আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
trump-kimমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিতে আদতেই ঘাবড়াচ্ছেনা উত্তর কোরিয়া। পরমাণু অস্ত্র নির্মাণে বাধা দিলে প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন। খবর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এই সময়ের।

পরমাণু অস্ত্র বৃদ্ধির প্রস্তুতি আটকাতে মার্কিন স্বরাষ্ট্রসচিব রেক্স টিলারসনের সাম্প্রতিক হুমকিতে উত্তর কোরিয়া যে একেবারেই বিচলিত নয় সোমবার তা সাফ জানিয়ে দিলেন সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রালয়ের মুখপাত্র।

পরমাণু অস্ত্র নির্মাণ রুখতে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে একদিকে যেমন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরিকল্পনা হচ্ছে, তেমনই দেশের বাইরে ছড়িয়ে থাকা কিম জং-উনের বিভিন্ন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে কূটনৈতিক চাপ বাড়াতে চাইছে ওয়াশিংটন। বিশেষ করে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যেসব দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে, সেসব দেশের একাধিক ব্যাঙ্ক ও সংস্থার উপর চাপ বাড়ানোর কথা ভাবছে হোয়াইটহাউস।

সম্প্রতি জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও চিন সফরে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র প্রকল্প নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক আলোচনায় বসেন মার্কিন স্বরাষ্ট্রসচিব টিলারসন। এর পরেই কিম জং-উন সরকারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির ঘোষণা করে মার্কিন প্রশাসন।

জানা গেছে, এই পরিকল্পনাটি আদতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাককাস্টারের মস্তিষ্কপ্রসূত। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। আগামী এপ্রিল মাসের গোড়ায় চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিংপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন ট্রাম্প। আলোচনায় স্বভাবতই গুরুত্ব পাবে উত্তর কোরিয়া ইস্যু।

উল্লেখ্য, গত শনিবার নয়া প্রযুক্তির হাই-থ্রাস্ট রকেট ইঞ্জিন পরীক্ষার সাফল্য ঘোষণা করেন কিম জং-উন। দেশের মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে তা এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন বলে তিনি দাবি করেন। তার কিছু দিন আগেই আন্তঃমহাদেশীয় দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল উত্‍‌ক্ষেপণে সাফল্য লাভ করে কিমের দেশ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে যে হারে অস্ত্রসম্ভারে শান দিচ্ছেন কিম, তাতে বিলক্ষণ উদ্বিগ্ন আমেরিকা। তবে মার্কিন চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করার দুঃসাহস শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের সিঁদুরে মেঘ ডেকে আনে কি না, সেদিকেই আপাতত নজর বিশ্বের।

সাম্প্রতিক