আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে আরও গঠনমূলকভাবে কাজ করার এখনই সময়।
জি-টোয়েন্টি সম্মেলন থেকে ফেরার পর থেকেই পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে নরম অবস্থানের জন্য সমালোচনার মুখে নিজের পক্ষে সাফাই দিয়ে একে পর এক টুইট করে চলেছেন ট্রাম্প।
মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে রাশিয়াকে বারবার চাপ দেওয়ার কথা বেশ কয়েকটি টুইটেই বলেছেন তিনি।
আরেকটি টুইটে ট্রাম্প বলেন, শুক্রবার জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে মুখোমুখি বৈঠকে পুতিন বেশ জোরের সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “আমি তাকে দু’বার বিষয়টি নিয়ে চেপে ধরলেও তিনি (পুতিন) দৃঢ়কণ্ঠে তা অস্বীকার করেছেন।”
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়টিই দু’দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে আছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে বিশ্বাস করতে পারে না এবং কখনও বিশ্বাস করবেও না।”
কিন্তু জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের বৈঠকে পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ সত্য নয় বলে জানালে ট্রাম্প তা বিশ্বাস করেছেন বলেই জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
তাছাড়া, রোববার এক টুইটে ট্রাম্প রাশিয়া এবং জর্ডানের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় আংশিক যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়টিরও প্রশংসা করেছেন।
ট্রাম্প বলেন, “আমরা সিরিয়ার একটি অংশে যুদ্ধবিরতি করতে সক্ষম হয়েছি। এতে করে অনেক মানুষের জীবন বাঁচবে। এখন রাশিয়ার সঙ্গে আরও গঠনমূলকভাবে কাজ করে যাওয়ার সময়।”
তবে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালিয়েই যাবে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাশ কার্টার এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রে রাজ্য নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচনের পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনও আছে। অন্যান্য দেশেও নির্বাচন আছে। এসব ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপের জন্য রাশিয়ার কোনও পরিণতি ভোগ করাটা আবশ্যক।”
< Prev | Next > |
---|