অনলাইন ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের স্বাক্ষরিত চুক্তি শেষ হয়েছে ৩০ জুন (শুক্রবার) মধ্যরাতে। অর্থাৎ ১ জুলাই (শনিবার) থেকে আইনত স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নারদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (সিএ)। এর ফলে আজ থেকে এক প্রকার বেকারের খাতায় নাম লেখালেন প্রায় দুই শতাধিক ক্রিকেটার।
এদিকে, সিএ ও ক্রিকেটারদের একগুয়েমি সিদ্ধান্তের ফলে শঙ্কায় পড়েছে ১৩৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী অ্যাসেজ টুর্নামেন্ট এবং স্মিথদের আসন্ন বাংলাদেশ সফর।
জানা যায়, জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্য যথেষ্টই দিতে চায় সিএ। কিন্তু জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা এমনটা চান না। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন যেটা রয়েছে, তাদের দাবি রাজস্ব আয়ের অংশ জাতীয় দলে খেলা এবং এর বাইরে থাকা সবার মাঝেই ভাগ করে দিতে হবে। যাতে তৃণমূল পর্যায়ের ক্রিকেটাররাও লাভবান হতে পারেন। এমনই মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে ক্রিকেটার এবং বোর্ডের মাঝে। বিষয়টা এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নতুন দল গঠন করবে তারও সুযোগ নেই। কারণ, তাদের যেসব উঠতি ক্রিকেটার রয়েছে, তারা সবাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। আর তাদের দাবি-দাওয়ার জন্যই তো স্মিথদের সঙ্গে বোর্ডের এই দূরত্ব।
তবে, চুক্তি না করলেও স্মিথ-ওয়ার্নারদের জন্য বিকল্প পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলেছে ডেভিড পিভির অ্যান্ড কোম্পানি। শুক্রবার সিএ-র এক কর্মকর্তা জানান, পুরনো চুক্তি নবায়ন না হলেও নতুন এক চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হবে স্মিথদের। ক্রিকেটারদের পরিবার এবং ব্যক্তিগত বিষয়ে ভারসাম্য রেখেই এই চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হবে দেশের প্রথম সারির ক্রিকেটারদের।
সূত্রের খবর, সিএ-র দেওয়া চুক্তির পর্যালোচনা করতে ২ জুলাই (রবিবার) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আলোচনায় বসবেন স্মিথ অ্যান্ড কোং।
উল্লেখ্য, এর আগেও ভিন্ন এক চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের যা ক্রিকেটারদের স্বার্থ বিরোধী বলে বাতিল করে দেয় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন(এসিএ)।
< Prev | Next > |
---|