gfhf65মোমিন মেহেদী

‘ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন’ চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জের রঙ নিয়ে আমি অত্যন্ত শঙ্কিত একারনে যে, জীবনের প্রতিটি পর্বে সাহসের রঙ, বিদ্রোহের রঙ লাল জেনে আসলেও এবার মনে হয় সেই রঙ কালো হতে চলেছে। কেননা, পত্রিকার ভাষায়- ১৪ দলীয় জোটের নেতৃত্বাধীন প্রধান শরিক আওয়ামী লীগ ঘোষিত ‘ভিশন-২০২১’ বাস্তবায়নকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে ভিশন-২০২১ বাস্তবায়ন করে ২০৪১ সালের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের সামনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচনে জয়লাভ করে নিজেদের শাসনামলেই ২০২১ সালের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে চায় সরকারি দলটি। এক্ষেত্রে সামনের নির্বাচনকে লক্ষ্য করে পুরো দলকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ শুরু করেছে দলটি। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রগুলো বলছে, আগামী নির্বাচনের জন্য সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-গুলোর চিত্র তুলে ধরে আগেভাগেই প্রচারণা শুরু করতে চায় দলটি। আর এক্ষেত্রে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং দলীয় কার্যালয়গুলোকে সেভাবে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ। এছাড়া জনগণের সাথে নেতাদের সম্পৃক্ততা যাচাইয়েও কাজ শুরু করেছে দলটি। এই যাচাই-বাছাইয়ের রাস্তায় আমাদের রাজনীতিকগণ যেভাবে হাটছেন, ঠিক একইভাবে হাটছেন নাগরিকগণও। তারাও যাচাই-বাছাই শুরু করেছেন গ্যাসের দাম ১ চুলা ৯০০ এবং ২ চুলা ৯৫০ টাকায় উন্নীত করার পেছনে কারা আর সামনে কারা তাদেরকে।

