08-North-Koriaডেস্ক: দেশের পূর্ব উপকূল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কয়েকটি স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। শনিবার নিক্ষেপ করা এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সাগরে গিয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এমন একসময় নিক্ষেপ করা হল যখন কোরীয় উপদ্বীপের দক্ষিণ অংশে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক যৌথ সামরিক মহড়া চলছে; দুই মিত্রের এই সামরিক মহড়াকে যুদ্ধের প্রস্তুতি অভিহিত করে এর নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড জানিয়েছে, তারা ২০ মিনিটে তিনটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে। সবগুলো ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা; বলেছে, তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে একটি উৎক্ষেপণের পরপরই বিস্ফোরিত হয় ও অপর দুটি উড্ডয়নকালে বিস্ফোরিত হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের দপ্তর জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় কাংওন প্রদেশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়েছে এবং এগুলো দক্ষিণপূর্ব দিকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে সাগরে পড়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রের মূলভূখ- বা তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা গুয়ামের জন্য কোনো হুমকি ছিল না বলে জানিয়েছে দেশটির প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে গুয়ামকে ‘আগুন দিয়ে ঘিরে ফেলা হবে’ বলে চলতি মাসের প্রথমদিকে হুমকি দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো হুমকি দিলে তাকে ‘আগুন ও উন্মত্ততার’ মুখোমুখি হতে হবে। এরপর ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের পাল্টাপাল্টি হুমকিধামকিতে উত্তেজনা চরমে উঠে, কিন্তু পরে দুপক্ষের সংযত আচরণের কারণে উত্তেজনা হ্রাস পায়। এর আগে সর্বশেষ ২৮ জুলাই পরীক্ষামূলকভাবে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) উৎক্ষেপণ করেছিল উত্তর কোরিয়া। ওই আইসিবিএমটির পাল্লা ছিল ১০ হাজার কিলোমিটার। এটি যুক্তরাষ্ট্রের মূলভূখ-ের কয়েকটি অংশে আঘাত হানতে সক্ষম বলে জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা।

সাম্প্রতিক