আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীন, ভারত ও ভূটানের সীমান্তের দোকলাম এলাকায় গত তিন সপ্তাহ ধরে চীন ও ভারতের বাহিনী পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে আছে।
চীনা সেনাবাহিনীর একটি রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগে ভারতীয় বাহিনী বাঁধা দিলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এখন যে যুক্তি ব্যবহার করে ভুটানের হয়ে ভারতীয় বাহিনী সিকিম সেক্টরের দোকলাম এলাকায় চীনা সামরিক বাহিনীর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছে, সেই ‘একই যুক্তি’ ব্যবহার করে পাকিস্তানের অনুরোধে ‘তৃতীয় কোনো দেশের’ সেনাবাহিনী কাশ্মীরে প্রবেশ করতে পারবে বলে যুক্তি দিয়েছেন চীনের এক বিশ্লেষক, জানিয়েছে এনডিটিভি।
গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে চায়না ওয়েস্ট নর্মাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্ডিয়ান স্টাডিজের পরিচালক লং শিংচুন বলেছেন, “যদি ভুটান তার এলাকা রক্ষার জন্য ভারতকে অনুরোধ করেই থাকে সেক্ষেত্রে তা তার স্বীকৃত সীমার জন্যই প্রযোজ্য হবে, বিরোধপূর্ণ কোনো এলাকার জন্য নয়।
“তা না হলে, ভারতীয় যুক্তি অনুযায়ী, পাকিস্তান সরকার যদি অনুরোধ করে, তাহলে তৃতীয় কোনো দেশের সেনাবাহিনী পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে মালিকানা নিয়ে চলা বিরোধপূর্ণ এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে।”
এনডিটিভির প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, দোকলামের ঘটনা নিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমটিতে ভারতের সমালোচনা করে অনেকগুলো নিবন্ধ প্রকাশিত হলেও এই প্রথম কোনো নিবন্ধে পাকিস্তান ও কাশ্মীরকে টেনে আনা হলো।
নিজের নিবন্ধে বিশ্লেষক শিংচুন আরো বলেছেন, “ভুটানকে সাহায্য করার নাম করে ভারতীয় সেনারা চীনের দোকলাম এলাকা দখল করে নিয়েছে, কিন্তু কার্যত ভুটানকে ব্যবহার করে ভারত নিজের প্রয়োজনেই এলাকাটির দখল নিয়েছে।”
দোকলামের ঘটনা নিয়ে ৩০ জুন ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতির বরাত দিয়ে একথা বলেন শিংচুন।
সিকিম সীমান্তের বিরোধপূর্ণ ওই এলাকাটির ভারতীয় নাম দোকা লা, আর ভুটান এলাকাটিকে বলে দোকলাম; অপরদিকে এলাকাটিকে নিজেদের দোংলাং অঞ্চলের অংশ বলে দাবি করে চীন।
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে শুরু করে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত ভারত ও চীনের মধ্যে ৩,৪৮৮ কিলোমিটার সীমান্ত আছে। এরমধ্যে ২২০ কিলোমিটার সীমান্ত সিকিম এলাকায়।
< Prev | Next > |
---|