রাজনৈতিক রিপোর্ট
গত ৮ জানুয়ারী(রবিবার)বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া সিডনির রকডেলস্থ একটি ফাংশন সেন্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিশিষ্ট আইনজীবি আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া শাখার সভাপতি সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান এমপি।
অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পি এস চুন্নুর সঞ্চালনায় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া শাখার সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইমদাদুল হক, প্রবীণ লেখক রনেশ মৈত্র, ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টার্ন সিডনির শিক্ষক ডঃ কাইয়ুম পারভেজ ও ডঃ মাসুদুল হক, কলামিষ্ট ডঃ রতন কন্ডু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অস্ট্রেলিয়া শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলাম রুবেল, দেশ বিদেশে পত্রিকার সম্পাদক বদরুল আলম, ডঃ অরবিন্দু সাহা, সাবেক. ছাত্র নেতা ডঃ তানভীর আবির, কুয়েত বঙ্গবন্ধু পরিষদ সভাপতি ইন্জিনিয়ার খন্দকার আব্দুল হান্নান, অস্ট্রেলিয়া শাখার সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জাকারিয়া আল মামুন স্বপন, আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ, কবিতা পারভেজ, প্রধান অতিথির স্ত্রী মির্জা নাহিদা প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আব্দুর. রহমান এমপি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী তাদের পূর্বপরিকল্পিত বাঙালি নিধনযজ্ঞের নীলনকশা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে গণহত্যা চালায়। এ প্রেক্ষাপটে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ডাক দেন। এরপরই পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ৩২ নম্বরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে আটকে রাখে। সেখানে বঙ্গবন্ধু নয় মাস ১৪ দিন কঠিন কারাভোগ করেন। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু ফিরে না আসলে সারা বাংলায় কান্নার রোল উঠত। সেই নেতাকে ৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট হত্যার মধ্য দিয়ে গোটা দেশকেই হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ সেই দেশকে জননেত্রী শেখ হাসিনা নতুন রূপ দিয়েছেন, যুদ্ধপরাধীদের গাড়ি থেকে পতাকা ছিনিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দিয়েছেন, খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশকে খাদ্য উদ্বৃত্ত বাংলাদেশে পরিনত করেছেন। তার শাসনমালে রিজার্ভের ক্ষেত্রে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। আর জন্য তাকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়ার সাংবাদিকসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী উপস্হিত ছিলেন।
< Prev | Next > |
---|