অার্ন্তজাতিক ডেস্ক : অব্যাহতভাবে সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে আসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী মার্কিন মিডিয়া কেবল নিউজ নেটওয়ার্কের (সিএনএন) বিরুদ্ধে চড়াও হয়েছেন।
সিএনএনের লোগো সম্বলিত মুখোশ পড়া এক ব্যক্তির (প্রতীকী) সঙ্গে মল্লযুদ্ধে নেমে কিল-ঘুষিতে সিএনএনকে পরাভূত করার একটি ভিডিও নিজের টুইটারে প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। খবর- বিবিসির।
একই ভিডিও হোয়াইট হাউস পরিচালিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেও পোস্ট করা হয়েছে।
কয়েকদিন আগে প্রকাশিত ওই ভিডিওটি বিশ্বব্যাপী রীতিমতো ভাইরাল হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্কও দেখা দিয়েছে; সেইসঙ্গে গণমাধ্যমের প্রতি নিজের বিদ্বেষ আবারও প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।
নিজের টুইটারে প্রকাশ করা ওই ছোট্ট ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রাম্প সিএনএনের লোগা দিয়ে মাথা ঢাকা এক ব্যক্তির সঙ্গে মল্লযুদ্ধে নেমেছেন। মুহূর্তে মেরে প্রতীকী সিএনএনকে ধরাশায়ী করে দেন ট্রাম্প।
তবে এর মাধ্যমে ট্রাম্প গণমাধ্যমের প্রতি সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছে সিএনএন।
ভিডিওটি কদিন ধরে দেখা গেলেও এটি মূলত এক দশক আগে ২০০৭ সালে ধারণ করা। সে সময় আপাদমস্তক ব্যবসায়ী ট্রাম্প এক রেসলারের ফ্র্যাঞ্চাইজি ছিলেন। তখন লড়াইয়ের মঞ্চে ট্রাম্পের রেসলার ও প্রতিদ্বন্দ্বী রেসলারের মারামারির সময় ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্র্যাঞ্চাইজির ওপর অতর্কিতে চড়াও হয়ে তাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে একেবারে শুইয়ে দেন।
ওই ঘটনার ভিডিওতে প্রতিদ্বন্দ্বীর চেহারায় সিএনএনের লোগো বসিয়ে তা টুইট করেছেন ট্রাম্প। এর মাধ্যমে প্রতীকী অর্থে সিএনএনকে পরাস্ত করার বিষয়টি সামনে এনেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেড্ডিটে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফোরামে ছেড়ে দেওয়া এ ভিডিওটি বর্তমানে সাইটটির অন্যতম সেরা পোস্ট হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে, এবিসি মর্নিং শো’র প্যানেল আলোচক ও সিএনএনের কন্ট্রিবিউটর আনা নাভারো ট্রাম্পের এ কাণ্ডকে সহিংসতার প্রবর্তন বলে মনে করছেন। ট্রাম্প গণমাধ্যমেরে কাউকে খুন করতে যাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তার দলীয় মতাদর্শের এ সমালোচক।
গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণার শুরু থেকেই গণমাধ্যমের প্রতি বিক্ষুব্ধ আচরণ শুরু করেন ট্রাম্প। ক্ষমতায় আসার পর তার এ ক্ষোভ, বিশেষ করে সিএনএনের প্রতি তিনি বার বার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সিএনএনের খবরকে ‘মিথ্যা খবর’ বলেও অভিহিত করেছেন তিনি। মল্লযুদ্ধে প্রতীকী সিএনএনকে হারিয়ে দেওয়ার এ ভিডিওর মাধ্যমে গণমাধ্যমটির প্রতি আবারও ক্ষোভ ঝাড়লেন মার্কিন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।
< Prev | Next > |
---|