ছবি : আসিফ ইকবালনাইম আবদুল্লাহ : সিডনিতে ঈদ নিয়ে অনেক ভিন্ন মত রয়েছে। তাই ঈদ পালন ও রোজা শুরু নিয়ে প্রতিবছর এই দেশের মুসলমানদের রীতিমতো আতঙ্কে থাকতে হয়। আর এই দ্বিধাদ্বন্দ নিয়েই অস্ট্রেলিয়ার মুসলমানরা বছরের পর বছর এইভাবে রোজা- ঈদ উদযাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে।

ছবি : আসিফ ইকবালএখানকার প্রবাসী আরব ও আফ্রিকা ভুক্ত দেশগুলোর অধিবাসীরা চাঁদ দেখা দেখির ধার ধারে না। তারা সৌদি আরবের সঙ্গে একই দিনে রোজা শুরু করে একসাথে ঈদ উদযাপন করে।

অন্যান্য প্রবাসী এশিয়ান বিশেষত বাংলাদেশ, পাকিস্থান ও ভারতের মুসলমানরা তবলীগ জামাতকে অনুসরন করে। তারা চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রোজা ও ঈদ উদযাপন
করে।

কোন কোন গ্রুপ আবার কখনও সুবিধামতো সৌদী পন্থী কিংবা উইক এন্ডের দিনে ঈদ পালন করে।

ছবি : আসিফ ইকবালযারা সৌদি পন্থী অথবা উইকেন্ড পন্থী তারা আজ ২৫ শে জুন (রবিবার) সারা অস্ট্রেলিয়াতে ঈদ উৎযাপন করছে এবং যারা অস্ট্রেলিয়ায় বা তার কাছাকাছি দেশে চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল তারা চাঁদ দেখে আগামী ২৬ কিংবা ২৭ জুন ঈদ উৎযাপন করবে।


এখানে মুসলিম অধ্যুষিত ক্যাম্বেলটাউন এলাকায় প্রবাসী বাংলাদেশী দ্বারা পরিচালিত অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ার সেন্টার ও অস্ট্রেলিয়ান ইসলামিক কাউন্সিল দুইটি বৃহৎ ইসলামিক প্রতিষ্ঠান দুইটি ভিন্ন দিনে ঈদ উদযাপন করছে।

অবাক লাগে যখন পাশাপাশি বসবাসকারী দুইটি বাংলাদেশী পরিবারের একটি যে দিনটিতে ঈদ উদযাপন করছে অন্য পরিবারটি সেই দিনই রোজা পালন করছে।

ছবি : আসিফ ইকবালবহুজাতিক সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক অস্ট্রেলিয়া সরকারিভাবে ঈদের ছুটি দিতে প্রবাসী মুসলিম নেতৃবৃন্দের কাছে সর্বসম্মতি ক্রমে ঈদের একটি দিন, তারিখ আহ্বান করেছিলো। কিন্তু দুর্ভাগ্য ক্রমে মুসলিম নেতৃবৃন্দের পক্ষে কোনভাবেই ঐক্যমতে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

aus eid prayer 5

সাম্প্রতিক