rizvi budgetঢাকা : রুহুল কবির রিজভী আহমেদজাতীয় সংসদে পাসকৃত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেটকে ‘গরিব মারার বাজেট’ বলে উল্লেখ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ দলের এ অবস্থান ব্যক্ত করেন। বিশাল ঘাটতির এই বাজেট অলীক এবং জনগণের সঙ্গে ধোঁকাবাজির শামিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বিকালে বাজেট পাস হওয়ার পর রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বাজেটের নানা বিষয় নিয়ে সমালোচনা করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাজেট আলোচনারও তীব্র নিন্দা করেন বিএনপির এই নেতা।

বাজেটের সমালোচনা করতে গিয়ে বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২ আগামী ২ বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তে মনে হয় সরকার আবারও যেনতেন প্রকারে ক্ষমতায় আসার খায়েশ পোষণ করছে এবং ক্ষমতায় এসে পুনরায় সে আইনটি চালু করে জনগণের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবে। এ আইন দু’বছরের জন্য স্থগিত করা অশুভ ভবিষ্যতের ইঙ্গিতবাহী।’

বাজেট প্রতিক্রিয়ার রিজভী আরও বলেন, ‘আজ যে বাজেট পাস হলো সেটি গণবিরোধী, উদ্ভট তামাশা, জীবনযাত্রার মানকে নিম্নমুখী করা, মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিসহ মানব উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা ও জনগণের পকেট কাটার বাজেট। আমরা এ প্রতিক্রিয়াশীল বাজেটের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

রিজভী আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমরা কতটা গণতান্ত্রিক যে, নিজ দলের এমপিরাও অর্থমন্ত্রীকে ছাড় দেয়নি। এ প্রসঙ্গে আমাদের আর বলার কিছু নাই। তামাশা দেখতে ভালই লাগে। অর্থমন্ত্রীকে কেষ্টা বানিয়ে বাজেট নাটকটি দক্ষ পরিচালনার অভাবে জনগণের কাছে হাস্যপদ নাটকে পরিণত হয়েছে। অর্থমন্ত্রীকে নিজ দলের এমপিদের কটুবাক্য বর্ষণকে প্রধানমন্ত্রী উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের নমুনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আসলে তা হবে পাতানো একতরফা নির্বাচনে গঠিত ভোটারবিহীন সরকারের পাতানো গণতন্ত্র।’

বিএনপিনেতা আরও অভিযোগ করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গতকাল সংসদে বলেছেন ভিক্ষা অনুদানের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে তারা বেরিয়ে এসেছেন। তারা নাকি নিজস্ব আর্থিক ক্ষমতা নির্মাণ করেছেন। অথচ এবারই বাজেটের ঘাটতি মোকাবেলায় বিদেশি ঋণ ৪৫ হাজার ৪২০ কোটি টাকা আর অনুদান হিসেবে ৫ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে।’

‘বাংলাদেশের ব্যাংকিংখাত অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় আছে’- অর্থমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিএনপিনেতা বলেন, ‘এই যদি পরিস্থিতি হয় তাহলে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে বাজেটের ঘাটতি মেটানো বন্যা প্রবণ নদীর তীরে বালির বাঁধ নির্মাণের শামিল।’

রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘মূলত লুটপাটের জন্যই বিশাল ঘাটতির এ বাজেট পাস করা হয়েছে। রাজস্ব আয় যেসব খাত থেকে ধরা হয়েছে তা গরিবের পকেট কেটেই আদায় করা হবে। আবার বাজেটে যে বিশাল অংকের ঘাটতি দেখানো হয়েছে তা পূরণ করা অসম্ভব। আবার বাজেটে যে কাল্পনিক প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছে তাও বাস্তবসম্মত নয়। বিশ্বব্যাংক বিষযটি নিয়ে আগেই বলেছে ৭.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কাল্পনিক। যা বাস্তবের সঙ্গে কোনও মিল নেই।’

সাম্প্রতিক