dudukস্টাফ রিপোর্টার: দুর্নীতিবাজদের খুঁজে বের করতে এবার নিজস্ব গোয়েন্দা ইউনিট গঠন করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)।

দুদকের পঞ্চবার্ষিকীর কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রাধিকার তালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ জেলা ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম। দুদক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি এ গোয়েন্দা ইউনিটও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ এবং অভিযোগের অনুসন্ধান করবে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন থেকে দুর্নীতিবাজরা আর তাদের কালো টাকা লুকিয়ে রাখতে পারবে না। এজন্য দুদক নিজস্ব গোয়েন্দা ইউনিট করছে।

দুদকের নিজস্ব গোয়েন্দা সদস্যরা তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো আমাদের দেবেন এবং আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবো। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদকের পরিচালক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান, দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক আবদুল আজিজ ভুঁইয়া, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান ও রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম। প্রধান আলোচক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর এন কে নোমান।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন- দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি রাজশাহী মহানগর সভাপতি ইয়াহিয়া মোল্লা। এছাড়া আলোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে বগুড়া জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব আবদুর রহিম ও রংপুর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন বক্তব্য দেন। আলোচনা শেষে বিভাগের শ্রেষ্ঠ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটিগুলোর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জেলা পর্যায়ে এ বছর রাজশাহী বিভাগে শ্রেষ্ঠ হয়েছে বগুড়া জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি। উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হয়েছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া কমিটি। রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ হয়েছে রংপুর জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি।

সাম্প্রতিক