মোফাজ্জল করিম
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আজ (৩-৭-১৭) সর্বসম্মত রায় ঘোষণা করেছেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা আপিল খারিজ করে হাইকোর্ট বিভাগের ৫ মে ২০১৬ তারিখের রায় বহাল রেখেছেন মহামান্য আপিল বিভাগ। স্মর্তব্য, জাতীয় সংসদে ২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সংবিধান সংশোধন করে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ন্যস্ত করে ১৯৭২ সালের সাংবিধানিক বিধান পুনঃপ্রবর্তন করা হয়। এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের ৯ জন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন, যা তাঁদের অনুকূলে নিষ্পত্তি হয় ৫ মে ২০১৬ সালে। এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে রাষ্ট্রপক্ষ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আজ নিষ্পত্তি হওয়া আপিলটি দায়ের করেন। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের দেওয়া সর্বসম্মত এই রায়টি নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক রায়। সংবিধানে ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে জাতীয় সংসদের হাতে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা অর্পণের ঘটনায় আইনজ্ঞ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় যথেষ্ট আলোচনা-সমালোচনা।
২.
প্রথমেই প্রশ্ন ওঠে বর্তমান জাতীয় সংসদের চরিত্র নিয়ে। জন্মলগ্ন থেকেই এই সংসদ প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ এর বেশির ভাগ (৩০০-এর মধ্যে ১৫৩) আসন অলংকৃত করছেন অনির্বাচিত সদস্যরা। সরকার ও সরকারি দল যতই যুক্তি দেখাক না কেন বাস্তব সত্য হচ্ছে, ওই ১৫৩টি আসনে জনগণ ভোট দেয়নি। ফলে ওই সব আসনের সদস্যরা সত্যিই তাদের প্রতিনিধিত্ব করেন কি না সেই সন্দেহ অবশ্যই থেকে যায়। (এ জন্য শুরু থেকেই আমি বলে আসছি এ ধরনের সংসদ সদস্যরা হচ্ছেন ‘অনির্বাচিত নির্বাচিত’ সংসদ সদস্য। )
দ্বিতীয়ত, নৈতিক বল ও চারিত্রিক দৃঢ়তার যে অবক্ষয় আমরা রাজনৈতিক অঙ্গনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অহরহ প্রত্যক্ষ করছি সেই প্রেক্ষাপটে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের মতো এত বড় একটা দায়িত্ব সংসদ সদস্যদের হাতে কি নির্ভয়ে নিঃসংকোচে তুলে দেওয়া যায়? ওই আস্থাতে যদি একটুও ফাটল দেখা দেয়, তা হলে আর রইল কী। আজ আওয়ামী লীগ বিশাল মেজরিটি নিয়ে সংসদে নেতৃত্ব দিচ্ছে, দেশ শাসন করছে, চাইলেই তারা যে অনেক কিছুই করতে পারে তা তো সত্য। সেই পুরনো প্রবচনটি স্মরণ করে বলতে হয় আইন পাস করে তারা পুরুষকে নারী আর নারীকে পুরুষ বানানো ছাড়া আর সবই করতে পারে। ‘ব্রুট মেজরিটি’র এমনই মহিমা! এরই বহিঃপ্রকাশ আমরা মনে করি ষোড়শ সংশোধনী। ফলে দেশের প্রশাসন তো হরবকতই ‘জি¦ হুজুর, জাঁহাপনা’ হয়ে আছে, শেষ ভরসাস্থল বিচার বিভাগকেও রাজনীতিবিদরা যদি নিজেদের প্রচ্ছায়ায় বা তাঁবে নিয়ে আসার সুযোগ পান, তা হলে তো সবই শেষ হয়ে গেল। এ যেন মনে হচ্ছেÑবেআদবি মাপÑরাজনীতিকদের হাতে বিচারপতিদের ওপর এক ধরনের নজরদারি করার, এক প্রকারের ‘এসিআর লেখার’ ক্ষমতা দিয়ে দেওয়া। এখানে অতি দ্রুত একটা কথা সংযোজন করতে চাই। এ ধরনের ক্ষমতার অপব্যবহার কিন্তু শুধু আওয়ামী লীগ নয়, যেকোনো রাজনৈতিক দলই করতে পারে। টু-থার্ড মেজরিটি নিয়ে কাল যদি অন্য কোনো দল ক্ষমতায় আসে, মৌরসি স্বত্ব পেয়ে যায় জাতীয় সংসদের, তখন অন্তত ‘চেক অ্যান্ড ব্যালান্সের‘ খাতিরে বিচার বিভাগকে মানসিক চাপ ও শঙ্কামুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে।
