য দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ইউনিটির বিশেষ আকর্ষণ ছিল টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী সঙযাত্রা।

বর্ষবরণের অন্যান্য অনুষ্ঠান : রমনার পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও টিএসসিসহ পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থানেও নববর্ষ বরণে আয়োজিত হয় নানা অনুষ্ঠান।

ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির আজ থেকে মন্দির প্রাঙ্গণে বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছে। কচি-কাঁচার মেলা নিজস্ব প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এতে শিশুদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা ছাড়াও ছবি আঁকা ও প্রদর্শনী এবং মুড়ি-মুড়কিসহ বাঙালী খাবারের আয়োজন ছিলো।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সকাল সাতটায় গানের মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। সকাল ১০টায় পুরাতন কলাভাবন থেকে শোভাযাত্রা, সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাত ৮টায় নাট্যানুষ্ঠান পরিবেশনার মাধ্যমে নববর্ষকে বরণ করে নেয়া হয়।

মোবাইল কোম্পানী বাংলালিংক নববর্ষকে বরণ করে নিতে মানিকমিয়া এ্যাভিনিউ সড়ক দ্বীপে বৃহস্পতিবার রাত নয়টায় ‘আল্পনায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে সড়ক চিত্রকর্মের যোজনা করে। এর উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি। - বাসস

সাম্প্রতিক