আন্তর্জাতিক : প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক মাসের মাথায় এবার পার্লামেন্ট সদস্যদের বেছে নিতে ভোট দিচ্ছেন ফরাসি জনগণ। পার্লামেন্টের ৫৭৭টি আসনের জন্য প্রতিনিধি বেছে নিতে রবিবার (১১ জুন) নিজেদের রায় জানাচ্ছে তারা। নতুন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আশা করছেন গতকাল রবিবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার দল লা রিপাবলিক এন মার্চ বিপুল সংখ্যক আসনে জিতবে। মতামত জরিপগুলোও তাদের নিরঙ্কুশ বিজয়ের সম্ভাবনা সম্পর্কে নিশ্চিত করেছে। এইসব কথা সত্যি হলে তা হবে ফরাসি রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ম্যাক্রোঁর দল নিনরঙ্কুশ বিজয় পেলে দুটি বড় দল অর্থাৎ মধ্য-ডানপন্থী রিপাবলিকান এবং সোশ্যালিস্ট পার্টি নির্বাচনি লড়াইয়ে টিকতে পারবে না। গত মাসে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটাভুটিতে এ দুটি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংঘটিত বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার কথা মাথায় রেখে নির্বাচনে কড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে ৫০ হাজার পুলিশ। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আর পার্লামেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিয়ম একই। ভোট অনুষ্ঠিত হবে দুই দফায়। অর্থাৎ, পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হতে হলে প্রার্থীদেরকে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে হবে। কেউ যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভোট পেয়ে যান, তবে প্রথম দফার ভোটেই তিনি পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হবেন। আর যেসব আসনে কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট পাবেন না সেসব আসনের শীর্ষ দুই বিজয়ীর মধ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে লড়াই হবে। ধারণা করা হচ্ছে, ফ্রান্সের এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটে গুটিকয়েক এমপি নির্বাচিত করা যাবে। বেশিরভাগ এমপি বাছাইয়ের প্রক্রিয়া দ্বিতীয় দফার ভোটাভুটিতে গড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। মাত্র এক বছর আগে গড়ে তোলা ম্যাক্রোঁর দলটি থেকে বিভিন্ন বয়সের মানুষকে প্রার্থিতা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যেমন শিক্ষার্থীরা রয়েছেন, তেমনি অবসরপ্রাপ্তরাও আছেন। বিদেশে ফ্রান্সের ১১টি নির্বাচনি আসনে এরইমধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে ১০টি আসনেই জয়লাভ করেছে ম্যাক্রোঁর দল।
ÂÂ
< Prev | Next > |
---|