বিচারপতি অপসারণের মতো এত বড় একটা মারাত্মক ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে অর্পণের সময় আমাদের দেশে যে এখনো আসেনি তা আশা করি যেকোনো বিবেকসম্পন্ন নিরপেক্ষ মানুষই স্বীকার করবেন। খালি অমুক দেশ আর তমুক দেশের উদাহরণ টানলেই তো হবে না, তারা কত ত্যাগ-তিতিক্ষা, কত উত্থান-পতন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে পার হয়ে, দেশে আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত করে এ ধরনের ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়েছে তা তো দেখতে হবে। আমরা গণতন্ত্রের প্রথম সিঁড়িতে পা দিয়েই যদি মনে করি গণতন্ত্রের সাত তলা দালানে উঠে গেছি তা হলে তা হবে বোকার স্বর্গে বসবাস করার মতো।
আরেকটি বিষয় শুনতে একটু খারাপ শোনালেও সত্যের খাতিরে উল্লেখ করতেই হয়। তা হচ্ছে আমাদের দেশে আবহমানকাল ধরে চলে আসা তদ্বির-বাণিজ্য। সারা জীবন প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে সরকারি চাকরি করে দেখেছি আইনি-বেআইনি এমন কোনো বিষয় নেই যেখানে এ দেশেÑএবং নির্দ্বিধায় বলা যেতে পারে শুধু এ দেশে নয় এই উপমহাদেশে ব্যাপক হারে তদ্বির না চলে। (বাই দ্য ওয়ে, এক কালে সাবেক পশ্চিম পাকিস্তানেও চাকরি করেছি, তাই ওখানকার হাল হকিকতও মোটামুটি জানা আছে। ইদানীং নাকি সেখানকার প্রশাসনিক ব্যবস্থা আরো গোল্লায় গেছে। আর ভারতও যে এ ব্যাপারে খুব একটা কুলীন তা নয়। তদ্বির-সুপারিশ-দুর্নীতিতে আমাদের তিন দেশেরই ‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান’ অবস্থা)। তা এই তদ্বিরটার গোড়ার কথাই হচ্ছে, তদ্বিরকারকের সামাজিক অবস্থান, পেশিশক্তি, অর্থবল, বাহুবল ইত্যাদি। অলিমুদ্দি-সলিমুদ্দি ইউএনও বা ওসিকে ফোন করে কোনো ব্যাপারে সাহায্য চাইলে বা কোনো কাজের জন্য সুপারিশ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা হয়তো ফোনই ধরবেন না। কিন্তু ফোনের এক প্রান্ত থেকে যদি ‘আমি এমপি বলছি’ বা ‘মিনিস্টার সাহেব কথা বলবেন’ এ ধরনের এবারতনামা দিয়ে বাতচিত শুরু হয় তা হলে অফিসারটির পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম সব ইন্দ্রিয় পাঁচ শ পাওয়ারের বাল্বের মতো জ¦লে ওঠে। কারণ অফিসারটি জানেন, মন্ত্রী বা এমপি তো আর রিক্যুয়েস্ট করেন না, তাঁদের রিক্যুয়েস্ট অর্ডারের সমান। ওটা না রাখলে নির্ঘাত খবর আছে। হয় খাগড়াছড়ি, নয় তো মনপুরায় নির্বাসন। বদলি না করাতে পারলে বর্তমান পোস্টিংকে কী করে নরকবাসতুল্য করে তোলা যায়, পরের প্রমোশনটায় কিভাবে রাম গিট্ঠু লাগাতে হয়, এ সবই তাঁরা জানেন। কারণ তাঁদের কথা সরকারের বাজারে বিকোয়, অলিমুদ্দি-সলিমুদ্দির কথা বিকোয় না। তাঁরা যেকোনো একটা ‘ইল্জাম’ এনে কর্মকর্তাটির মাতৃদুগ্ধ নাসারন্ধ্রে উঠিয়ে আনতে পারেন। আর কর্মকর্তাটির যদি সামান্য একটু ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়ে তা হলে তো আর কথাই নেই। এটা শুধু প্রশাসন নয়, সব বিভাগের বেলাই প্রযোজ্য। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থা, চেইন অব কমান্ড, সামাজিক মূল্যবোধ ইত্যাদির ক্রমাগত অবক্ষয়ের কারণে একটা হ্যান্ডল পেলেই আমরা কেঁচো থেকে এক লাফে কেউটে হয়ে যাই। গতকালও যে লোক ডিসি সাহেবের সামনে চেয়ারে বসতে বিনয়ে বৈষ্ণব হয়ে যেত, একটু ক্ষমতার স্বাদ পেলেই সে হয়ে যায় বাঘের বাচ্চা। তখন ডিসি আর স্যার না, ডিসি সাহেবও না, হয়ে যান ‘কী ডিসি, খবরটবর কী?’