জনগন কিন্তু জানে যে, গত ৪৭ বছরেরর বাজেট কিভাবে বাংলাদেশের মানুষকে পায়ে পিষ্ট করার মধ্য দিয়ে পাস করানো হয়েছে। কিভাবে বাংলাদেশের কৃষক-শ্রমিক- মেহনতি মানুষের উপরে খড়গ চালিয়ে অন্যায়ের-অপরাধের রাম রাজত্ব নির্মাণে নিবেদিত থেকেছেন। কিভাবে বাংলাদেশে সাতচল্লিশ বছরে বারবার জনগনের উপর ক্ষমতার স্টিম রোলার চালিয়েছে ছল-চাতুরির সরকার। এবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ (অর্থবছর-২০১৮) অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করার মধ্য দিয়ে দেশের ৪৬তম বাজেট এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ১৮তম এবং এ এম এ মুহিতের উপস্থাপিত ১১তম বাজেট চাপিয়ে দিলেন নাগরিকদের উপর। যেখানে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর থেকে ঘোষিত বাজেটের আকার, এডিপি'র পরিমাণ এবং বাজেটের ঘোষকের বিবরণ তুলে ধরে হলো টাকার পরিমাণ কোটির হিসেবে নিয়ে আসলে অর্থবছর বাজেট প্র্রস্তাবক মোট বাজেটের আকার এডিপি যারপরনাই কষ্টদায়ক বলেই বিবেচিত হবে, হয়েছে এবং হয়েছিলো বলেই প্রমাণিত। যেমন- ১৯৭২-৭৩ তাজউদ্দীন আহমেদ ৭৮৬ কোটি টাকা ৫০১ কোটি টাকা,
১৯৭৩-৭৪ তাজউদ্দীন আহমেদ ৯৯৫ কোটি টাকা ৫২৫ কোটি টাকা, ১৯৭৪-৭৫ তাজউদ্দীন আহমেদ ১,০৮৪ কোটি টাকা ৫২৫ কোটি টাকা, ১৯৭৫-৭৬ ড. আজিজুর রহমান ১,৫৪৯ কোটি টাকা ৯৫০ কোটি টাকা, ১৯৭৬-৭৭ মেজর জেনারেল জিয়া ১৯৮৯ কোটি টাকা ১,২২২ কোটি টাকা, ১৯৭৭-৭৮ লে. জেনারেল জিয়া ২,১৮৪ কোটি টাকা ১,২৭৮ কোটি টাকা, ১৯৭৮-৭৯ প্রেসিডেন্ট জিয়া ২,৪৯৯ কোটি টাকা ১,৪৪৬ কোটি টাকা, ১৯৭৯-৮০ ড. এম এন হুদা ৩,৩১৭ কোটি টাকা ২,১২৩ কোটি টাকা, ১৯৮০-৮১ এম সাইফুর রহমান ৪,১০৮ কোটি টাকা ২,৭০০ কোটি টাকা, ১৯৮১-৮২ এম সাইফুর রহমান ৪,৬৭৭ কোটি টাকা ৩,০১৫ কোটি টাকা, ১৯৮২-৮৩ এ এম এ মুহিত ৪,৭৩৮ কোটি টাকা ২,৭০০ কোটি টাকা, ১৯৮৩-৮৪ এ এম এ মুহিত ৫,৮৯৬ কোটি টাকা ৩,৪৮৩ কোটি টাকা, ১৯৮৪-৮৫ এম সাইদুজ্জামান ৬,৬৯৯ কোটি টাকা ৩,৮৯৬ কোটি টাকা, ১৯৮৫-৮৬ এম সাইদুজ্জামান ৭,১৩৮ কোটি টাকা ৩,৮২৫ কোটি টাকা, ১৯৮৬-৮৭ এম সাইদুজ্জামান ৮,৫০৪ কোটি টাকা ৪,৭৬৪ কোটি টাকা, ১৯৮৭-৮৮ এম সাইদুজ্জামান ৮,৫২৭ কোটি টাকা ৫,০৪৬ কোটি টাকা, ১৯৮৮-৮৯ মেজর জেনারেল মুনিম ১০,৫৬৫ কোটি টাকা ৫,৩১৫ কোটি টাকা, ১৯৮৯-৯০ ড. ওয়াহিদুল হক ১২,৭০৩ কোটি টাকা ৫,৮০৩ কোটি টাকা, ১৯৯০-৯১ মেজর জেনারেল মুনিম ১২,৯৬০ কোটি টাকা ৫,৬৬৮ কোটি টাকা,

