স্টাফ রিপোর্টার: পরকীয়ার জেরে লালমনিরহাটের আদিতমারীতে সোনালী রানী রায়(১৬) নামে এক কাজের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে আদিতমারী হাসপাতালের সিনিয়র সেবিকা সেফালীর বাড়িতেই গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে সোনালী।
নিহত সোনালী আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবদা এলাকার দিনমজুর শুরফুল্য রায়ের মেয়ে। সে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স সেফালী রানীর বাড়ির কাজের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক কৃষ্ণ চন্দ্রের স্ত্রী আদিতমারী হাসপাতালের সিনিয়র নার্স সেফালী রানীর বাড়ির কাজের মেয়ে হিসেবে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করত সোনালী রানী। নার্স সেফালী অফিসে থাকার সুবাদে তার স্বামী কৃষ্ণ কাজের মেয়ে সোনালীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নার্স সেফালী অফিস শেষে বাড়ি ফিরে কাজের মেয়ে সোনালী ও তার স্বামীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে গালমন্দ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ধ্যার পর ঘরের ভিতর গলায় ওড়না পেচিয়ে আতœহত্যা করে সোনালী।
নার্স সেফালী রানী বিষয়টি বুঝতে পেরে সোনালীকে উদ্ধার করে আদিতমারী হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। সোনালীর মৃত্যু হয়েছে নিশ্চিত জেনে মরদেহ রেখে কৌশলে পালিয়ে যান সেবিকা সেফালী ও তার স্বামী কৃষ্ণ। পরে তাদের মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে আদিতমারী থানা পুলিশ মৃতের সুরতহাল রিপোর্ট করে মরদেহ হাসপাতালে রাখে দেন।
নিহত সোনালীর ভাই লিটন চন্দ্র জানান, ৩মাস আগে সোনালী বাড়িতে এসেছিল একদিন পর বাড়ির মালিক কৃষ্ণ নিয়ে যান। বাড়ি এলে সোনালী সেখানে আর যেতে চাইত না। বিয়ে দিতে চাইলেও বাঁধা দিত কৃষ্ণ। তিনি তার বোনের মৃত্যুর জন্য দায়িদের বিচার দাবি করেন।
আদিতমারী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আদিল জানান, হাসপাতালে আসার আগেই সোনালীর মৃত্যু হয়েছে।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হরেশ্বর রায় জানান, মরদেহটি গতকাল শুক্রবার লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। মৃত্যুর প্রকৃত কারন অনুসন্ধানে তদন্ত করছে পুলিশ বলেও জানান তিনি। নিহতের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই বলেও জানান তিনি।
< Prev | Next > |
---|