এত কথা বললাম এইজন্য যে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা পেলে আমরা না আবার সুপ্রিম কোর্টকে ডিসির অফিস বা সচিবালয় বানিয়ে ফেলি। বিস্তারিত ব্যাখ্যা নিষপ্রয়োজন। শুধু এটুকুই বলব, কালচারেলি আমরা আরো অনেক পথ পাড়ি দেওয়ার পর, গণতন্ত্রের আরো অনেক সিঁড়ি বেয়ে ওঠার পর, সর্বোপরি ন্যায়নীতি, সামাজিক মূল্যবোধ ও সুশাসনের আরো অনেক পরীক্ষা পাসের পর আমরা বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতালাভের যোগ্যতা অর্জন করতে পারি।
৩.
টিভিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের সংবাদ শোনার পর আমার এক প্রাক্তন সহকর্মী বন্ধুকে ফোন করলাম। সেও আমার মতো ১৫ হাজার টাকা মাইনেতে সচিব হিসেবে এক যুগ আগে রিটায়ার করেছে। এখনকার ৮০ হাজার টাকার সচিব নয়! রায়ের সংবাদ জানাতে গিয়ে আমার কণ্ঠে বোধ হয় কিছুটা হর্ষধ্বনি ফুটে উঠেছিল। ওটা লক্ষ করেই সে বলল, অবশ্যই এটা একটা সুসংবাদ। কালকের পত্রিকায় নিশ্চয়ই এটা ফলাও করে ছাপা হবে। কিন্তু হাইকোর্টের এক বিচারপতির উল্টো পথে আসা গাড়ির চাপায় যে এক তরুণ মারাত্মক আহত হয়ে হয়তো জীবনের মতো পঙ্গু হয়ে গেছে, তার বিচার কে করবে? তখন যদি বলি ‘বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা আজ জেগেছে সেই জনতা’ তখন কেমন হয়? চাঁদপুর যেতে ফেরিঘাটে যে চাঁদাবাজির শিকার হলাম আমি ও আমার মতো আরো অনেক পাবলিক, তা দেখার কি কেউ নেই? বন্যায় আপনারই এলাকার লাখ লাখ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, কই ত্রাণমন্ত্রীর কি তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর ফুরসত নেই? রাস্তায় যে কালাপাহাড়ের মতো বাস-ট্রাকগুলো ছুটে চলে, প্রতিনিয়ত মারা যায় শত শত নিরীহ মানুষ, সেগুলো রোধের জন্য কি শুধু বক্তৃতা-বিবৃতিই যথেষ্ট? ফলে, স্যার, মাননীয় বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতেই থাকুক, আর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছেই আবার ন্যস্ত করা হোক, পাবলিকের এতে কিস্সু যায় আসে না। পাবলিকের এখন মাথার ঘায়ে কুত্তা পাগল দশা। একে তো জিনিসপত্রের দামে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে, যে চাউলটা ছিল নাগালের ভেতর, সেও লাফ দিয়ে উঠেছে চালের ওপর, ভেজাল আর ওজনের কারচুপি এগুলো যেন আইনসিদ্ধ কাজ, খুন-খারাবি-রাহাজানি যেন ডালভাত, কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। আর যাঁরা দায়িত্ব পালন করার কথা, সেই সচিবরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাশ্রুনয়নে তাঁদের ‘দুঃখ-দারিদ্র্যের’ ফিরিস্তি তুলে ধরে উল্টো সমালোচিত হন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য। সহকর্মীর ক্ষোভের বিবরণ শুনতে শুনতে এক ফাঁকে বললাম, তুমি দ্যাখো, সচিবরা তাঁদের দাবিদাওয়া