স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীতে সিটিং পদ্ধতিতে বাস চলাচল বন্ধ হচ্ছে আজ (রোববার) থেকে। এখন থেকে সব বাস সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় চলাচল করবে।
একইদিন সারাদেশে অ্যাঙ্গেল বাম্পার, গাড়ির বর্ধিতাংশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির অভিযান শুরু হচ্ছে।
সকাল সাড়ে ৮টায় তেজগাঁ এলাকায় বাম্পার অ্যাঙ্গেল বিরোধী অভিযান পরিদশর্ন করবেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
পরিবহন মালিক সংগঠনের ভিজিলেন্স টিম নামবে বাস চলাচল মনিটরিংয়ে। সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতুল্লাহ বলেন, গতকাল শনিবার বিকেল ৪টায় তারা বিআরটিএতে বৈঠক করবেন।
১৬ এপ্রিল থেকে অ্যাকশনে যাবেন। ১৫ তারিখ পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছিলো। রোববার থেকে টাউন সার্ভিসে কোন বাস আর সিটিংয়ে চলবে না। এদিকে বিআরটিএর একজন পরিচালক জানান, হালকা বাম্পারের অনুমোদন আছে, কিন্তু বেশির ভাগ গাড়ি বিশাল আকারের বাম্পার লাগিয়ে চলছে। এ কারণে ‘অঅনুমোদিত বাম্পারের’ বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে বিআরটিএ।
সারাদেশে অভিযানের জন্য সব জেলা প্রশাসন, মহানগর পুলিশ ও জেলা পুলিশকে চিঠি দিয়েছিলো বিআরটিএ। ঢাকায় কোন কোন সড়কে এ অভিযান হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তাৎক্ষণিকভাবে এনফোর্সমেন্ট বিভাগ অভিযানস্থল ঠিক করবে।
এদিকে এবারই প্রথম মালিক ও শ্রমিক সংগঠন যৌথভাবে এক বৈঠকে বাসের সিটিং ও অতিরিক্ত সিটের বিরুদ্ধে ঐক্যতমক্য পোষণ করেছে। যে বৈঠকে অ্যাঙ্গেল বাম্পার খুলে ফেলতে একমত হন পরিবহন মালিকরা।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এআরআই)এর সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ বলেন, ট্রাক ও বাসের ক্ষেত্রে অ্যাঙ্গেল ও বাম্পার লাগানোর প্রবণতা বেশী।
আর বাসের ক্ষেত্রে অ্যাঙ্গেলের পাশাপাশি সিট সংখ্যা বাড়িয়ে ফেলেন মালিকরা। এভাবে সিটের সংখ্যা বেশি হলে দুর্ঘটনায় মানুষ চাপ খেয়ে মরে বেশি। হহাহতের সংখ্যা বাড়ে এবং বাসের অ্যাঙ্গেলগুলো মানুষের শরীরে বিদ্ধ হয়।
< Prev | Next > |
---|