১৯৯১-৯২ এম সাইফুর রহমান ১৫,৫৮৪ কোটি টাকা ৭,৫০০ কোটি টাকা, ১৯৯২-৯৩ এম সাইফুর রহমান ১৭,৬০৭ কোটি টাকা ৯,০৫৭ কোটি টাকা, ১৯৯৩-৯৪ এম সাইফুর রহমান ১৯,০৫০ কোটি টাকা ৯,৭৫০ কোটি টাকা, ১৯৯৪-৯৫ এম সাইফুর রহমান ২০,৯৪৮ কোটি টাকা ১১,০০০ কোটি টাকা, ১৯৯৫-৯৬ এম সাইফুর রহমান ২৩,১৭০ কোটি টাকা ১২,১০০ কোটি টাকা, ১৯৯৬-৯৭ এস এ এম এস কিবরিয়া ২৪,৬০৩ কোটি টাকা ১২,৫০০ কোটি টাকা, ১৯৯৭-৯৮ এস এ এম এস কিবরিয়া ২৭,৭৮৬ কোটি টাকা ১২,৮০০ কোটি টাকা, ১৯৯৮-৯৯ এস এ এম এস কিবরিয়া ২৯,৫৩৭ কোটি টাকা ১৩,৬০০ কোটি টাকা, ১৯৯৯-০০ এস এ এম এস কিবরিয়া ৩৪,২৫২ কোটি টাকা ১২,৪৭৭ কোটি টাকা, ২০০০-০১ এস এ এম এস কিবরিয়া ৩৮,৫২৪ কোটি টাকা ১৭,৫০০ কোটি টাকা, ২০০১-০২ এস এ এম এস কিবরিয়া ৪২,৩০৬ কোটি টাকা ১৯,০০০ কোটি টাকা, ২০০২-০৩ এম সাইফুর রহমান ৪৪,৮৫৪ কোটি টাকা ১৯,২০০ কোটি টাকা, ২০০৩-০৪ এম সাইফুর রহমান ৫১,৯৮০ কোটি টাকা ২০,৩০০ কোটি টাকা, ২০০৪-০৫ এম সাইফুর রহমান ৫৭,২৪৮ কোটি টাকা ২২,০০০ কোটি টাকা, ২০০৫-০৬ এম সাইফুর রহমান ৬১,০৫৮ কোটি টাকা ২৩,৬২৬ কোটি টাকা, ২০০৬-০৭ এম সাইফুর রহমান ৬৯,৭৪০ কোটি টাকা ২৬,০০০ কোটি টাকা, ২০০৭-০৮ মির্জা আজিজুল ইসলাম ৯৯,৯৬২ কোটি টাকা ২৫,৬০০ কোটি টাকা, ২০০৮-০৯ মির্জা আজিজুল ইসলাম ৯৯,৯৬২ কোটি টাকা ২৫,৪০০ কোটি টাকা, ২০০৯-১০ এ এম এ মুহিত ১,১৩,৮১৫ কোটি টাকা ২৮,৫০০ কোটি টাকা, ২০১০-১১ এ এম এ মুহিত ১,৩২,১৭০ কোটি টাকা ৩৫,১৩০ কোটি টাকা, ২০১১-১২ এ এম এ মুহিত ১,৬১,২১৪ কোটি টাকা ৪১,০৮০ কোটি টাকা, ২০১২-১৩ এ এম এ মুহিত ১,৯১,৭৩৮ কোটি টাকা ৫২,৩৬৬ কোটি টাকা, ২০১৩-১৪ এ এম এ মুহিত ২,২২,৪৯১ কোটি টাকা ৬০,০০০ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ এ এম এ মুহিত ২,৫০,৫৬০ কোটি টাকা ৭৫,০০০ কোটি টাকা, ২০১৫-১৬ এ এম এ মুহিত ২,৯৫,১০০ কোটি টাকা ৯৩,৮৯৪ কোটি টাকা, ২০১৬-১৭ এ এম এ মুহিত ৩,৪০,৬০৫ কোটি টাকা ১,১০,৭০০ কোটি টাকা। সর্বশেষ তিনি যে বাজেটটি আমাদের জন্য নিয়ে এসেছেন, সে বাজেট নিয়ে আমরা এতটাই বিপাকে পড়বো বলে মনে হচ্ছে, যে বিপাক থেকে উত্তরণের জন্য নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিদেরকেই রাখতে হতে পারে সবচেয়ে বড় ভূমিকা। তাদের চোখের সামনে যেহেতু গত ১ মার্চে প্রথম ধাপে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয়। তখন ৬০০ টাকা থেকে এক চুলা করা হয় ৭৫০ টাকা, ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা করা হয় দুই চুলা। এরপর আবারো গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে; সেহেতু তারা রাজনৈতিক যা আজ ১ জুন থেকে কার্যকর হলো দ্বিতীয় ধাপ। এক চুলা ৯০০, দুই চুলা ৯৫০ টাকা। গ্যাসের দাম বাড়ানোর ফলে সার, বিদ্যুৎ ও শিল্পে উৎপাদনের ব্যয় বাড়বে, যার ভার শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ঘাড়েই চাপবে। এ ছাড়া সিএনজির দাম বাড়ালে পরিবহণ ভাড়াও বাড়বে। এটিও বহন করতে হবে ভোক্তা ও যাত্রীদেরকেই। এমন একটা সময়ের সাথে তৈরি হয়ে এগিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশকে, যে সময়ে পারিবারিক ও যানবাহনে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম দুই ধাপে বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। আর সেই রায়ের সূত্র ধরে, জনগনের কথা না ভেবে ১ জুন থেকে দ্বিতীয় দফায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্ত বহাল রাখলো বর্তমান সরকার। পাশাপাশি যানবাহনে ব্যবহৃত সিএনজির দাম ১ মার্চ থেকে প্রতি ঘনমিটারে ৩৮ এবং ১ জুন থেকে ৪০ টাকা হবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন, সার, শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতেও গ্যাসের দাম দুই ধাপে ৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়। এ প্রেক্ষাপটে ভোক্তা অধিকার কর্মীরা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ব্যবসায়ী সংগঠন গ্যাসের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। সারাদেশে মানুষ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে তৈরি। এরই মধ্যে বিরাট ব্যয়ের ‘নির্বাচনী’ বাজেট ঘোষণা। এবারের বাজেটে সামাজিক উন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, বিনিয়োগ বাড়িয়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির হার বাড়ানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারের অগ্রাধিকার পাওয়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের দিকেও বেশি নজর দিয়ে এগিয়ে গেলো বলে গণমাধ্যম বলতে তৈরি। সব মিলিয়ে এই বাজেটে সরকার একদিকে যেমন জনতুষ্টির কথা বললো, অন্যদিকে ব্যবসায়ী ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে মধুর একটি সম্পর্ক তৈরির রূপরেখা প্রণয়ন করে উল্টো গেলো। তথাকথিত অগ্রসরমান অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ৪ লাখ ২শ ৬৬ কোটি টাকার বিশাল বাজেট ঘোষণার মধ্য দিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আমাদের রাজনীতিকদেরকে কুলষিত হওয়ার রাস্তা আরো বড় করে দিলেন। কেননা, এই বাজেটে রাজস্ব বোর্ডের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এই বাজেটে এডিপি হচ্ছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩শ ৩১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। মূল এডিপির সাথে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দ থাকবে ১০ হাজার ৭শ ৫৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের এডিপির আকার হচ্ছে ১ লাখ ১০ হাজার ৭শ কোটি টাকা। অনুমোদিত এডিপির মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৯৬ হাজার ৩শ ৩১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ও বৈদেশিক উৎস থেকে ৫৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। গত ১ মে অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় এডিপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। অর্থবছরের এডিপিতে পরিবহণ খাতে ৪১ হাজার ৫৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, বিদ্যুৎ খাতে ১৮ হাজার ৮শ ৫৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, শিক্ষা ও ধর্ম খাতে ১৬ হাজার ৬শ ৭৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা, ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ন খাতে ১৪ হাজার ৯শ' ৪৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ১৪ হাজার ৪শ ৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হবে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