ঠিকই আদায় করে নেবেন। সামনে নির্বাচন। সেদিকে লক্ষ রেখে জাহাজ মার্কা বাজেট পাস হয়েছে সংসদে। এটা বাস্তবায়ন করবে কারা? এই সচিবরাই তো। নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে যেমন লাগবে রাজনৈতিক ‘ক্যাডার’ তেমনি নেপথ্যে লাগবে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের ক্যাডার। অতএব সচিবরা ভালো করেই জানেন, সরকার তাঁদের নানা রকমের যৌক্তিক-অযৌক্তিক আবদার মেনে, অর্থাৎ তাঁদের পিঠে হাত বুলিয়ে, বাকি দিনগুলো পার করতে চাইবে। আর জিনিসপত্রের দাম, ভেজাল এসব সমস্যা কবে ছিল না? খুন-খারাবি, গুম এগুলোতে ঘুম হারাম হবে ভুক্তভোগীদের, অন্যের কী? এই যে, আজ ফরহাদ মজহার গুম হয়ে গেলেন তাঁকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ-র্যাবের প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু যে মুসিবত ফরহাদের পরিবারে নাজিল হলো, তার যন্ত্রণা, তার ভয়াবহতা তাঁদের মতো আর কে বুঝবে? আগামীকাল হয়তো আর কেউ নিখোঁজ হবে, হয়তো অপরাধী ধরাও পড়বে, কিন্তু রাগ হয় যখন দেখি জঙ্গিরা, অপহরণকারীরা, সন্ত্রাসীরা জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হয়ে আসে হাসতে হাসতে। তারপর আবার শুরু করে খুন-খারাবি-রাহাজানি।
কেন জামিন হয়? এ দোষ দেয় ওকে, ও দোষ দেয় একে। যেন এগুলো দেখার দায়িত্ব কারো নেই। ত্বকী, সাগর-রুনি তনুদের হত্যা মামলায় বছরের পর বছর তদন্ত শেষ হয় না। এর কোনো জবাবদিহিতা নেই। কর্তাব্যক্তিরা এখন চোখ থাকতেও কানা, কান থাকতেও কালা, মুখ থাকতেও বোবা। তার পরও নাকি দেশ এগিয়ে চলেছে তুরন্ত গতিতে!
৪.
আমার সহকর্মীর দুঃখ, সংবিধানে কী লেখা আছে, আইন কী বলে এসব দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ জানে না, জানতে চায়ও না। তাদের এমপি-মিনিস্টার, এমনকি আমলা-কামলা বিচারপতিদের কাছেও তাদের প্রত্যাশা একটাই : আপনারা যা খুশি আইন বানান, যত খুশি ক্ষমতার মালিক হোন, বেতন-ভাতা, বাড়ি-গাড়ি, নফর-পেয়াদা যত চান তত নিন, শুধু আমাদের একটু শান্তিতে ঘুমাতে দিন।
আইন বানাতে চান, বানান কিন্তু আইনের প্রয়োগটা নিশ্চিত করুন। আপনারা আপনাদের ‘দুর্জনেরে রক্ষা করো, দুর্বলেরে হানো’ নীতিটা, দোহাই আপনাদের, বাদ দিন। আপনারা ব্যাংকের টাকা মেরে নিশ্চিন্তে চলাফেরা করুন, সুইস ব্যাংকে দেশের টাকা-পয়সা সোনাদানা সব রাখুন, আমাদের কিছু যায় আসে না। আপনারা আপনাদের পর্বতসমান সম্পদ ব্যাংকে রাখলেন, না আলীবাবা-চল্লিশ চোরের পাহাড়ের গুহায় রাখলেন, না বালিশের তলায় রাখলেন, তা জানার আমাদের মোটেই আগ্রহ নেইÑআমাদের চাওয়া শুধু দুই বেলা পেট পুরে দুমুঠো ভাত, আর শান্তিতে ঘুমাবার নিশ্চয়তা।
আমরা পাবলিক, আমরা আদার বেপারি, আপনাদের জাহাজের খবরে দরকার নেই আমাদের, কোনো দরকার নেই। মাপ চাই।
লেখক : সাবেক সচিব, কবি
Next > |
---|