আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মসুলের পুরনো শহর অঞ্চলের ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কমান্ডারকে হত্যা করেছে ইরাকি সরকারি বাহিনী।
কেন্দ্রীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার বাব আল টোব এলাকায় জঙ্গিমুক্ত করার অভিযান চলার সময় কেন্দ্রীয় পুলিশ পুরনো শহর অঞ্চলের আইএসের সামরিক কমান্ডার আবু আবদুল রহমান আল আনসারিকে হত্যা করে। আইএসের অনেক নেতা মসুল থেকে পশ্চাৎপসারণ করলেও আল আনসারি রয়ে গিয়েছিলেন। পুরনো এলাকাটি আইএসের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য রাস্তায় রাস্তায় এবং বাড়িতে বাড়িতে লড়াইরত যোদ্ধাদের পরিচালনা করছিলেন তিনি।
তার মৃত্যুতে লড়াইরত আইএস জঙ্গিরা বিপর্যয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মসুল পুনরুদ্ধারে চলা লড়াই এখন তাইগ্রিস নদীর একটি লোহার সেতুকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। সোমবার ভারী বৃষ্টিপাতের পর গত মঙ্গলবার ফের তীব্র লড়াই শুরু হয়। মসুলের বাসিন্দারা সরকারি বাহিনীর পুনরুদ্ধার করা পশ্চিমাংশে গিয়ে জড়ো হচ্ছে। তারা শীতার্ত ও ক্ষুধার্ত হলেও জঙ্গিদের হাত থেকে নিস্তার পেয়ে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে।
আইএসের লক্ষ্যভেদীদের কারণে ইরাকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত অভিজাত বাহিনী র্যাপিড রেসপন্স ইউনিটের গতি মন্থর হয়ে পড়েছে। তারপরও পূর্ব ও পশ্চিম মসুলের মধ্যে সংযোগকারী লোহার সেতুটি ধরে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে বাহিনীটি, জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
লোহার এই সেতুটি পুনরুদ্ধার করতে পারলে তাইগ্রিস নদীর পাঁচটি সেতুর মধ্যে তিনটি ইরাকি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আসবে। সর্ব দক্ষিণের দুটি সেতু ইতোমধ্যেই সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
তবে সবগুলো সেতুই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বিমান হামলায় ও জঙ্গিদের বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সেতুগুলোর পাশাপাশি পশ্চিম মসুলের অন্যান্য দিক থেকেও শহরটির ভিতরে থাকা জঙ্গিদের চেপে ধরেছে সরকারি বাহিনী। চাপ যত বাড়ছে জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার পরিধি ততই সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। মসুল মূলত তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হত।
এই শহরের পুরনো অংশের আল নুরি মসজিদ থেকেই ২০১৪ সালে ইসলামি খিলাফত ‘ইসলামিক স্টেট’ এর ঘোষণা দিয়েছিলেন জঙ্গিগোষ্ঠীটির প্রধান আবু বকর আল বাগদাদি। তাই আইএস বিরোধী অভিযানে এই শহরটির পুনরুদ্ধার খুব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হয়ে উঠবে।
< Prev | Next > |
---|