suchiআন্তর্জাতিক ডেস্ক : রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের ঘটনায় দুনিয়াজুড়ে প্রতিবাদ আর সমালোচনার মুখে আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন না মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি। মঙ্গলবার বার্মিজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইউ কিউ জেইয়া দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মনোযোগ দিতে সু চি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

ইউ কিউ জেইয়া বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা জরুরি। লোকজন আতঙ্কের মধ্যে আছেন। এ সময়ে তার দেশে থাকা উচিত। সামগ্রিক বিষয়ে আরও মনোযোগ দিতে তিনি দেশেই থাকছেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সু চি’র বদলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ভান থিও মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বার্মিজ কর্তৃপক্ষের ধারণা সু চি জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিলে চলমান রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের ঘটনায় বিশ্বনেতাদের তোপের মুখে পড়তে পারেন।

এদিকে অব্যাহত রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের ঘটনায় আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখেও মিয়ানমারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছে চীন। মঙ্গলবার এ ইস্যুতে বার্মিজ কর্তৃপক্ষের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেং শুয়াং। তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা জানাচ্ছে চীন। তবে সেখানে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ বজায় রাখতে মিয়ানমার সরকার যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তার প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও একে সমর্থন জানানো উচিত। আশা করি, সেখানে যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক জীবনযাপন ফিরিয়ে আনা হবে।

রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের প্রাক্কালে মঙ্গলবার এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠতা দীর্ঘদিনের। দুই দেশেই অধিকাংশ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। মিয়ানমারের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। জাতিসংঘের কূটনীতিকদের অভিযোগ, এর আগেও রোহিঙ্গা-সংকটকে জাতিসংঘের শীর্ষ কাউন্সিলে উত্থাপনে বিরোধিতা করে বেইজিং। সূত্র: দ্য ইরাবতী, রয়টার্স।

সাম্প্রতিক