ukpmআন্তর্জাতিক ডেস্ক : আজ ৮ জুন বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন। নির্বাচনের আগে বুধবার শেষ মুহূর্তের প্রচারণার ব্যস্ত ছিল ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টি ও প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি। প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আবারও ক্ষমতায় ফিরবেন, নাকি লেবার নেতা জেরেমি করবিন নতুন প্রধানমন্ত্রী হবেন বৃহস্পতিবার সে সিদ্ধান্ত জানাবেন যুক্তরাজ্যের ভোটাররা।

সর্বশেষ জরিপ বলছে, কনজারভেটিভ পার্টি ও লেবার পার্টির ব্যবধান এখন ১ শতাংশের কম। লড়াইটা হতে পারে বেশ হাড্ডাহাড্ডি।

প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন, ক্ষমতায় ফিরলে তিনি ব্রেক্সিটের (ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ) পূর্ণ বাস্তবায়ন করবেন। অন্যদিকে লেবার নেতা জেরেমি করবিন সাত বছর ধরে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভদের কৃচ্ছ্রসাধন নীতিকে চ্যালেঞ্জ করে জনকল্যাণমুখী সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের এক বৈপ্লবিক প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে আরও বেশি ব্যয়ের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

থেরেসা কিংবা করবিন যিনিই প্রধানমন্ত্রী হোন, নির্বাচনের পর যুক্তরাজ্যের বর্তমান চরিত্র যে আর টিকে থাকবে না, তা অনেকটাই নিশ্চিত।

ভোট গ্রহণ স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। ভোটার ৪ কোটি ৭ লাখের মতো। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল নাগাদ জানা যাবে কে হচ্ছেন যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।

দেশটির পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালে। কিন্তু ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে নিজের ক্ষমতাকে আরও নিরঙ্কুশ করতে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে হুট করেই মধ্যবর্তী এ নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তাঁর এমন ঘোষণার পেছনে সাহস জোগায় বিরোধী দল লেবার পার্টির অন্তঃকলহ। গত ১৮ এপ্রিল থেরেসা যখন নির্বাচনের ঘোষণা দেন, তখন জনমত জরিপে ক্ষমতাসীনেরা লেবারের চেয়ে প্রায় ২৪ শতাংশ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল।

থেরেসা মে নির্বাচনের বিতর্ককে কেবলই ব্রেক্সিটকেন্দ্রিক রাখতে চেয়েছেন। জেরেমি করবিনের বৈপ্লবিক ইশতেহার আর দুই দফা সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় থেরেসার সেই চাওয়া ভেস্তে যায়। থেরেসা প্রচারণাজুড়েই বলেছেন, ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের জন্য চাই স্থিতিশীল ও শক্তিশালী নেতৃত্ব, যা একমাত্র তিনিই দিতে পারবেন। জেরেমি করবিনকে একজন দুর্বল নেতা আখ্যা দিয়ে তাঁকে ‘অযোগ্য এবং সন্ত্রাসীদের প্রতি নমনীয়’ বলে আক্রমণ করেছেন ক্ষমতাসীনেরা।

যুদ্ধবিরোধী হিসেবে পরিচিত করবিন এসব সমালোচনা পাত্তা না দিয়ে আঘাত করেছেন গতানুগতিক রাজনীতির মূল্যবোধে। দেশের সব নাগরিকের বিনা মূল্যে শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। যোগাযোগ, জ্বালানিসহ জনগুরুত্বপূর্ণ সেবা খাতগুলো সরকারীকরণের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে অর্থের অভাব নেই, কিন্তু এসব অর্থ গুটিকয়েক মানুষের হাতে তুলে দিয়েছে সরকারগুলো।

সাম্প্রতিক