c01আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কলম্বিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধসে নিহত ২৫৪ জনের মধ্যে ৪৪টি শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস। গত শনিবার ভোররাতের ওই প্রাকৃতিক দুর্যোগে আরো কয়েকশত মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। ভারি বৃষ্টিপাতে পুতুমায়ো প্রদেশের রাজধানী মোকোয়া প্লাবিত হয়ে যায়, বন্যার পানির সঙ্গে আসা কাদা ও পাথরের নিচে শহরের আবাসিক এলাকাগুলোর ঘরবাড়ি চাপা পড়ে, বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। প্রদেশটির ১৭টি দুর্গত এলাকায় ১১’শ সেনা ও পুলিশ সদস্য উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে নিয়োজিত আছে।

কলম্বিয়ায় নিযুক্ত জাতিসংঘের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ দুর্যোগের জন্য আবহাওয়ার পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন। অপরদিকে কলম্বিয়ার সাবেক পরিবেশমন্ত্রী ও সংরক্ষণবাদী আদ্রিয়ানা সোতো এ দুর্যোগের জন্য বন উজাড়ও দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন।

ভূমিধসের পর শনিবার দূর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়া সান্তোস বলেছেন, “শেষ ব্যক্তিটি শনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না।” গত শনি-রোববার সরকারি ছুটির দিন হলেও উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। নিহতের সংখ্যা ২৫৪ বলে জানিয়েছেন সান্তোস, এদের মধ্যে অন্তত ১৭০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৪টি শিশু রয়েছে।

দেশটির সেনাবাহিনী ২০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানালেও গত রোববার বিকেলে এক টুইটে সান্তোস জানিয়েছেন, সরকারিভাবে নিখোঁজ কেউ নেই। উদ্ধারকাজ অব্যাহত থাকায় এ ঘটনায় মোট কতোজনের মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যমের হিসাবে নিহতের মোট সংখ্যা তিনশ ছাড়িয়ে যাবে।

কলম্বিয়া রেডক্রস জানিয়েছে, পরিবারগুলোর সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনে সহযোগিতা করছে তারা। দেশটির বিমান বাহিনী ত্রাণ সরবরাহ বহন করে নিয়ে আসছে।

বিধ্বস্ত মোকোয়ার পুনর্গঠনে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেসিডেন্ট সান্তোস বলেছেন, শহরটিকে আগের চেয়েও ভালো অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হবে। তবে তার সমালোচকরা বলেছেন, ওই এলাকাটিকে এ ধরনের বিপর্যয় থেকে রক্ষার জন্য আগেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। ওই এলাকাটিতে এমনিতেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হলেও ওই দিন অস্বাভাবিক ভারি বৃষ্টিপাত হয়ে হঠাৎ করে নদনদী উপচে পড়েছিল।

সাম্প্রতিক