শাহ মো. জিয়াউদ্দিন
যারা এই বাজেটকে তৃণমূলের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে বক্তব্য দিচ্ছেন তারা বাজেটের খাত অনুযায়ী বিশ্লেষণ করে ব্যাখ্যা দেবেন যে এটা কতটা গণমুখী বাজেট হয়েছে। বাজেট বিশ্লেষণ করলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে এই গণতান্ত্রিক দেশে কার স্বার্থ রক্ষার জন্য এ ধরনের বাজেট পেশ করা হয়েছে।
গত ১ জুন জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন। বাংলাদেশের প্রথম বাজেট পেশ করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী সময়ের অর্থমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ। সময়টা ছিল ১৯৭২-৭৩ অর্থবছর। ১৯৭২-৭৩ সালের বাজেটটির আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা। বর্তমানে সেই বাজেট বেড়েছে ৫০৯ গুণ। ১ জুনের অর্থমন্ত্রীর পেশ করা বাজেটটির আকার হলো চার লাখ কোটি টাকা। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে দেশের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি গত ৪৬ বছরে মানুষ বেড়ে মোট জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটির ওপরে তাই বাজেটের আকারটা বড় হওয়াটাই স্বাভাবিক। ১৯৭২-৭৩-এর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের ছোট আকারের বাজেটটি সঙ্গে ৪৬ বছর পর মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছানো বাংলাদেশে ঘোষিত বৃহৎ আকারের বাজেটটির মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। চলতি অর্থ বছরের ঘোষিত বাজেট দেশের একটি বিশেষ শ্রেণির স্বার্থ রক্ষা করছে তা স্পষ্টত বোঝা যায়। সংসদে পেশ করা বাজেটে খাতওয়ারি দেখা যায় কৃষি খাতে বরাদ্দ ধরা আছে ২৪,৪৩০ কোটি টাকা, আর প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৫৭৭১ কোটি টাকা। কৃষি খাতের আয়তন, তার জনবল আর এই খাতের অন্তর্ভুক্ত জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে পরোক্ষভাবে সরকারে প্রাপ্ত করের সঙ্গে প্রতিরক্ষা খাতের তুলনা করলে কি দেখা যাবে? প্রতিরক্ষা খাতের উদ্দিষ্ট জনবল এবং সুফল ভোগ করা জনসংখ্যার চেয়ে কৃষি খাত থেকে প্রাপ্ত ফল ভোগকারী সংখ্যা অনেক বেশি। স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২০২৯৭ কোটি টাকা। দেশের প্রায় প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রতিরক্ষা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা। দেশের পরিবহন তথা সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিশেষ করে সড়ক ব্রিজ নির্মাণসহ ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। বাজেটের প্রাক্কলিত বেশ কিছু খাতের সঙ্গে পরোক্ষভাবে প্রতিরক্ষা বাহিনী সম্পৃক্ত। তবে বর্তমান পেশ করা বাজেটে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে তা হলো ব্যাংকে টাকা জমা রাখার বিষয়টি। ব্যাংকে জমাকৃত টাকার ওপর সরকার কর বাড়িয়েছেন। সরকারে করারোপ করার কৌশলটাও চমৎকার। ঘোষিত বাজেটে ১ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংকে টাকা জমাকারীর কর ৫০০ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮০০ টাকায়। ১০ লাখ থেকে ১ কোটি পর্যন্ত ১৫০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৫০০ টাকা, ৫ কোটি টাকার ঊধর্্েব ১৫০০০ থেকে করা হয়েছে ২৫০০০ টাকা। সর্বস্তরের জমাকারীর কর বেড়েছে ৬০ শতাংশ। বিষয়টি কতটুকু যুক্তিযুক্ত। ১ লাখ টাকা জমাকারীর কর বাড়ল ৬০ শতাংশ আর ৩০ কোটি টাকা জমাকারীর করও বাড়ল ৬০ শতাংশ। গত অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন সমতার কথা এটা কি সমতার কোনো নমুনা হলো। ১ থেকে ১০ লাখ টাকার যে স্তরটি করা হয়েছে, এই স্তরটিকেও বিভক্ত করে ১ থেকে ৫ লাখ এবং ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা করে দুটি স্তর করা উচিত।