দেশের প্রথম অর্থবছরের (১৯৭২-৭৩) বাজেটের আকার ছিল ৭শ' ৮৬ কোটি টাকা। সেই বাজেট আসন্ন ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এসে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২শ ৬৬ কোটি টাকায়। অর্থাৎ গত ৪৬ বছরে বাজেটের আকার বেড়েছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৪শ ৮০ কোটি টাকা। সর্বশেষ চলতি অর্থবছরের বাজেট ছিল ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে বাজেট বাড়ল ১ লাখ ৯৬ হাজার ২শ ৬৬ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ৩২ শতাংশ বেশি। কিন্তু যোগান দিতে গিয়ে আমজনতার কাধে এক এক করে হাজারো বোঝা তুলে দিলে জনগন নতুন নাগরিক সমাজকে সাথে নিয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে বলে আমি মনে করি। তবে বিনয়ে সাথে সবার আগে যে কথাটি বলবো, সেটি হলো-দুর্নীতি থামান, জনগনের কথা ভাবুন, দেখবেন উন্নয়নের নামে আমজনতার বোঝা বাড়াতে হবে না। বরং আমজনতার আন্তরিকতার মধ্য দিয়েই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। যেভাবে বায়ান্নতে, একাত্তরে এবং নব্বই অবধি জনগন নিবেদিত থেকে কাজ করে এগিয়ে নেয় দেশকে-মানুষকে। তখন কথায় কথায় এভাবে ভ্যাট বাড়েনি, তেল-গ্যাসের দাম বাড়েনি, দ্রব্যমূল্য বাড়েনি। বাড়তো সম্মান, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, আন্তরিকতা। আজ উঠে যেতে বসলো এই বাজেট নামক শীর্ষ সমস্যার জালের কারণে...

মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবি

 

সাম্প্রতিক