ershad khalasঢাকা : রাডারক্রয় দুর্নীতি মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদসহ তিনজন। বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা তাদেরকে মামলার অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস দেন।

রায়ে বলা হয়, এরশাদের বিপক্ষে রাষ্ট্রপক্ষ আনীত অভিযোগ সাক্ষ্যপ্রমাণ দ্বারা সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া এরশাদের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পনা মাফিক পরস্পর যোগসাজশে অর্থ আত্মসাতের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাও প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। এরশাদ ছাড়াও খালাস পেয়েছেন বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান সুলতান মাহমুদ ও মমতাজউদ্দিন আহমেদ।

১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো এরশাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেছিল। ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির অত্যাধুনিক রাডার ক্রয় না করে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিন কোম্পানির রাডার কিনে রাষ্ট্রের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি সাধনের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।

১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর এরশাদসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ১৯৯৫ সালের ১২ আগষ্ট এরশাদসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হলেও ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত ছিলো।

১৮ বছর পর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট বাদির সাক্ষ্য গ্রহনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়। এরপর ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করে যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখে আদালত। কিন্তু এই সাক্ষ্য পর্যাপ্ত নয় উলে¬খ করে অবশিষ্ট সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহনের জন্য আবেদন করে দুদক।

ওই আবেদন গত ৭ নভেম্বর খারিজ করে দেয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে দুদক। দুদকের আবেদন গ্রহন করে হাইকোর্ট মামলাটি ৩১ মার্চের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেয়।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন মামলার আসামি সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান সুলতান মাহমুদ। আপিল বিভাগ ওই আবেদন গ্রহন করে হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করে দেয়।

সাম্প্রতিক