বেসরকারি নিম্ন বেতনভুক্ত কর্মচারী তাদের টাকা হাতে থাকলে খরচ হয়ে যাবে বলে বহু কষ্টে ব্যয়টাকে কাটছাঁট করে টাকা ব্যাংকে জমা রাখে। অনেক সময় দেখা বহু কষ্ট করে এরা দুই-তিন বছরে ব্যাংকে এক লাখ টাকা জমায়। আর তাদের কষ্টার্জিত অর্থটা কেটে নেয়ার ব্যবস্থা করাটা কতটা যৌক্তিতকার মধ্যে পড়ে। তবে অর্থমন্ত্রী যথার্থ জ্ঞানী, তিনি জানেন লাখ টাকার মালিকের সংখ্যা দেশে প্রায় এক কোটি বা তার বেশি হবে। তাদের কাছ থেকে ৮০০ টাকা করে বছরে কর নিলে মোটা অঙ্কের রাজস্ব আসবে। তাই তিনি বলেন বা মনে করেন চার হাজার কোটি টাকা কোনো টাকা না। কারণ দেশে চার হাজার কোটি টাকার মালিকের সংখ্যা কম। আর তারা তাদের টাকা বাংলাদেশের ব্যাংকে জমা রাখেন না। দেশের বড় ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই অনেক বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর পেশ করা বাজেটের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। এই বাজেটের আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলোথ জব ভরহধহপরহম ড়ভ নধহশ। এই বিষয়টা কতটা ভালো তা ভেবে দেখবেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংক হলমার্কের মতো কা- ঘটিয়ে মূলধন হারিয়েছে। আর সরকার বাজেটে এই ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি পূরণের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাই বাজেটে এদের জন্য মোটা অঙ্কের টাকাও বরাদ্দ রাখলেন। দেশের ব্যাংক খাতের প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। অবলোপন করা এবং নিয়মিত ঋণ খেলাপি মিলিয়ে দেশে প্রথম বারের মতো প্রকৃত খেলাপির পরিমাণ এক লাখ কোটি টাকা হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রাপ্ত সূত্র থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জানা যায়, গত বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত খেলাপি ঋণ ছিল ৫৯ হাজার ৪১১ কোটি টাকা। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা। আগেকার সময়ের খেলাপি হওয়া ঋণ আদায়ের সম্ভাবনা না থাকায় এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ২৩৭ কোটি টাকার ঋণ অবলোপন করা হয়েছে। এই ঋণ অবলোপন সুবিধা ভোগকারী কত কোটি টাকার মালিক তার একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করা উচিত অর্থ মন্ত্রণালয়ের। রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী, জনতা, রূপালী, বেসিক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে (শিল্প ব্যাংক এবং শিল্প ঋণ সংস্থা একীভূত) খেলাপি ঋণের পরিমাণ হলো ২৭ হাজার কোটি ২৮৯ কোটি টাকা। এই কোটি কোটি টাকা আদায়ের পদক্ষেপ না নিয়ে বাজেটে ব্যাংকগুলোর জন্য জব ভরহধহপরহম বরাদ্দ কেন রাখা হলো। একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যহারকারী বলেছেন, বেতন বাড়িয়েছে সরকার তাই কর বাড়ানোটা অযৌক্তিক হয়নি। তার জন্য হয়তো যৌক্তিকতা আছে, তিনি কি জানেন দেশের কতজন লোক সরকারি কর্মচারী হিসাবে কাজ করেন। দেশের ৬৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব খোলা ব্যক্তির মধ্যে কতজন সরকারি কর্মচারী আর খেটে খাওয়া কতজন মানুষ খরচ হয়ে যাওয়ার ভয়ে বা ভবিষ্যতের আপদ মোকাবেলা করার জন্য ব্যাংকগুলোয় টাকা জমা রাখেন, তাদের কিন্তু ফেসবুকে মত প্রদানকারী সরকারি কর্মীর মতো প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুয়েটি নাই। তাই তারা কষ্ট করে ব্যাংকে টাকা জমায়। এই খেটে খাওয়া মানুষের জমানো টাকা কর হিসাবে কেটে নেয়ার ব্যবস্থা করাটা কতটা যৌক্তিক। তবে অর্থমন্ত্রী করিৎকর্মা মানুষ তার এরকম কিছু চামচা বা দালাল তৃণমূলেও রয়েছে। গত ৪ জুন একটি ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমে এক এনজিওর নির্বাহী পরিচালক (সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাও তিনি ছিলেন) বলেছেন, বাজেটে তৃণমূলের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে। তার এই কথাটি শুনে একটি গল্পের কথা মনে পড়ল, এক ব্যক্তি দূরবর্তী গ্রামে লাল মিঞা এবং কালা মিঞা নামের দুই ভাইকে দেখতে গেলেন। বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তিনি দুই ভাইয়ের নাম ধরে ডাক দিলেন। প্রথমে লাল মিঞা বেরিয়ে এলো, তিনি দেখলেন লাল মিঞার গাত্র রং কৃষাঙ্গদের মতো। তারপর তিনি আর কালা মিঞাকে দেখতে চাইলেন না। তিনি শুধু বললেন লাল মিঞার গাত্র রং যদি এই অবস্থা হয় তাহলে কালা মিঞার অবস্থাটা কি হবে তা আমি বুঝে গেছিথ তাই কালা মিঞাকে আর দেখার প্রয়োজন নেই।
