t05আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তার দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানা যায়।

গত সোমবার আল-সিসিকে হোয়াইট হাউজে স্বাগত জানান ট্রাম্প। বৈঠকের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, তিনি সিসির নেতৃত্বকে প্রবলভাবে সমর্থন করছেন এবং যৌথভাবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার করেন।

সিসি সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠার পর জাতিসংঘের পক্ষ থেকে তা তদন্ত করা হয়। জাতিসংঘেরে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মিসর কর্তৃপক্ষ প্রতিনিয়ত নারী, মানবাধিকার ও সংবাদকর্মীদের ওপর নির্যাতন করছে। মিসরের কারাগারে প্রায় ৪০ হাজার রাজনৈতিক বন্দি রয়েছেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সবাইকে জানাতে চাই, আমরা প্রেসিডেন্ট সিসির পাশেই আছি। তিনি এক কঠিন সময়ে অসাধারণ কাজ করেছেন।’ সিসিকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে আপনার একজন ভালো বন্ধু ও মিত্র আছে, আর তা আমি।’

সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০০৯ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারককে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানানোর পর এই প্রথম মিশরের কোনও নেতা হোয়াইট হাউস সফর করলেন।

ট্রাম্পের মন্তব্যের পর সিসি বলেন, ‘আমি মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য সমর্থন করছি এবং তার পাশে আছি। আমরা অশুভ মতবাদকে নির্মূল করবো।’

উল্লেখ্য, মিসরের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বর্তমানে সিনাই অঞ্চলে নিষিদ্ধ ঘোষিত বিরোধীদল মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এক সংঘর্ষের মধ্যে রয়েছে।

এই বৈঠকের আগেই মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, সিসির বিরুদ্ধে ভিন্নমত দমন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু অভিযোগ থাকলেও জনসমক্ষে তার সমালোচনা করবে না মার্কিন কর্তৃপক্ষ। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বহু আগে থেকেই সিসির বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছে।

২০১৩ সালের ৩ জুলাই তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল সিসির নেতৃত্বে সামরিক বাহিনী দেশের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। তখন মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করা হয়। এর এক বছর পর সেনাশাসক সিসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

সাম্প্রতিক