আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে দেখা দেওয়া বন্যা ও ভব্জ€šমিধসে অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃষ্টিপাত এখনও অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বৃষ্টির মধ্যেই গতকাল শুক্রবার ১০ হাজারের বেশি উদ্ধারকর্মী কাঠ ও কাদায় মাখামাখি ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করছে। প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বুধবার থেকে জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টিপাত শুরু হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার অন্তত ৮০ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও বৃষ্টি এবং ভব্জ€šমিধস হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক করেছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কিউশু দ্বীপের ফুকুওকা এলাকার কিছু অংশে ৪৮ ঘ্ন্টায় ৫৯৩ মিলিমিটার (২৩ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশটিতে জুলাই মাসের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের তুলনায় অনেক বেশি। কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। জানিয়েছে, আরও অন্তত ২২ জন নিখোঁজ রয়েছে। বৃষ্টিপাতের শুরুতে চার লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হতে পারে আশঙ্কা করা হলেও পরে ৮০ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আরও ১০ হাজার লোককে তাদের বাড়ি ছাড়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রথম দিকে বৃষ্টিপাত বেশি হবে না বলে মনে হলেও পরে তাদের ভুল ভাঙে।
প্রথমে এত বৃষ্টি হয়নি; কিন্তু তারা (কর্তৃপক্ষ) বলছিল রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হবে এবং তার পর থেকেই ভারি বৃষ্টি শুরু হলো। কর্তৃপক্ষ পরে রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেয়। আর আমরা বাইরে তাকিয়ে দেখি সেগুলো নদীর মতো হয়ে গেছে,” বলেন আসাকুরা এলাকার বাসিন্দা সুমি উমেও।
রয়টার্স বলছে, সেনবাহিনী, পুলিশ ও দমকল বাহিনীর অন্তত ১২ হাজার তিনশ সদস্য কাদা এবং রাস্তার ওপর ছড়ানো ছিটানো কাঠ সরিয়ে ভব্জ€šমিধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন শতাধিক মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। বড় বড় পাথর ও উঁচু গাছ আড়াআড়িভাবে পড়ে থাকায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
< Prev | Next > |
---|