স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে দুটি কেন্দ্র দখল করে জালভোট দেওয়ার ঘটনায় দায়িত্ব পালনকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৫৮ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিষয়টি একটি পত্রে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেছেন উপ সচিব হাবিব মো. হালিমুজ্জামান।
মেহেরপুর জেলার মেহেরপুর পৌরসভায় গত ২৫ এপ্রিল ভোট হয়। ভোটের আগে রাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রায় দেড় হাজার ব্যালটে সিল দিয়ে বাক্সে ফেলার অভিযোগে মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে দুটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়। দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্যে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদেরই দায়ী করা হয়েছে ইসির তদন্ত প্রতিবেদনে।
পুলিশ ও আনসার বাহিনীর কাছে পাঠানো স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনকালীন নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত ছিল এবং তাদের উপর অর্পিত কর্তব্যে চরমতম অবহেলা প্রদর্শন করেছেন।
এ আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে বন্ধ ঘোষিত দুই কেন্দ্রের পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, এ পৌরসভার সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের মেহেরপুর-১ (পুরুষ কেন্দ্র) এবং একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থিত মেহেরপুর-২ (মহিলা) কেন্দ্রে ভোটের আগের রাতে ব্যালটে সিল মেরে বক্সে ঢুকিয়ে রাখা হয়।
এ ঘটনা তদন্ত করে ওই দুই কেন্দ্রের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘কর্তব্য পালনে চরমতম অবহেলা প্রদর্শনের’ প্রমাণ পায় ইসির একটি কমিটি।
মেহেরপুর-১ কেন্দ্রে একজন এসআই, তিনজন এএসআই ও ১৪ জন অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য দায়িত্বে ছিলেন। এর বাইরে লাঠিসহ আনসার ছিলেন আরও ১৫ জন। সবমিলিয়ে ওই কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন ২৯ জন। একই হারে মেহেরপুর-২ কেন্দ্রে এসআই’র নেতৃত্বে ১৪ জন অস্ত্রধারীসহ ২৯ জন দায়িত্বে ছিলেন।
১৯৯১ সালের বিশেষ বিধানের এ ধারায় চাকরিবিধি অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিবেচনায় এসব সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত থেকে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অপসারণের সর্বোচ্চ শাস্তি রয়েছে।
< Prev | Next > |
---|