স্টাফ রিপোর্টার: সদ্য প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ও আবৃত্তিশিল্পী কাজী আরিফের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদন ও গার্ড অব অনার প্রদানের পর মঙ্গলবার বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র চাকমার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেন।
আজ বুধবার বিকেল ৩টায় মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে শহীদ মিনারে বেদিতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন-প্রতিষ্ঠানসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ জাতীয় পতাকায় মোড়ানো এই বাচিক শিল্পীর মৃতদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ ও কাজী মদীনা, আবৃত্তি ও অভিনয়শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যয়, আবৃত্তিকার ভাষ্কর বন্দোপাধ্যয় ও আশরাফুল আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গত শনিবার নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কাজী আরিফ। ৬৫ বছর বয়সী এই স্থপতি হৃৎযন্ত্রের নানা জটিলতা ভুগেছিলেন।
মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে তার কফিন ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়, সেখান থেকে নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংস্কৃতিমন্ত্রী নূর তার সতীর্থ আবৃত্তিকার কাজী আরিফ ‘রাষ্ট্রীয় কোনো পদক পেতে পারেন কি-না তা বিবেচনায় রাখা হবে’ বলে জানান।
শিল্পীর স্মৃতিচারণ করে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আবৃত্তিকে শিল্প হিসাবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য যারা আশির দশক থেকে সংগ্রাম করে আসছিলেন তাদের মধ্যে প্রথম সারির সৈনিক ছিলেন কাজী আরিফ। তিনি আবৃত্তির মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের কথা বলতেন। অসাম্প্রদায়িক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থেকে তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সচেতন ভূমিকা পালন করেছেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মণি ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধা কাজী আরিফের মৃতদেহ শ্রদ্ধা জানান। কবিতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে কাজী আরিফের ‘অগ্রণী ভূমিকার’ প্রশংসা ঝরেছে শ্রদ্ধা জানাতে আসা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফের কণ্ঠে।
< Prev | Next > |
---|