দেশের মোট পরিবারের শতকরা ৫৩ ভাগ হলো কৃষিভিত্তিক। কৃষি খাতে বাংলাদেশের শতকরা ৬০ ভাগ মানুষের জীবন জীবিকা কোনোভাবে নির্ভরশীল। দেশের মোট কর্মক্ষম জনসম্পদের ৪৭.৫ শতাংশ শ্রমশক্তি সরাসরি কৃষির সঙ্গে জড়িত। দেশের জিডিপিতে ক্রমান্বয়ে কৃষি খাতের অবদান কমছে কারণ সরকারিভাবে এই খাতকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। প্রতিবছর বাজেটের আকার বড় হচ্ছে তাই বাড়ছে কৃষি খাতের বরাদ্দ। তবে বাজেটের আকার বাড়ার সঙ্গে কৃষিতে ভর্তুকির বরাদ্দ হিসাব করলে দেখা যাবে প্রতিবছরই ভর্তুকি বাজেটের আকারের তুলনায় কমছে। তাই এ বাজেটে কতটুকু তৃণমূল মানুষের বা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে তা বাজেট সম্পর্কে এক অস্বাক্ষর ব্যক্তিও বুঝতে পারছেন। দেশের সড়ক, সেতু নির্মাণে সামরিক বাহিনী কাজ করছেন। সড়ক নির্মাণে প্রতি মিটারে কত খরচ হয় তার একটি হিসাব এই বাজেটে প্রদান করা উচিত ছিল। শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৬৫,৪৫০ কোটি টাকা। এই বরাদ্দ সত্যিই আশাব্যঞ্জক। তবে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের সর্বজনীনতার তথ্যটা অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় আসা উচিত।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় ও সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে নানা ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ক্যাডেট কলেজ, সামরিক মেডিকেল কলেজ, সাধারণ মেডিকেল কলেজ, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, সামরিক বাহিনীর বিশ্ববিদ্যালয় (তবে বর্তমানে বাণিজ্যিকভিত্তিক সেনাবাহিনীও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছেন সেগুলো বাদে), সাধারণ স্কুল, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এগুলোতে একজন শিক্ষার্থী প্রতি কোন প্রতিষ্ঠানে সরকারি ব্যয় কত হয় তার একটি চিত্র প্রকাশ করা। একটি ক্যাডেট কলেজে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। প্রতিটি ক্যাডেট কলেজে ছাত্র সংখ্যা ৩৫০ এর মতো। দেশের গ্রামাঞ্চলের সাধারণ একটি উচ্চবিদ্যালয়ের ৩৫০ জন শিক্ষার্থী পড়ানোর জন্য সরকারি ব্যয় কত হয় আর ক্যাডেট কলেজে ৩৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াতে খরচ কত হয় তার তুলনামূলক চিত্রটাও বাজেটে আসা উচিত। একজন এনজিওর নির্বাহীর শিক্ষা খাতের বাজেট বরাদ্দ দেখে তিনি বলে দিলেন এতে তৃণমূলের আশা আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে, এই এনজিওগুলো কি গণমানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে নাকি চামচামি করে নিজেদের বাড়ি-গাড়ি ভোগ-বিলাসের রাস্তাটা প্রশস্ত করছেন। সরকার গার্মেন্ট মালিকদের করপোরেট ট্যাক্স কমিয়েছেন ১০ শতাংশ। বাংলাদেশের করপোরেট ট্যাক্সের ফাঁকফোকরের কথা সবার জানা। ব্যবসায়ী, শিল্পপতি এবং ব্যাংক মালিকদের সামাজিক দায়বব্ধতা বাড়িয়েছেন। দেখা যায় নানা কায়দায় ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃব ংড়পরধষ ৎবংঢ়ড়হংরনরষরঃু খাতসহ বিভিন্ন খাতে অর্থ সরিয়ে নিট আয় দেশের ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিরা কমিয়ে ফেলেন ফলে। আর ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃব ংড়পরধষ ৎবংঢ়ড়হংরনরষরঃু এর মাধ্যমে সমাজসেবী কিছু ফাউন্ডেশন নিজেরাই প্রতিষ্ঠা করেছেন। আর এই প্রতিষ্ঠানে নিজেদের লোকজনকে উচ্চপদে নিয়োগ দিয়ে মোটা অঙ্ক বেতন দেয়ার মাধ্যমে তা আবার নিজেরাই নিয়ে নেয়। একজন গার্মেন্ট কর্মীর বেতন কি বাড়ল? তার প্রভিডেন্ট ফান্ড গ্র্যাচুয়েটির কি ব্যবস্থা হলো? এগুলোর কিন্তু কোনো কিছু প্রতিফলন ঘটেনি অর্থমন্ত্রীর পেশ করা বাজেটে। উপরন্তু গার্মেন্টশিল্পের শ্রমিক তার আপদকালীন সময়ের জন্য ব্যাংকে যে টাকাটা জমা রাখবেন তা থেকে কর নেয়ার ব্যবস্থা করল এই ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট।
যারা এই বাজেটকে তৃণমূলের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে বক্তব্য দিচ্ছেন তারা বাজেটের খাত অনুযায়ী বিশ্লেষণ করে ব্যাখ্যা দেবেন যে এটা কতটা গণমুখী বাজেট হয়েছে। বাজেট বিশ্লেষণ করলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে এই গণতান্ত্রিক দেশে কার স্বার্থ রক্ষার জন্য এ ধরনের বাজেট পেশ করা হয়েছে।
শাহ মো. জিয়াউদ্দিন: কলাম লেখক
< Prev | Next > |
---|